লাল কার্ড দেখেননি যে সকল ফুটবলার
ইংল্যান্ড ফুটবল বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা ও ইংল্যান্ড। খেলায় বেশ ভয়ংকর একটা ফাউল করলেন অ্যান্তনি রাতিন। রেফারি রুডি ক্রেইটলেন তাকে মাঠ থেকে বের হয়ে যাবার নির্দেশ দিলেন। কিন্তু আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মাঠ ছাড়তে নারাজ। তাতেই বাধল বিপত্তি। ম্যাচ রেফারি কিন অ্যাস্টন এগিয়ে এলেন অবশেষে। অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে রাতিন কে মাঠের বাইরে পাঠালেন তিনি। বিষয়টা অবশ্য এখানেই শেষ হল না। রাতিন কে এই শাস্তি দেবার জন্য রুডিকে বেশ বিপাকেই পড়তে হল। কারণ, ইংল্যান্ড দলের দুজন খেলোয়াড় মাঠে রাতিনের মতোই অপরাধ করেছিল। তাদের ফাউল টা রাতিনের মতো বাড়াবাড়ি পর্যায়ের ছিল না – এই দাবি করেও সমালোচনার হাত থেকে রক্ষা পাননি রুডি।
এই বিষয়টি বেশ ভাবিয়ে তোলে কিন অ্যাস্টন কে। বড় ধরণের ফাউলের জন্য একজন খেলোযাড়কে মাঠের বাইরে পাঠানো হল, কিন্তু তারচেয়ে কম ফাউল করেছে যে তাকে কিভাবে সতর্ক করা যায়? ভাবছিলেন আর গাড়ি ড্রাইভ করে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথে কিংস্টোন হাই-স্ট্রিটে ট্রাফিক সিন্যালে আটকা পড়ল গাড়ি। সিগনাল বাতি গুলোর দিকে আনমনেই চোখ আটকে গেল তার। দেখলেন বাতি গুলো সবুজ থেকে হলুদ এবং হলুদ থেকে লালে রুপান্তরিত হচ্ছে্ । সবুজ মানে চলতে থাকো। হলুদ মানে সতর্ক হও। আর লাল মানে থেকে যাও। এখান থেকেই আইডিয়াটি পান তিনি। খেলার মাঠেও তো এভাবে খেলোয়াড়দের সতর্ক করা যেতে পারে। এরপর তিনি প্রস্তাব দেন ফিফার কাছে। ১৯৭০ এ মেক্সিকো বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে সমস্যা এড়াতে পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতি অবলম্বন করল ফিফা। ফাউল করলে খেলোয়াড়কে সতর্ক করার জন্য হলুদ কার্ড আর সিরিয়াস ধরণের ফাউল করে বসলে মাঠ থেকে বেড়িয়ে যাবার জন্য লাল কার্ড দেখানোর প্রচলন শুরু হল। তবে এই পদ্ধতিতে প্রথম লাল কার্ড দেখানো হয় ১৯৭৬ সালের ২ অক্টোবর। প্রথম লাল কার্ড পান ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের ডেভিড ওয়াগস্টাভ। অ্যাস্টন উদ্ভাবিত লাল ও হলুদ কার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে ফুটবল খেলার নিয়মের অংশ হয় ১৯৯৩ সালে।
আধুনিক ফুটবলের নিত্যনতুন কলাকৌশল খেলাটিকে দিন দিন যেমন আকর্ষণীয় করে তুলছে, ঠিক তেমনি একে আরও দৃষ্টিনন্দন করে তোলার জন্য ফিফার নিয়মকানুন প্রতিনিয়ত কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। আর তাই বর্তমানে লাল কার্ড দেখা নামী-বেনামী সব ফুটবলারের জন্য একটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে লাল কার্ডের ব্যবহার ছাড়া কোনো ম্যাচই যেন কল্পনা করা যায় না। তা সে স্বনামধন্য খেলোয়াড় মেসি কিংবা রোনালদো যে-ই হোক না কেন, খেলার মাঠে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেফারির লাল কার্ড দেখতে হয়েছে নামকরা অনেক ফুটবলারকেই। ২০০৬ এর বিশ্বকাপে ইতালি-ফ্রান্সের মধ্যকার বিশ্বকাপ ফাইনালে জিদানের মাথা দিয়ে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়কে ঐতিহাসিক ঢুঁস মেরে লাল কার্ড পেয়ে খেলার মাঠ থেকে বিতাড়িত হওয়া, আর তার সাথে সাথে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ হাতছাড়া হওয়ার গল্প আমরা সবাই জানি। আধুনিক ফুটবলে কারো পক্ষে ক্যারিয়ারে লাল কার্ড না পাওয়া যেন কল্পনাতীত।
কিন্তু ফুটবল মাঠে এমন কয়েকজন অসাধারণ ফুটবলারের জন্ম হয়েছে, যারা তাদের ক্যারিয়ারে কখনোই লাল কার্ড দেখেননি। এমনই কয়েকজন ফুটবলারকে চিনে নেওয়া যাক।
গ্যারি লিনেকার
ফুটবলের ইতিহাসে ইংল্যান্ডের এক প্রতিভাধর স্ট্রাইকারের নাম গ্যারি লিনেকার। আশির দশকে যে ক’জন স্ট্রাইকার তার প্রতিভা এবং ব্যক্তিত্বের অনন্য নজির স্থাপন করেছেন, তাদের মধ্যে লিনেকার অন্যতম। সদা হাস্যোজ্জ্বল এই সাবেক ব্রিটিশ স্ট্রাইকারকে ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা স্ট্রাইকার বলা হয়। তার এক অসাধারণ গুণ হচ্ছে গোল চেনা। বিশ্বে অবশ্য খুব কম ফুটবলারেরই এই গুণটি রয়েছে। আশির দশক ছিল তার ক্যারিয়ারের সেরা সময়। ফুটবল ইতিহাসের নামীদামী সব ফুটবল ব্যক্তিত্বকে ছাপিয়ে যোজন যোজন এগিয়ে রয়েছেন ইংল্যান্ডের এই সাবেক দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল স্কোরার। এই ইংলিশ স্ট্রাইকার তার ফুটবল ক্যারিয়ারে বার্সেলোনা, এভারটন, লিচেস্টার সিটি, টটেনহ্যাম হটস্পারের মতো বিশ্বসেরা ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। দেশের ও ক্লাবের হয়ে মোট ৫৬৭টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। কিন্তু অত্যন্ত আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, তিনি শুধু লাল কার্ডই নয়, জীবনে কখনো হলুদ কার্ডও দেখেননি! এটি সত্য যে, সত্তর এবং আশির দশকে ফুটবল মাঠে শারীরিক ট্যাকেল করার প্রচলন ছিল এবং ফিফার নিয়ম-কানুনও ততো কড়া ছিল না। তারপরও লিনেকারের মতো মহান ফুটবলারের একেবারেই কোনো কার্ড না দেখাকে কোনো অংশেই খাটো করে দেখার অবকাশ নেই।
মিশেল প্লাতিনি
১৯৮৬ বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত ম্যারাডোনার চেয়ে অনেকাংশে এগিয়ে ছিলেন। হয়তো ভাগ্যের আরেকটু ছোঁয়া পেলে ক্যারিয়ার শেষে যে অবস্থানে ছিলেন, তারচেয়েও এগিয়ে থাকতে পারতেন। তিনি ফ্রান্সের কিংবদন্তি মিডফিল্ডার গত শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড়দের মাঝে প্রথম সারিতেই থাকবেন তিনি। ফ্রান্স ফুটবলের জন্য ইতিহাস গড়ার কাজ করেছিলেন মিশেল প্লাতিনি। ফরাসি তার সারা ফুটবল ক্যারিয়ারে ক্লাব এবং দেশের হয়ে মোট ৬৫৫টি ম্যাচ খেলেছেন। মূলত প্লেমেকার হিসেবে তার সুনাম থাকলেও, গোল করার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন দারুণ দক্ষ। ন্যান্সি, সেন্ট-এটেন এবং জুভেন্টাসের মতো নামীদামী দলে খেলেছেন তিনি। ১৯৮৪-৮৫ সালে ইউরোপীয় কাপ অভিযানের বিজয়ী জুভেন্টাসের হয়ে তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন। কোনো বিশ্বকাপেই প্লাতিনি গোল্ডেন বল, সিলভার বল কিংবা ব্রোঞ্জ বল পাননি। তবে এরপরও ২০১৪ সালে গার্ডিয়ান পত্রিকার মাধ্যমে বিশ্বকাপের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়ের তালিকায় দশম স্থানে আছেন তিনি। অথচ অনেক বিশ্বকাপজয়ী এবং গোল্ডেন বল জয়ী খেলোয়াড়ও তালিকায় তার পেছনে রয়েছেন। এ থেকে বোঝা যায়, বিশ্বকাপে তার পারফরম্যান্স কতটা চমকপ্রদ ছিল। তিনবার ব্যালন ডি’অর জেতা এই অসাধারণ খেলোয়াড় জীবনে কখনোই লাল কার্ড দেখেননি।
