অভিযোগ উঠেছে, নগরীর বিল সিমলা এলাকায় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স কেন্দ্রে (পুরুষ) মেয়র পদে নৌকা প্রতীক ও কাউন্সিলর পদে একজন প্রার্থী ছাড়া আর কোনো প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এর বাইরে নগরীর আরো কয়েকটি কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট প্রবেশে বাধা দেয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার সকাল ৮টা থেকে নগরীর ১৩৮ কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই চলছে ভোটগ্রহণ। নগরজুড়ে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

খবর পেয়ে সকাল ৮টার দিকে শিরোইল কেন্দ্রে যান ধানের শীষ প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সকল এজেন্টরা কেন্দ্রে পৌঁছেছেন। কিন্তু তাদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। আমি এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এখানে অপেক্ষা করছি এবং প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে মিনতি করছি আমার এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হোক। কিন্তু তিনি তাদের ঢুকতে দিচ্ছেন না।

শিরোইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মহিলা কেন্দ্রের বজেন্দ্রনাথ সরকার এবং পুরুষ কেন্দ্রের জাকির হোসেন মিয়া প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন।

এ বিষয়ে বজেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ‘এজেন্টরা সময়মতো আসেননি। আমরা ৮টা পর্যন্ত যারা এসেছেন তাদের গ্রহণ করেছি। এখন এলে তো আমরা আর নিতে পারি না।’

অন্যদিকে বিল সিমলা এলাকায় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স কেন্দ্রে (পুরুষ) কাউন্সিলর পদে ঘুড়ি প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুর রহমানের পোলিং এজেন্ট মো. বাবলুর রহমানকে কেন্দ্রের ফটক থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বাবলুর রহমান অভিযোগ করেন, লাটিম প্রতীক নিয়ে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মিজানুর রহমানের সমর্থকরা তাকে কেন্দ্রে ঢোকার সময় চ্যালেঞ্জ করে। এক পর্যায়ে তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে চলে যেতে বলে।

রাজশাহী সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হচ্ছেন মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। এ ছাড়া মেয়র পদে কাঁঠাল প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মো. হাবিবুর রহমান, হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী শাসন আন্দোলনের মো. শফিকুল ইসলাম ও হাতী প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মুরাদ মোর্শেদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উৎসবমুখর পরিবেশে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। এবার রাজশাহীতে ভোটার তিন লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। এদের মধ্যে এক লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন নারী ভোটার এবং এক লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন পুরুষ।

সুত্র;জাগোনিউজ২৪