বাসাবাড়ীর কাজের ভিসা বা ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার,ইনভেস্টার, ক্যাটাগরীর ভিসা খুলা থাকলেও তাও সিমিত। দেখা গেছে এসব ক্যাটাগরীতে বাংলাদেশীরা ভিসা করতে গিয়ে অনেক হিমসিম খেতে হচ্ছে।

সাধারণ ক্ষমার অাওতায় অবৈধ অভিবাসীরা কাজের সন্ধ্যানে অস্থায়ী ভাবে ৬ মাসের ভিসা লাগানোর সুযোগের কথা বলা হলেও এ সুযোগটি বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে কতটুকু প্রযোয্য হবে তা নিয়েও রয়েছে সন্দেহ। কেননা শ্রমিকদের জন্য ভিসা চালু না থাকায় ৬ মাসের অস্থায়ী ভিসা দিয়ে বাংলাদেশীদের কাজের ভিসার সন্দান করতে দেয়ার যৌতিকতার প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে প্রবাসে অবস্থানরত সচেতন মহলে।

এ সময়ে সাধারণ ক্ষমার বিষয়টি কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশীদের জন্য শ্রমিক ভিসা খুলে দেওয়া অথবা অবৈধ অভিবাসীদের জন্য শ্রমিক ক্যাটাগরিতে ভিসা লাগানোর ব্যবস্থা করে দেয়ার প্রস্তাবনাটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোরালো করতে পারলে কোন না কোন ফলাফল বেরিয়ে অাসতো বলে অনেকে মনে করেন। কিন্তু এ ধরনের কোন প্রস্তাব জোরালো ছিলনা বলে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলোর সাথে অালাপকালে জানাযায়।

তবে সাধারণ ক্ষমার বিষয় নিয়ে অামিরাত সরকারের যে সকল কর্মসূচী রয়েছে এসব কর্মসূচী বাস্তবায়নে বাংলাদেশ মিশনগুলোর তৎপরতা চোখে পড়ার মত।অভিজ্ঞ মহল মনে করেন এ সাধারণ ক্ষমার সুযোগ পেয়েও বাংলাদেশীরা সুযোগের সৎব্যবহার না করলে পরবর্তিকালে প্রতিটি অবৈধ অভিবাসীর জন্য চরম বিপদ নেমে অাসতে পারে। কেননা বর্তমান সাধারণ ক্ষমায় অবৈধ অভিবাসীদের কোন জেল জরিমানা ছাড়া অামিরাত ছাড়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। পাশা পাশী তাদের পূনরায় বৈধভাবে অামিরাতে প্রবেসের সুযোগও দেয়া হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে যদি ব্যতিক্রম হয় তাহলে জেল জরিমানা সহ চিরতরে অামিরাত ছাড়া সহ মিডলিষ্টে প্রবেসের অার কোন সুযোগ থাকবেনা অবৈধ ভাবে অবস্থানকারীদের। এ জন্য সকল অবৈধ অভিবাসীদের এ বারের সাধারণ ক্ষমা প্রসঙ্গে অনেক বেশী সচেতেন হওয়া উচিত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে সাধারণ ক্ষমা প্রসঙ্গে অাবুধাবী বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাইস্থ বাংলাদেশ কন্স্যুলেট বিশেষ উদ্যোগ গ্রহন করেছে।অবৈধ অভিবাসীরা যাতে দ্রুত পাসপোর্ট ও অাউট পাস নিয়ে সাধারন ক্ষমার সুযোগ নিতে পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

সাধারণ ক্ষমা উপলক্ষে অাউটপাস ৬০ দিরহামের পরিবর্তে ২০ দিরহাম করা হয়েছে।দুবাই ও অাবুধাবী ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশ দূতাবাস ও কন্স্যূলেটের পক্ষ থেকে বাংলাদেশীদের সেবা দেয়ার জন্য বিশেষ সার্ভিস সেন্টার খুলা হয়েছে।দূতাবাস ও কন্স্যূলেটের পক্ষ থেকে পৃথক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি প্রসঙ্গে সকলকে অবগত করা হয়েছে।

সংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে অামিরাতে বাংলাদেশ নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান অার দুবাইয়ে নিযুক্ত কন্স্যাল জেনারেল বদিরুজ্জামান প্রবাসী বাংলাদেশীদের সচেতন করার জন্য সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করেন।অাৃমিরাতে বর্তমানে অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে বেশী সংখ্যক বাংলাদেশী ভিজিট ভিসায় এসে নির্ধারিত সময় না গিয়ে অবৈধ হয়ে পড়েছেন। এসকল অভিবাসীদের জন্য সাধারন ক্ষমার অাওতায় নির্ধিষ্ট কোন রোল না থাকলেও অবৈধ অভিবাসী হিসেবে তারাও একি অাইনের অাওতায় পরবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

তবে অার ক দিন পর বিষয়টি প্রসঙ্গে পরিস্কার ধারনা পাওয়া যাবে বলে কন্স্যূলেটের এক কর্মকর্তা জানান। কিন্তু অামিরাতে বাংলাদেশের বিশাল শ্রমবাজার ফিরে পেতে এবং অামিরাত সরকারের সাথে বন্ধুত্ব জোরালো করতে অবৈধ বাংলাদেশীদের অামিরাত ত্যাগ ও বধৈ হওয়ার জন্য সচেতন করতে সকলকে একযোগে কাজ অাহবান জানিয়েছেন প্রবাসী নেতৃবৃন্দরা।