‘যাচাই না করে লাইভে যাওয়া আমার ঠিক হয়নি’

নওশাবা বলেন, আসলে আমি বিষয়টা তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে পারেনি। রুদ্র নামের এক ছাত্র আমাকে মোবাইলফোনে একথা বলে। তার কথা যাচাই না করে লাইভে যাওয়া আমার ভুল হয়েছে। আমি এরপরও ফেসবুকে ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছি।
শুনানির সময় তার আইনজীবী এ এইচ ইমরুল কাওসার বলেন, নওশাবা ভুল করে ফেসবুকে লাইভ দিয়েছে। তার জন্য সে দুঃখ প্রকাশ করেছে। সে তো বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাকে রিমান্ড দেয়ার কোনো প্রয়োজন মনে করি না। তাই রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেছি।
এ সময় বিচারক আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনি যাচাই-বাছাই ছাড়া লাইভ দিলেন কেন? তিনি তো একজন সচেতন মানুষ।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মোবাইল ফোন লুকিয়ে ফেলেছে নওশাবা
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজধানী উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক বিকাশ কুমার পাল রোববার নওশাবাকে আদালতে হাজির করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তিনি বলেন, কাজী নওশাবা কোন কলেজ বা ভার্সিটির শিক্ষার্থী না এবং কোন অভিভাবকও না। ২৯ জুলাই শহীদ রমিজীদ্দন স্কুল অ্যান্ড কলেজে জাবালে নূর পরিবহনের চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর হতে উদ্দেশ্যে মূলকভাবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ফেসবুকে বিভিন্ন স্ট্যাটাস প্রকাশ করে আসছেন। ৩০ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হোটেল রূপসী বাংলার সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মাঝে পানি বিতরণ করে এবং বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দেয়ার চেষ্টা করেছে বলে স্বীকার করেছেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি লুকিয়ে ফেলায় তা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
যে কারণে রিমান্ড আবেদন
অজ্ঞাত কোন কোন ব্যক্তিদের প্ররোচনায় আসামি নওশাবা ফেসবুকে মিথ্যা স্ট্যাটাস, উসকানিমূলক মিথ্যা তথ্য সম্বলিত লাইভ ভিডিও প্রচার করেছে, সেসব প্ররোচনা ও মদদ দানকারী অজ্ঞাতনামা আসামিদের চিহ্নিত ও নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা প্রয়োজন। এছাড়াও আসামি ফেসবুকে লাইভে আসার সময় ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস উদ্ধার ও ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য সাতদিনের রিমান্ড প্রয়োজন।
যে অভিযোগে মামলা
শনিবার কাজী নওশাবা নিজের নামীয় ফেসবুক থেকে অত্যন্ত আবেগময়ী কণ্ঠে লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করে বলে যে, ‘জিগাতলায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করিয়া একজনের চোখ উঠাইয়া ফেলেছে এবং চারজনকে মেরে ফেলেছে। আপনারা যে যেখানে আছেন কিছু একটা করেন।’ তার এই আহ্বান মুহূর্তের মধ্যে দেশি-বিদেশি সামাজিক ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে জনমনে আতঙ্ক ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা তার এই মিথ্যা প্রোপাগন্ডা উৎস জানার জন্য ফোন করলে তিনি তার স্বপক্ষে সঠিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারে নাই। ওই সময় জিগাতলায় এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে নাই। এ ঘটনায় রোববার র্যাব-১ এর ডিএপি আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ সালের ৫৭(২) ধারায় উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন। মামলা নং-৮(৮)১৮।
- ৪ না মেরে ছক্কা হাঁকানোয় বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বদলে বাংলাদেশ
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- চরম দু:সংবাদ : ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ
- হাসিনার বিরুদ্ধে ফেটে পড়ল ভারত! বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ ভারতীয় সাংবাদিক
- ফাঁদে পড়লেন ওবায়দুল কাদের, এবার পালাবেন কোথাই
- রাজস্থানে 'রক্তপাত' ভড়কে গিয়ে দ্রাবিড় যা বললেন...
- বৃদ্ধের ট্রেনের নিচে ঝাঁ-প দেওয়ার আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কঠিন সমীকরণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের আসল কারণ ফাঁস
- ঢাকায় ভারতের কে এই RAW স্টেশন হেড, যা জানা গেল, কাঁপছে রাজনৈতিক অঙ্গন"
- পিএসএলে ইতিহাস গড়লেন হাসান আলি, ভাঙলেন ওয়াহাব রিয়াজের রেকর্ড
- I Love You নয়, বলুন এই কথাগুলো – প্রেমে পড়বে সেকেন্ডেই
- ভয়াবহ ভূমিকম্প : বিধ্বস্ত ৮০ ভাগ সরকারি ভবন
- পাকিস্তানকে মাঝারি রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ
- বন্ধ হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের পথ