আর চুপ থাকা হলো না মাশরাফির

বুধবারের (২৫ জুলাই) ওই ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ২৭১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জয়ের লক্ষ্যে অসাধারণ ব্যাটিং উপহার দেন টপঅর্ডারের সিনিয়র ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু খটকা লাগে ফিনিসিংয়ে গিয়ে। মাহমুদউল্লাহ-মুশিফিকের বিদায়ের পর সাব্বির-মোসাদ্দেকের খামখেয়ালিপনায় শেষ অবধি তিন রানে জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অথচ ম্যাচটিতে শেষ ওভারে মাত্র ৮ রানের প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। হাতে ছিল অর্ধেকের বেশি উইকেটে।
কিন্তু হায়, সহজ সমীকরণকে কঠিনে রূপ দিলেন মোসাদ্দেক। যদিও এখানে সিনিয়র মুশফিকুর রহীমের দোষ দেয়া যেতে পারে। কারণ এক অন্যন্য অসাধারণ ইনিংস খেলার পর ফিনিসিংয়ে ব্যর্থতার পরিচয় দেন তিনি। কিন্তু উইকেটকিপারকে দোষ দিয়ে লাভ কি? তার উইকেটের পরও তো আরো বেশ কয়েকটি উইকেট অবশিষ্ট ছিল বাংলাদেশের। এক্ষেত্রে মোসাদ্দেক-সাব্বিরের ওপরই দায়ভারটা বর্তায়।
শুধু সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ নয়। সিরিজের পুরো অংশজুড়ে নিদারুণ ব্যর্থ জুনিয়ররা। বিশেষ করে সাব্বির-এনামুল ও মোসাদ্দেকের পারফর্ম ছিল চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর মতো। ওয়ানডে সিরিজে তিন ম্যাচে মোটে ৩৩ রান করেছেন এনামুল। যা একজন ওপেনারের নামের পাশে মোটেও যায় না। অথচ প্রস্তুতি ম্যাচে লিটন কুমার দাসের ৭০ রানের ইনিংস খেলার পরও তাকে বসিয়ে সুযোগ দেয়া হয় এনামুলকে। অন্যদিকে বিতর্কিত ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমানের সংগ্রহ একেবারে নাজুক। তিন ম্যাচে মাত্র ২৭ রান করেছেন তিনি। যা বড়ই হাস্যকর। শেষ মুহুর্তে ধুম ধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের জন্য নামানো হলেও প্রতিটি ম্যাচে খুব বাজেভাবে আউট হয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। মোসাদ্দেকের অবস্থা আরো করুণ। দুই ইনিংসে ১৪ রান জমা পড়ে তার ঝুলিতে।
জুনিয়র টাইগারদের এমন বাজে পারফর্ম মোটেও মেনে নিতে পারছেন না সিনিয়ররা। শেষ পর্যন্ত এ নিয়ে মুখ খুলেছেন অধিনায়ক মাশরাফি। স্রেফ জানিয়ে দিলেন, ‘জুনিয়রদের আরো দায়িত্ববান হওয়া উচিত। তাদের উচিত সিনিয়রদের হেল্প করা।’ এমনিতেই মাশরাফির ব্যাপারে সাংবাদিকদের বক্তব্য, জুনিয়রদের চরম ব্যর্থতার দিনেও আগলে রাখেন তিনি। সাহস দেন, জোগান প্রেরণা। বছরের শুরুতে যার প্রমাণ দেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। বার বার ব্যর্থ হওয়ার পরও ত্রিদেশীয় সিরিজে এনামুলক হক বিজয়কে খেলিয়েছেন প্রতিটি ম্যাচে। একই অবস্থা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও। তারপরও নিজের নামের সুবিচার করতে পারেননি তিনি। আর তাই হয়তো কিছুটা হলেও বিরক্ত ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাসি।
তারপরও আক্ষরিক অর্থে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু মাশরাফির মতে, ‘জয় পেলেও আমাদের অনেক ঘাটতি রয়েছে।এই ঘাটতিগুলো না পূরণ হলে অদূরেই সমস্যায় পড়তে হবে আমাদের।’ বিশেষ করে আসন্ন টি-২০ সিরিজ নিয়ে সতর্কবার্তা ক্যাপ্টেনের।
জুনিয়রদের নিয়ে মেজাজ ক্ষীণ হলেও দারুণ প্রশংসায় মেতেছেন সিনিয়র সাকিব-তামিম ও মুশিকে নিয়ে। এছাড়া রুবেলের বোলিংয়ের গুণগান গেয়েছেন তিনি।
- এক ঘোষণাতে অস্থির পেঁয়াজের বাজার
- একটা বাচ্চা ছেলেও বলবে এটা ম্যাচ ফিক্সিং ছিলো
- চলে যাওয়ার আগে দেশের সেরা অধিনায়কের নাম বলে গেলেন ইমরুল কায়েস
- ভয়াবহ বিপদে ‘কাউয়া’ কাদের, এবার পালাবেন কোথায়
- মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া
- সৌদি প্রবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ: জেল, জরিমানা ও বহিষ্কার হতে পারেন আপনিও
- অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে লাহোরের সেরা বোলার আজ রিশাদ হোসেন
- রাজপথ দখল করতে চায় আ. লীগ, যেভাবে চলছে প্রস্তুতি
- ছুটি ও বেতন ইস্যুতে বড় সুখবর
- আবারও উইকেট হারালো বাংলাদেশ, দেখেনিন স্কোর
- সৌদি আরবের ইকামা ও ভিসা নিয়ে পাওয়া নতুন খবর
- শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর: বাড়ছে...
- ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ সংঘর্ষ, মা-বোনের আকুতি; ওরে মাইরা ফালাইবো, ওরে বাঁচান
- তৃতীয় দিন শেষে ৬০ রানে অপরাজিত শান্ত,দেখেনিন স্কোরবোর্ড
- বাংলাদেশকে অনেক বড় সুখবর দিল কাতার