দুঃখ একটাই জিয়ার বিচারটা করতে পারলাম না: প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়ার যা পরিণতি হয়েছিল তা তার অবধারিত। তবে আমার দুঃখ একটাই যে, তার বিচারটা আমি করতে পারলাম না। তার আগেই সে মরে গেলো। কারণ শত বাধা অতিক্রম করে ২১ বছর পর ৯৬ সালে যখন আমি সরকার গঠন করলাম, তখন ওই ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিল করে দিয়ে আমরা জাতির পিতার খুনিদের বিচারের কাজ শুরু করি।’
তিনি বলেন, ‘এই বিচারের কাজ করতে গিয়ে অনেক বাধা, অনেক অনেক হুমকি-ধামকি পেয়েছি। অনেক কিছুই আমাকে মোকাবেলা করতে হয়েছে। কিন্তু আমি জানি যে, এই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া যায় না। আমি আর রেহানা বিদেশের মাটিতে ছিলাম বলে বেঁচে গিয়েছিলাম। তাই এটা আমাদের অঙ্গীকার ছিল যে, এই খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতে করবোই। আর সেই সাথে সাথেই বাংলাদেশকে গড়ে তুলব জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্যমুক্ত।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখী মানুষের মুখে জাতির পিতা হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। সেই হাসি ফোটাব। এটাই ছিল আমাদের জীবনের প্রতিজ্ঞা। সেই খুনিদের বিচার করেছি। যেই কয়টা খুনি আমাদের হাতে ছিল তার রায়ও আমরা কার্যকর করেছি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা চাকরি করেছিল। তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল জিয়াউর রহমান। কেন পুরস্কৃত করেছিল? জিয়া এই ঘটনার সাথে সম্পূর্ণ জড়িত ছিল বলেই এই খুনিদেরকে পুরস্কৃত করেছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাকে আর রেহানাকে দেশে আসতে দেয়া হয়নি। রেহানার পাসপোর্ট পর্যন্ত রিনিউ করে দেয়নি জিয়াউর রহমান। আওয়ামী লীগ যখন আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করে, জোর করে আমি তখন দেশে ফিরে আসি।’
‘আমাকে কিন্তু দেশে আসার পর এই বাড়িতে (ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি) ঢুকতে দেয়া হয়নি। এই বাড়ির গেইটে তালা ছিল। এই রাস্তার উপর বসে বাবা-মা ও ভাইবোনের জন্য মিলাদ পড়েছিলাম আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ আমরা’ যোগ করেন তিনি।
এসময় আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘খুনি মুস্তাক আমাদের দলেরই একজন ছিল। সেও বেঈমানি করল, মুনাফেকি করল। কিন্তু তিনমাসও ক্ষমতায় থাকতে পারেনি।’
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সায়েম সাহেবকে বঙ্গভবনে অস্ত্র ঠেকিয়ে ক্ষমতা থেকে বের করে দিয়ে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে ক্ষমতা দখল করেছিল। ইতিহাস বিকৃতি শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নস্যাৎ করা হয়। একের পর এক ক্যু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর বাংলাদেশে ১৯টা ক্যু হয়েছিল। সেনাবাহিনীর বহু অফিসার, বহু সৈনিক, বিমান বাহিনীর অফিসারদেরকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা অফিসার কেউই ছিল না, একে একে সবাইকেই মেরে ফেলেছিল। শুধু দু-চারজন ছিল, যারা জিয়ার সাথে দালালি করেছিল। এদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া ধ্বংস করেছিল।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে জাতির পিতার নামটা সম্পূর্ণ মুছে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে পারে না। ইতিহাস প্রতিশোধ নেয়। বাংলাদেশের কথা বললেই বঙ্গবন্ধুর কথা আসে। সত্যকে কেউ কখনো চাপা দিয়ে রাখতে পারে না।
- ৪ না মেরে ছক্কা হাঁকানোয় বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বদলে বাংলাদেশ
- নতুন ঘোষণা দিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- চরম দু:সংবাদ : ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ
- আজ বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- হাসিনার বিরুদ্ধে ফেটে পড়ল ভারত! বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ ভারতীয় সাংবাদিক
- ফাঁদে পড়লেন ওবায়দুল কাদের, এবার পালাবেন কোথাই
- রাজস্থানে 'রক্তপাত' ভড়কে গিয়ে দ্রাবিড় যা বললেন...
- কঠিন সমীকরণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের আসল কারণ ফাঁস
- বৃদ্ধের ট্রেনের নিচে ঝাঁ-প দেওয়ার আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- I Love You নয়, বলুন এই কথাগুলো – প্রেমে পড়বে সেকেন্ডেই
- পিএসএলে ইতিহাস গড়লেন হাসান আলি, ভাঙলেন ওয়াহাব রিয়াজের রেকর্ড
- ভয়াবহ ভূমিকম্প : বিধ্বস্ত ৮০ ভাগ সরকারি ভবন
- পাকিস্তানকে মাঝারি রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