লোহিত সাগরের উপকূলবর্তী ইয়েমেনি বন্দরনগরী হোদাইদায় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের যৌথ বিমান হামলায় অন্ততপক্ষে ৫৫ জন নিহত হয়েছে। আর আহত হয়েছে ১২৪ জনেরও বেশি। হামলায় হতাহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আলজাজিরা এ খবর প্রকাশ করেছে।

বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) রাতে ওই মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হোদাইদা শহরের আল-থাওয়ারা সরকারি হাসপাতাল ও ব্যস্ততম একটি মৎস্য বন্দরে ওই বিমান হামলা চালানো হয়। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ২৮ এবং চীনা সরকারি গণমাধ্যম সিনহুয়া শুক্রবার ভোরে ৭০ জন নিহতের কথা উল্লেখ করেছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস বলছে, তারা ওই এলাকায় অস্ত্রোপচারের উপকরণ পাঠিয়েছে যা দিয়ে ৫০ জনের বেশি লোকের চিকিৎসা করা যাবে। রেড ক্রস ওই হাসপাতালে আগে থেকেই সহযোগিতা করে আসছে। হোদাইদা প্রশাসনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাহা আল-মুতাওয়াকিল বলেন, ‘আমরা যা দেখছি তা জঘন্য অপরাধ।’ এ ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেও দায়ী করেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে দেশটির হুথি বিদ্রোহীরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমর্থিত ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দু রাবু মানসুর হাদির পতন ঘটালে আমেরিকার সহযোগিতা নিয়ে হুথিবিরোধী অভিযান শুরু করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।হুথিদের বিরুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দশ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া চরম খাদ্য সংকটে এক লাখের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে