এবার সিনেমাটিক ভাবে গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করছে ক্ষুদে ছাত্ররা!

গত রোববার দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের জাবালে নূর ও নূরে মক্কা পরিবহনের রেষারেষিতে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। একই ঘটনায় আহত হয় আরও ১০-১৫ শিক্ষার্থী। নিহতরা হলেন- শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির আবদুল করিম এবং একাদশ শ্রেণির দিয়া খানম মিম।
তবে এবারের আন্দোলেনের কারণে সড়কে যানবাহন চলাচল করতে না দেয়ায় জনসাধারণকে মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে গন্তব্যে গেলেও ছিলো না কোন উচ্চবাচ্য। বরং আন্দোলনের সময়ে ভোগান্তি হলেও প্রকাশ্যে অনেকেই শিক্ষার্থীদের সমর্থন করছেন।
শুধু তাই নয় সকালে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ রাস্তায় বাস দাঁড় করিয়ে স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীরা জানতে চাইছে ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কিনা! থাকলে চলে যাও। না হলে যাত্রী নামিয়ে চালক ও গাড়ি আটক এবং মৃদু ভাংচুর।
আর এ ঘটনাটি ফেসবুক শেয়ার করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিজের অবস্থান প্রকাশ করা অপূর্ণ রুবেল নামে একজন।
তিনি তার ফেসবুক লেখেন, ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে? নাই! তাহলে এই গাড়ি যাবে না। বহুদিন পর মনে হলো একটা অসাধারণ দৃশ্য দেখলাম। সকাল বেলাই মনটা আনন্দে ভরে উঠলো। এত এত হতাশার মধ্যে কেউ একজন আছে জানতে চাওয়ার, আমি নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারব কি না! প্রচুর অযোগ্য মানুষের হাতে স্টিয়ারিং চলে যাওয়া এই দেশ এখনো পথ হারায়নি বোধ হয়।’
তিনি লেখেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) সকালে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ রাস্তায় বাস দাঁড় করিয়েছে আশপাশের স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীরা। তারা জানতে চাইছে, ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কিনা! থাকলে চলে যাও। না হলে যাত্রী নামিয়ে চালক ও গাড়ি আটক এবং মৃদু ভাংচুর।’
অপূর্ব রুবেল পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, ‘এই দৃশ্য স্বচক্ষে দেখার একটা আনন্দ আছে। যে কাজটা পুলিশের করার কথা, যে কাজটা ক্ষমতাবানদের করার কথা, যে কাজটার জন্য দিব্যি একটা প্রতিষ্ঠানই রয়েছে, সেই কাজটা শুরু করেছে ছাত্ররা। এই লজ্জা মাথায় নিয়েই তো ক্ষমতাবানদের তিনবার মরে যাওয়া উচিত। যদিও তাদের লজ্জাশরম আছে বলে আমার জানা নাই? আপনাদের জানা থাকলে বইলেন।’
আর এ বিষয়টি নিয়ে অনিন্দ মামুন নামে এক সংবাদকর্মী বলেন, ‘বাসের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম। অফিসে আসতে লেট হচ্ছিল। অন্যদিন এভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে কান্না চলে আসে। বিরক্ত লাগে। মনে হয় শহর ছেড়ে মায়ের কোলে ফিরে যাই। আজ ভালো লাগলো। একটুও বিরক্তি লাগলো না। কারওয়ান বাজার নবম-দশম কিংবা ইন্টারমিডিয়েট শ্রেণির ছাত্ররা বাস ভাঙছে। অহেতুক কারণে নয়, প্রথমে ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করছে ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে? না, নাই। এমন উত্তরে বলছেন, তাহলে এই গাড়ি যাবে না। বলেই এলোপাতাড়ি ভাংচুর।’
তিনি বিষয়টি সিনেমাটিক বলে মন্তব্য করে বলেন, ‘বিষয়টি সিনেমাটিক মনে হলো। এমন করে বাংলা ছবির নায়কদের দেখেছি। এই প্রথম বাস্তবে দেখলাম। যে কাজটি পুলিশ করতে পারছে না তা আমাদের ছোট ছোট ভাইয়েরা কত সহজে করে দিচ্ছে।’
- নতুন ঘোষণা দিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান
- ৪ না মেরে ছক্কা হাঁকানোয় বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বদলে বাংলাদেশ
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- চরম দু:সংবাদ : ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ
- আজ বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- হাসিনার বিরুদ্ধে ফেটে পড়ল ভারত! বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ ভারতীয় সাংবাদিক
- ফাঁদে পড়লেন ওবায়দুল কাদের, এবার পালাবেন কোথাই
- কঠিন সমীকরণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ
- রাজস্থানে 'রক্তপাত' ভড়কে গিয়ে দ্রাবিড় যা বললেন...
- বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের আসল কারণ ফাঁস
- পিএসএলে ইতিহাস গড়লেন হাসান আলি, ভাঙলেন ওয়াহাব রিয়াজের রেকর্ড
- I Love You নয়, বলুন এই কথাগুলো – প্রেমে পড়বে সেকেন্ডেই
- বৃদ্ধের ট্রেনের নিচে ঝাঁ-প দেওয়ার আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- ভয়াবহ ভূমিকম্প : বিধ্বস্ত ৮০ ভাগ সরকারি ভবন
- পাকিস্তানকে মাঝারি রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