ভয়াবহ অপরাধের কারণে প্রবাসী বাংলাদেশীকে ফাঁসির আদেশ দিলো মালয়েশিয়ার আদালত

তার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয় যে,মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত এই বাংলাদেশি তার স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরে লাশকে টুকরো টুকরো করে দুটি লাগেজে ভরে একটি ডোবায় ফেলে দিয়েছিল ৷
মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) শাহজাদা সাজু (৩৭) নামের বাংলাদেশির বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় দোষী সাবস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় দেশটির ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট।
অভিযোগে বলা হয়, গত ৩ জুলাই সকাল ৪.১৫ মিনিট থেকে ৫ জুলাই ৩.১৬ মিনিটের মধ্যে কোন এক সময় তার স্ত্রী সাজেদা-ই বুলবুল কে হত্যা করা হয়। পরে লাশটিকে ছয় টুকরো করে দুইটি লাগেজে ভরে নদীর পাশে ফেলে দেয় ।
হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সাজু পালিয়ে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা জোহর বারু নির্জন এক রুমে আশ্রয় নেয় । মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে সাজুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় মালয়েশিয়া গোয়েন্দা পুলিশ ।
এ হত্যা কান্ডের ঘটনার বিবরণিতে বলা হয়, গত ৫ জুলাই বৃহস্পতিবার পুত্রা ওয়াল্ড ট্রেট সেন্টার এর কাছের নদীর তীরে লাগেজ দেখতে পাই স্থানীয়রা ৷ স্থানীয় দের তথ্যের বৃত্তিতে পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে প্রথম লাগেজের ১০০ মিটার দূর থেকে অপর লাশ ভর্তি লাগেজটি উদ্ধার করে ৷ এ সময় প্রথম লাগিজে হাত,পা ও মাথা এবং অপরটিতে শরীরের বাকি অংশ দেখতে পায় পুলিশ ৷
উদ্ধারকৃত লাশের সঙ্গে গলায় একটি রকেটে আল্লাহু লেখা পাওয়া যায়।
টানা ২৫ দিনের মাথায় দেশটির সীমান্তবর্তী প্রদেশ জহুর বারু থেকে ২৫ই জুলাই বুধবার ভোরে ঘাতক সাহজাদা সাজুকে গ্রেফতার করা হয়।
মালয়েশিয়ায় এক বাংলাদেশি নারী আইনজীবীকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনা নিয়ে গোটা কুয়ালালামপুরে বাঙ্গালী কমিউনিটির মধ্যে চলছিল আলোচনা। আবার কেউ কেউ আতংকের মধ্যেও ছিলেন। সাজেদা-ই-বুলবুল (২৯) নামের ওই আইনজীবীকে হত্যার ঘটনায় ২০ জুলাই দেশটির পুলিশ প্রধান সন্দেহভাজন স্বামী শাহজাদা সাজুকে (৩৭) খুঁজে বের করতে সাজুর ছবি প্রকাশ করেছিলেন।
এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ১৭ জুলাই কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সহযোগিতা চেয়ে লিখিত আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) সিআইডির এএসপি ফাইজাল বিন আব্দুল্লাহ।
জানা যায়, সাজেদা-ই-বুলবুল পটুয়াখালী সদরের পুরাতন আদালতপাড়ায় মো. আনিস হাওলাদারের মেয়ে। তিনি প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল এল বি এবং এল এম পাশ করেন। বিয়ের পর ২০১৬ সালের ৩ ডিসেম্বর স্বামীর সঙ্গে মালেয়েশিয়া যান তিনি।
সেখানে যাওয়ার পর স্বামীর অন্য চেহারা দেখতে পান। শাহজাদা নিজে প্রতিষ্ঠিত হলেও স্ত্রীকে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ তৈরি করে দেননি। নিয়মিত করতেন নির্যাতন।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ৫ জুলাই সাজেদাকে নৃশংস কায়দায় হত্যা করে পাষন্ড স্বামী শাহজাদা। অপরাধ গোপন করতে স্ত্রীর লাশ টুকরো টুকরো করে কেটে লাগেজে ভরে সুংগাই কালাং (জালান ইপুহ) এলাকায় এক ডোবায় ফেলে দিয়ে গা ঢাকা দেন তিনি।পাপ কাউকেই ছাড়ে না অবশ্য তারি এক নজির।
- ৪ না মেরে ছক্কা হাঁকানোয় বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বদলে বাংলাদেশ
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- চরম দু:সংবাদ : ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ
- হাসিনার বিরুদ্ধে ফেটে পড়ল ভারত! বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ ভারতীয় সাংবাদিক
- ফাঁদে পড়লেন ওবায়দুল কাদের, এবার পালাবেন কোথাই
- রাজস্থানে 'রক্তপাত' ভড়কে গিয়ে দ্রাবিড় যা বললেন...
- বৃদ্ধের ট্রেনের নিচে ঝাঁ-প দেওয়ার আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কঠিন সমীকরণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের আসল কারণ ফাঁস
- ঢাকায় ভারতের কে এই RAW স্টেশন হেড, যা জানা গেল, কাঁপছে রাজনৈতিক অঙ্গন"
- পিএসএলে ইতিহাস গড়লেন হাসান আলি, ভাঙলেন ওয়াহাব রিয়াজের রেকর্ড
- I Love You নয়, বলুন এই কথাগুলো – প্রেমে পড়বে সেকেন্ডেই
- ভয়াবহ ভূমিকম্প : বিধ্বস্ত ৮০ ভাগ সরকারি ভবন
- পাকিস্তানকে মাঝারি রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ
- বন্ধ হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের পথ