আলসেন্দ্রো দেল পিয়েরো
ফুটবল বিশ্বে অনেক কিংবদন্তি আছেন, যারা একেক জন একেক ধরনের খেলার স্টাইলের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু ফুটবল বিশ্বে ফ্রি কিক স্পেশালিষ্ট হিসেবে যাকে সবাই মনে রাখবে তিনি হলেন আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরো। ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দুই দশকের বেশি সময় ধরে ফুটবল খেলা চালিয়ে যাওয়া এক অসাধারণ ফুটবলার আলসেন্দ্রো দেল পিয়েরো। যাকে বলা হতো ইতালিয়ান ফুটবল রাজপুত্র। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী ইতালি জাতীয় দলের সদস্য ছিলেন এই স্ট্রাইকার। ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন ইতালির জুভেন্টাসে। ক্লাবের হয়ে ৫৮৫ ম্যাচে গোল করেছেন ২৩৪টি এবং দেশের হয়ে ৯১ ম্যাচ খেলে ২৭টি গোল করেছেন তিনি। তার ফুটবল মাঠে ঠাণ্ডা মাথায় ট্যাকল করা, দ্রুত গতি এবং গোল করার আশ্চর্য দক্ষতা ফুটবল বোদ্ধাদের প্রতিনিয়ত মুগ্ধ করতো। আর এসব অসাধারণ গুণের জন্য কখনো লার্ল কার্ড না দেখার দুর্লভ সৌভাগ্য অর্জন করেন এই স্ট্রাইকার।
রাউল গঞ্জালেস
স্পেনের জাতীয় দলের সাবেক এই নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার তার ফুটবল ক্যারিয়ারে খুবই শৃঙ্খলাপরায়ণ ছিলেন। ফুটবলের রীতিনীতি মেনে চলার ক্ষেত্রে তার মতো কিংবদন্তী স্টাইকার খুব কমই দেখা যায়। রাউল গঞ্জালেস স্পেনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ একজন ফরোয়ার্ড এবং স্পেনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। রাউল গঞ্জালেস তার বাম পা দিয়ে অত্যন্ত ক্ষিপ্রগতিতে বক্সের ভিতর এবং বাইরে থেকে গোল করতে পারতেন। ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি লস ব্ল্যাঙ্কস, শালকে, আল-স্যাড, নিউইয়র্ক কসমস ক্লাবের হয়ে খেললেও, ক্যারিয়ারের একটা দীর্ঘ সময় রিয়াল মাদ্রিদের মতো বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। ক্লাবের হয়ে ৯৩২ ম্যাচে ৩৮৮ গোল এবং স্পেনের জাতীয় দলের হয়ে ৪৪টি গোল করেছেন এই অনন্য ফুটবলার। মাঠে তার অসাধারণ ফুটবল দক্ষতার জন্য ফার্নান্দো হিয়েরো তার নাম দিয়েছিলেন ‘এল ফেরারি’ বা ‘দ্য ফেরারি’। স্পেনের হয়ে তিনি শতাধিক ম্যাচ জয় করেছেন। অধিনায়ক হিসেবে দীর্ঘদিন স্পেনকে নেতৃত্ব দিলেও দুর্ভাগ্যক্রমে রাউল গঞ্জালেস জাতীয় দলের হয়ে কোনো শিরোপা জিততে পারেননি। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ১৯৯৮, ২০০০ ও ২০০২ সালে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা এবং ছয়টি স্প্যানিশ শিরোপা জেতা এই ফুটবলার ক্যারিয়ারে কখনোই লাল কার্ড পাননি।
ফিলিপ লাম
