প্রোভিডেন্সের উইকেটে চার টাইগার আলো জ্বালিয়ে রাখলেন ম্যাচের শেষ অবদি। চার টাইগারের ব্যাট একই দিনে জ্বলে উঠেছে। এক ম্যাচে তিন টাইগারের ব্যাটে ফিফটি, তামিম (৫৪), সাকিব (৫৬) আর মুশফিক (৬৮)। ভাগ্য খারাপ বলতে হবে মাহমুদুল্লাহ-র। এ বছর মিরপুরের উইকেটে লংকার বিপক্ষে ৭৬ রানের পর ক্যারিয়ারে ১৯ম ফিফটি সুযোগটা হাতছাড়া হলো মুশফিকের ‘মিস কলে’।

মুশফিকের এই ‘মিস কল’ ছাড়াও তাঁর শেষ দিকে তুলে মারার খেসাতর দলকে ৩ রানে হেরে দিতে হলো। মুশফিক টিকে থাকলে শেষ ৬ বলে ৮ রান স্কোর বোর্ডে জমা করা কঠিন কিছু ছিল না। কারণ তিনি ছিলেন সেট ব্যাটসম্যান। এখন সিরিজ জয়ের জন্য ২৮ জুলাই তাঁকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। শেষ ম্যাচটা এখন দুই দলের জন্য সিরিজ ফাইনাল।

প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ৪৮ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ৩ রানে হার হজম হলো ব্যাটসম্যানদের ভূলে। ২৭২ রানের টার্গেটে জয়ের মিশন নিয়ে ক্রিজে নামা ওপেনার তামিম আর এনামুল বেশি দূর যেতে ব্যর্থ হলেও ৩২ রান যোগ করেই আউট হন এনামুল। এর পর তো সেই তামিম-সাকিবের গপ্পের শুরু। নিজের ১৮১তম ম্যাচে ৪২তম ওয়ানডে ফিফটি পূরণ করেই তামিম আউট হন ৫৪ রান করে। কম যাননি আগের ম্যাচে ৯৭ রানে আউট হওয়া সাকিব।

বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব ১৮৭ম ম্যাচে ৩৯ম ফিফটি করলেন, ৫৬ রানে ক্যাচ আউট হন। ম্যাচের ২৯.২ ওভারে সাকিব দলের ১৪৫ রানে সাঁজ ঘরে ফেরত যাবার পর সবে ক্রিজে নামা মুশফিকের সঙ্গী হলের মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মুশফিক ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৮৬ম ম্যাচে ৫৬ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কা দিয়ে পূরণ করলেন নিজেনর ২৯ম ফিফটি। লেখাটা হতে পারত একই দিনে চার টাইহারের চার ফিফটি! কিন্তু মুশফিকের ‘মিস কলের’ কারণে মাহমুদুল্লাহ-র ফিফটি হলো না।