মঙ্গলবার দুরাইহামি শহরে এই হামলা চালানো হয়। হুতি বিদ্রোহী-সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র একথা জানিয়েছেন। খবর আল জাজিরার।চিকিৎসক ইউসেফ আল-হাদরি বলেন, অত্যন্ত জনবহুল একটি এলাকায় হামলা চালিয়েছে সৌদি-আমিরাত নেতৃত্বাধীন জোট। হামলায় ধ্বংস হয়েছে বেসামরিক অবকাঠামো, চিকিৎসা স্থাপনা ও মসজিদ।

হাদরি বলেন, শহরটিতে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রসের(আইসিআরসি) কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।আইসিআরসি শহরে হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা এখনো হামলায় হওয়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়ন করছে।

হোদেইদায় স্থানীয় হুতি বিদ্রোহী ও সৌদি-আমিরাত জোট সমর্থিত ইয়েমেনের সরকারী বাহিনীর মধ্যকার লড়াই সাম্প্রতিক সময়ে তীব্র আকার ধারণ করেছে।হোদেইদা ২০১৪ সাল থেকে হুতিরা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূল ও দেশটির উত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগই হুতিদের নিয়ন্ত্রণে। ২০১৫ সালের আগে হোদেইদার বন্দর হয়েই আমদানিকৃত ৭০ শতাংশ পণ্য ইয়েমেনে প্রবেশ করতো- এর মধ্যে রয়েছে, মানবিক ত্রাণ, খাদ্য, জ্বালানী ইত্যাদি।

কিন্তু সৌদি আরবের দাবি, হুতি বিদ্রোহীরা ওই বন্দর থেকে প্রতি মাসে ৩ থেকে ৪ কোটি ডলার রাজস্ব আয় করে থাকে এবং ইরান থেকে অস্ত্র আমদানির জন্যও বন্দরটি ব্যবহার করে থাকে।

এর আগেও এ মাসে ইয়েমেনে এক ভয়াবহ হামলা চালায় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত জোট। সে হামলায় নিহত হয়েছে ৪৩ জন এবং ৬১ জনেরও বেশি লোক আহত হয়।দিনদিন দু দেশের মধ্যে ভয়ংকর সম্পর্কে পরিণত হচ্ছে।