অনেক ফুটবল বোদ্ধাই জার্মান ফুটবলার ফিলিপ লামকে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুল ব্যাক মনে করে থাকেন। গতি, ড্রিবলিং, নির্ভুল ট্যাকলিংয়ের জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। বায়ার্ন মিউনিখ বি দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান মাত্র ১৭ বছর বয়সে। বি দলের হয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য বায়ার্নের মূল দলে জায়গা পেতে খুব একটা দেরি হয়নি তার। ২০০৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জার্মানির হয়ে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ঘটে তার স্মরণীয় অভিষেক। অভিষেক ম্যাচেই পান ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার। বায়ার্নের হয়ে জিতেছেন আটটি বুন্দেসলিগা, ছয়টি জার্মান কাপ ও ইউরো ক্লাব চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে জার্মানির অধিনায়ক হিসেবে ২৪ বছর পর জার্মানিকে শিরোপা জিততে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ৩৩ বছর বয়সে অবসর নেয়ার মুহূর্তেও ১১ বছরের ক্যারিয়ারে একবারও লাল কার্ড দেখতে হয়নি এই অসাধারণ ফুটবলারকে।
জাভি হার্নান্দেজ
ইতিহাসের অন্যতম সেরা মাঝমাঠের খেলোয়াড় ছিলেন স্পেনের জাভি হার্নান্দেজ। উঠে এসেছিলেন বার্সেলোনার যুব প্রকল্প থেকে। স্পেনের হয়ে তার আন্তর্জাতিক অভিষেক ঘটে ২০০০ সালে। দেশের হয়ে ১৩৩টি ম্যাচে অংশগ্রহণ করে ২০০৮ ও ২০১২ সালে ইউরো কাপ, ২০১০ এর বিশ্বকাপজয়ী দলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০৮ এর ইউরো কাপে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। আর তাই বার্সেলোনার একজন নির্ভরযোগ্য সদস্য হতে খুব বেশি দেরি হয়নি তার। ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা কাটিয়েছেন বার্সেলোনায়। গোল করা এবং দলের সঙ্গীদের অবিশ্বাস্য পাস দেওয়ার ক্ষমতার কারণে তিনি ছিলেন তার সময়ের অন্য সব ফুটবলারের চেয়ে এগিয়ে। এই প্রতিভাবান ফুটবলার তার সারা ক্যারিয়ার জুড়ে রেফারির সাথে কোনো ঝামেলায় জড়াননি, দেখেননি কখনো লাল কার্ডও।
রায়ান গিগস
অনেক ফুটবল বোদ্ধার কাছে রায়ান গিগস ছিলেন একজন সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়। ওয়েলসের এই দুর্দান্ত ফুটবলার তার পুরো ক্যারিয়ারেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলে গেছেন। ২০১৪ সালে অবসর নেয়ার আগে ১৯৯০ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে সফল খেলোয়াড়দের হিসেবে পরিচিতি পান। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ৬৭২টি ম্যাচ খেলে লাল দাগ মুক্তই থেকে গেছেন ওয়েলসের এই তারকা। বর্তমানে তিনি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের সহকারী ম্যানেজার। ২৪ বছরের ক্যারিয়ারে একবারেও লাল কার্ড দেখেননি তিনি।
আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা
আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা লুজান জন্মগ্রহণ করেন ১৯৮৪ সালের ১১ ই মে স্পেন এর আলবাকার্টে এর ফুয়েনটিলবিল্লিয়া শহরে। আলবার্কাটে এর ইয়ুথ টিমে তিনি মাত্র ১০ বছরে যোগ দেন। যোগদানের পরপরই একটি টুর্নামেন্টে তার খেলা দেখে বার্সা ম্যানেজমেন্ট এর তার উপর নজর পড়ে এবং তিনি লা মাসিয়ায় যোগদান করেন মাত্র ১২ বছর বয়সে। তিনি জাতীয় দলে খেলা শুরু করেন স্পেন জুনিয়র টিমে খেলার মাধ্যমে। স্পেন অনুর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ এ দলের জয়ে ২০০১ সালে যথাযথ অবদান রাখেন। একই বছরে অনুর্ধ-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ জিততেও অবদান রাখেন স্পেন এর হয়ে। ইনিয়েস্তা এর বার্সা এর হয়ে অভিষেক ঘটে অক্টোবর ২০০২ এ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এর ১ টি ম্যাচ এ। ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় জুড়ে খেলেছেন বার্সেলোনার হয়ে। তিনি বার্সাকে ২০০৪-০৫ সিজনে লিগ টাইটেল জিততে সহায়তা করেন। দলের প্রয়োজনীয় মিডফিল্ডার জাভি হার্নান্দেজ এর ইঞ্জুরিতে তিনি তার রোল প্লে করে বার্সা কে লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ উভয় জিততে যথাযথ অবদান রাখেন। যে ফুটবলারের এক অসাধারণ গোলের সুবাদে ২০১০ সালে স্পেন প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জেতে, তিনি আর কেউ নন, স্পেনের শৈল্পিক মিডফিল্ডার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। ২০১২ ইউরোতে স্পেনের শিরোপা জয়ে যার ছিল গুরুত্বপূর্ণ অবদান। মূলত প্লেমেকার হিসেবে তার জুড়ি মেলা ভার। স্পেনের ও বার্সেলোনার হয়ে ৭৫০টিরও বেশি ম্যাচ খেলা এই প্লেমেকার ক্যারিয়ারে কখনো লাল কার্ড দেখেননি।
- আইপিএল নিলামে ঝড় তুলে বিশাল পারিশ্রমিকে দল পেলেন নাহিদ রানা
- আইপিএল নিলামে দল পেল মুস্তাফিজের দুই সতীর্থ, দেখেনিন সাকিবের অবস্থান
- 2025 IPL নিলাম: অবিশ্বাস্যভাবে এইমাত্র শেষ হলো মুস্তাফিজের নিলাম, দেখেনিন সাকিবের অবস্থান
- ব্রেকিং নিউজ: ১০ কোটি রুপিতে দল পেলেন নাহিদ রানা, দেখেনিন সাকিব ও মুস্তাফিজের অবস্থান
- IPL 2025 নিলামে নতুন চমক: আকাশ ছোয়া মুল্যে দল পেলেন মুস্তাফিজের দুই সতীর্থ, দেখেনিন সাকিবের অবস্থান
- IPL 2025 নিলাম : এইমাত্র শেষ হলো সাকিবের নিলাম
- IPL 2025 নিলাম শেষ হওয়ার দুই দিন পর মুস্তাফিজের উদ্দেশ্যে বার্তা পাঠালো চেন্নাই
- চলছে IPL নিলাম : আকাশ ছোয়া মূল্যে দল পেলেন মুস্তাফিজের সতীর্থ, দেখেনিন নাহিদ রানার অবস্থান
- চলছে IPL নিলাম, দেখেনিন সাকিব মুস্তাফিজের অবস্থান ও এখন পর্যন্ত দল পেলেন যারা
- ব্রেকিং নিউজ :শেষ হলো সাকিব, রিশাদ ও মুস্তাফিজের নিলাম, দেখেনিন লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়ের অবস্থান
- ২০২৫ IPL নিলামে চমক দেখিয়ে রেকর্ড দামে দল পেলেন সাকিব
- IPL নিলাম ২০২৫: মুস্তাফিজ বাদ ধোনির চাওয়াতেই রেকর্ড মুল্যে আইপিএলে দল পেলেন সাকিব
- ব্রেকিং নিউজ : IPL নিলাম: সাকিব মুস্তাফিজ নয় ইতিহাস গড়ে রেকর্ড বিডে যে দলে রিশাদ হোসেন
- 2025 IPL নিলাম: আকাশ ছোয়া মূল্যে দল পেলেন লিটনের সতীর্থ, দেখেনিন সাকিব মুস্তাফিজের অবস্থান
- এইমাত্র পাওয়া: অনেক বড় সুখবর পেলো টাইগার স্পিনার রিশাদ আকাশ ছোয়া মূল্যে পেলো দল