আইন অনুসারে, ধর্ষণের ঘটনার ক্ষেত্রেও গর্ভপাত করতে হলে ধর্ষণকারীর অনুমোদন লাগবে। ওই পুরুষ চাইলে তাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিতে পারে, কিংবা তা প্রত্যাখ্যানও করতে পারে।

চলতি বছরের মার্চ মাসে আইনটি পাস হলেও জুলাইয়ের শেষ নাগাদ তা কার্যকর হতে যাচ্ছে। ১৮ বছরের কম বয়সী কোনও মেয়ের গর্ভপাতের প্রয়োজন হলে, তা করা হবে কি না- সে বিষয়ে তার মা-বাবাও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

তবে এই আইনের বিরোধিতা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের নারী অধিকার কর্মীরা। এতে আইনি ছদ্মাবরণে নারীদের গর্ভপাত আরও জটিল হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন তারা। নারী অধিকার সংগঠন ‘নারাল’র এক মুখপাত্র বলেন, ‘এই আইনের অনিবার্য ফলাফল হচ্ছে, নারীদের এবং ডাক্তারদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে তাদের একটি মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করা।’

এদিকে মঙ্গলবার আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা দিয়েছে একটি অধিকার সংগঠন। বৃহস্পতিবার এর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ‘আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আইন প্রণেতারা ক্লিনিক বন্ধ এবং গর্ভপাত বাতিলের মতো আইন করায় প্রতিদিনই মার্কিন নারীদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে।’