শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ৯০০ মোবাইল সেট ‘উধাও’!

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হংকং থেকে আমদানি করা মোবাইল সেট ছিল স্যামসাংয়ের। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নাম এক্সেল টেলিকম প্রাইভেট লিমিটেড। অামদানিকারক প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্য, গত মাসে চীন থেকে তারা ৫টি প্যালেট (১ প্যালেটে ৯০০ মোবাইল থাকে) আমদানি করেন। এর মধ্যে চার প্যালেট তারা হাতে পেলেও একটির হদিস নেই।
এদিকে বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, চারটি পেলেট আমদানি করা হয়েছে। কিন্তু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বলছে, ৯০০ মোবাইলের মধ্যে তিনটি হ্যান্ডসেট দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই বিষয়ে তারা এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা করেছেন।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এক্সেল টেলিকম প্রাইভেট লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা (লজিস্টিক) সাইফুর রহমান বলেন, ‘মোবাইল ফোনের পাঁচটি প্যালেট আমরা আমদানি করেছিলাম। চারটি বুঝে পেলেও একটি প্যালেট পাওয়া যায়নি। আমরা স্যামস্যাংয়ের মাদার অফিস থেকে জানতে পেরেছি, তিনটি হ্যান্ডসেট দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। পুলিশকে বলা হয়েছে, সেই বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
মোবাইল ফোনগুলোতে সিম ঢুকিয়ে সেট চালু করলে একটা মেসেজ আসে। সেই মেসেজ আমরা পেয়েছি এবং সেখানেই দেখা যাচ্ছে, মোবাইলগুলো দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। আমাদের আমদানি করা পাঁচটি প্যালটের সবগুলোর কাগজপত্র আছে। শিউর (নিশ্চিত) ফোনগুলো চুরি হয়েছে।’
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, মোবাইল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি ৬ জুলাই হংকং থেকে স্যামস্যাং SM-J600GZBGBNG মডেলের ৫ প্যালেট মোবাইল আমদানি করে। ইনভয়েস নম্বর ৯০১২৫৩৬১৮৩। ৮ জুলাই বাংলাদেশ বিমানের ই-ওয়াই ৯৮০৭ বিমানে করে মোবাইলগুলো রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। পরে তা বাংলাদেশ বিমানের তত্বাবধানে ম্যানওয়্যার হাউস-২তে সংরক্ষিত ছিল।
১২ জুলাই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মনোনীত ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট মমতা ট্রেডিং কোম্পানি ঢাকা কাস্টমসসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষে মোবাইল ছাড় করানোর জন্য গেলে সেখানে ৯০০ মোবাইলের হদিস মেলেনি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ওই মোবাইলগুলো ৮ থেকে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে অজ্ঞাত চোররা ম্যানওয়্যার হাউস-২ থেকে চুরি করে নিয়েছে। এক মাস পর ৬ আগস্ট মোবাইলগুলোর নম্বর (আইএমই) সংগ্রহ করে থানায় মামলা করা হয়। মোবাইলগুলোর বাজার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুজন ফকির বলেন, মামলা দায়ের করার পরই মোবাইলের হ্যান্ডসেটগুলোর আইএমই নম্বর পুলিশের বিশেষ শাখায় দেয়া হয়েছে। সেগুলো দেশের কোথাও ব্যবহৃত হচ্ছে নাকি খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
তদন্তের জন্য বাংলাদেশ বিমানের তত্ত্বাবধানে ম্যানওয়ার হাউস-২-এর কাছে বেশ গত কয়েকদিনের সিসিটিভির ফুটেজ চাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
- ৪ না মেরে ছক্কা হাঁকানোয় বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বদলে বাংলাদেশ
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- চরম দু:সংবাদ : ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ
- হাসিনার বিরুদ্ধে ফেটে পড়ল ভারত! বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ ভারতীয় সাংবাদিক
- ফাঁদে পড়লেন ওবায়দুল কাদের, এবার পালাবেন কোথাই
- রাজস্থানে 'রক্তপাত' ভড়কে গিয়ে দ্রাবিড় যা বললেন...
- বৃদ্ধের ট্রেনের নিচে ঝাঁ-প দেওয়ার আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কঠিন সমীকরণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের আসল কারণ ফাঁস
- ঢাকায় ভারতের কে এই RAW স্টেশন হেড, যা জানা গেল, কাঁপছে রাজনৈতিক অঙ্গন"
- পিএসএলে ইতিহাস গড়লেন হাসান আলি, ভাঙলেন ওয়াহাব রিয়াজের রেকর্ড
- I Love You নয়, বলুন এই কথাগুলো – প্রেমে পড়বে সেকেন্ডেই
- ভয়াবহ ভূমিকম্প : বিধ্বস্ত ৮০ ভাগ সরকারি ভবন
- পাকিস্তানকে মাঝারি রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ
- বন্ধ হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের পথ