এমনকি আমাদের ক্ষতিকর অভ্যাস যা আমাদের ক্ষতি করতে পারে তা নিয়ে সচেতন নই। এটা গুরুতর উদ্বেগের একটি বিষয় এবং এটির সাথে পরিচিত হতে হবে। স্থায়ী ক্ষতির কোনও ফর্ম প্রতিরোধ করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

আপনার জীবনধারা আপনার ম্যানহুড ফাংশনের মধ্যে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। আপনার অভ্যাস আপনার শারীরিক মেলামেশা অসম্পর্কিত হতে পারে কিন্তু তার অর্থ এই নয় এটা প্রভাবিত করে না। এটার শুধু একটি সামান্য পরোক্ষ প্রভাব আছে। এখানে কিছু সাধারণ অভ্যাসের তালিকা দেওয়া হল যা আপনার পুরুষত্ব ব্যাপকভাবে ধ্বংস করে।

অপর্যাপ্ত ব্যায়াম: এটি রিপোর্টে বলা হয় যে অনুশীলনকারীরা আরও বেশি ব্যায়াম করে নিজেদের মধ্যে কঠোর হওয়ার ক্ষমতা, তাদের দৃঢ়তা এবং তাদের গুণমানের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ায় । এটি পুরুষত্বের ওপর প্রচণ্ড পরিমাণে প্রভাব ফেলে।

বেডরুমে কম সময় দেওয়া: দ্য আমেরিকান জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণায় আরও বলা হয়, যারা বেডরুমে সময় বেশি দেয় তাদের তুলনায় যারা সময় কম দেয় তাদের মাঝে পুরুষত্বহীনতার সমস্যা সৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। আপানকে বেডরুমের মধ্যে আরো সক্রিয় হতে হবে। এটা আপনার পুরুষত্বের জন্য ভালো এবং এটি আপনাকে স্বচ্ছন্দ রাখে। আপনার মাথার মধ্যে কম চাপ দেয়।

জাঙ্ক ফুড ভোজন: তাদের নির্গমন মান একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যের উপর নির্ভর করে। জাঙ্ক ফুডগুলি সুস্থতা বৃদ্ধির পথে বাধা দেয় এবং তাদের স্রাবের গুণগত মান খারাপ করে দেয়।

অপর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিবেদনটি এটা স্পষ্ট করে যে, যেসব পুরুষদের ঘুম অপর্যাপ্ত পরিমাণ হয় তাদের প্রজনন করার ক্ষমতা কমে যায়। ক্লান্তি, একাগ্রতার অভাব ইত্যাদি অপর্যাপ্ত ঘুমের অন্যান্য কিছু প্রভাব।

অত্যধিক ধূমপান করা: ধূমপানে আসক্তি পুরুষদের ইরেক্টিল ডিসফাংসন তথা পুরুষত্বহীনতার দিকে নিয়ে যায়। নিকোটিন মুক্ত পুরুষরা চওড়া এবং শক্ত হয়ে উঠবে এবং তারা সর্বোচ্চ উত্তেজনায় পৌঁছবেন ।

অত্যধিক টেলিভিশন দেখা: গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টার বেশি টেলিভিশন দেখে সে সব পুরুষদের শরীরে যারা টিভি দেখে না তাদের তুলনায় প্রায় ৪৪% কম ধাতুগত তরল আছে।

সানস্ক্রীন না ধোয়া: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের মতে, সানস্ক্রীন বন্ধ্যাত্বের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে ।

দাঁত পরিষ্কার না করা: সঠিকভাবে নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার না করলে সেটা আপনার প্রজনন ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে।গবেষকরা দেখেছেন নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার না করলে গাম টিস্যুর ব্যাকটেরিয়া আপনার শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে। এবং পুরুষাঙ্গে রক্ত সরবরাহে বাঁধার সৃষ্টি করে।