| ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম

বিকাশ না সর্বনাশ?

জাতীয় ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০১৮ জুলাই ২০ ১৫:৩৪:০৮
বিকাশ না সর্বনাশ?

ভাই একটু ভালো করে চেক করেন। আমি আবার ফোন দিচ্ছি। ফোন কাটতেই শফিউল মোবাইলে একটা মেসেজ দেখতে পান। ইংরেজি অক্ষরে লেখা রয়েছে বিকাশের নাম। সঙ্গে টাকার এমাউন্ট লেখা। স্ক্রিনে ভেসে আছে মোট টাকার অঙ্ক। আগের ব্যালান্সসহ মোট টাকার অঙ্ক। রোজা রমজানের দিন এই ঘটনা দেখে শফিউলের মনটা নরম হয়ে গেল। তিনি ভাবছেন, আহা বেচারি কি বিপদেই তাহলে পড়ল। তত্ক্ষণাৎ আগের নম্বর থেকে আবারও ফোন। ভাই মেসেজ আসছে। শফিউল বলেন, হ্যাঁ ভাই আসছে। ভাই, খুব বিপদে পড়ে গেছি।

তাড়াতাড়ি ভাই আমি একটা নম্বর দিচ্ছি। আমার নম্বরে টাকাটা একটু সেন্ড মানি করে দেন ভাই। এমন আকুতি শুনে শফিউল তাড়াতাড়ি সেন্ড মানি করে দেন। ভাবটা এমন, রোজা রমজানের দিনে একজন মানুষকে সহযোগিতা করে পুণ্যের কাজ করলেন। শফিউলের মনটা ভালো লাগছে। কিন্তু আসল ঘটনা তিনি টের পান আরও কিছু সময় পর। তিনি বিকাশ দোকানে গিয়ে নিজ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উঠাতে যান। তিনি দেখেন অ্যাকাউন্ট ফাঁকা। তখন ভাবতে শুরু করেন টাকা কী হলো। পরক্ষণেই সেই অজ্ঞাত লোকের ফোন কলের কথা মনে পড়ল। তিনি নিশ্চিত হন, তিনি প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে টাকাগুলো খুইয়েছেন। শফিউল আলম তত্ক্ষণাৎ সেই নম্বরে ফোন দিলেন। ফোন রিসিভ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শফিউল বললেন, ভাই টাকাটা কি ফেরত দেওয়া যায়?

চিকন কণ্ঠের সেই লোকটি রাখঢাক ছাড়াই বলল, নাহ্। দিমু না। পারলে কিছু করেন গা। আর ফোন দিয়েন না। দিলে বিপদে পড়বেন। শফিউল আলম ভাবছেন, কীভাবে তিনি প্রতারণার ফাঁদে পড়লেন। তিনি ভালো করে মেসেজটি আবার পড়তে শুরু করলেন। প্রথমেই বিরাট গলদ ছিল মেসেজে। যা শফিউল খেয়াল করতে পারেনি। বিকাশ বানানটি ভুল ছিল, যা খেয়াল করেননি শফিউল। শুধু তাই নয়, নিজের অ্যাকাউন্টটিও চেক করেননি তিনি সেন্ড করার আগে। চেক করলে হয়তো তিনি ভুল করতেন না। ইদানীং আবার শুরু হয়েছে নতুন প্রতারণা। বিভিন্নজনকে ফোন করে বলা হয়, ‘বিকাশ অফিস থেকে বলছি। আপনার পার্সোনাল মোবাইল নম্বর কি বিকাশ করা?’ যিনি হ্যাঁ উত্তর দিচ্ছেন তারই হচ্ছে সর্বনাশ। মুহূর্তে শূন্য হয়ে যাচ্ছে বিকাশ অ্যাকাউন্টের ব্যালান্স। বাংলাদেশের ভিতর এবং দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর বৈধ এবং অবৈধ দুটো ক্ষেত্রেই নাম কুড়িয়েছে বিকাশ। এর মূল কারণ হলো, কোনো রকম সঠিক পরিচয় এবং অ্যাকাউন্ট খোলা ছাড়াই যে কেউ (এমনকি জঙ্গিরাও) অন্য আরেকজনকে টাকা পাঠাতে পারে। মানি-লন্ডারিংয়ের জন্য তো বিকাশ অন্যতম।

বিকাশের মাধ্যমে কত মানুষের টাকা যে জলে গেছে তারও শেষ নেই। দিন দিন নতুন নতুন প্রতারণার ফাঁদ বের করছে। নানা কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। পুলিশ বলছে, বিকাশ প্রতারণার শিকার হওয়ার মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। হালে সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। সারা দেশেই প্রতিদিন এমন প্রতারণার শিকার হওয়া ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করছেন। কিন্তু প্রতারক চক্রের সদস্যরা গ্রেফতারও হচ্ছে। কিন্তু বন্ধ হচ্ছে না বিকাশ প্রতারণা।–বাংলাদেশ প্রতিদিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

ক্রিকেট

IPL নিলাম : আকাশ ছোয়া মুল্যে আফগান ক্রিকেটারকে কিনলো মুম্বাই

IPL নিলাম : আকাশ ছোয়া মুল্যে আফগান ক্রিকেটারকে কিনলো মুম্বাই

চলছে আইপিএলের বড় নিলাম। রবিবার প্রথম দিনের নিলাম হয়েছে। সোমবার হবে দ্বিতীয় দিনের নিলাম। প্রথম ...

ipl নিলামের মধ্যেই ক্রিকেট বিশ্বকে অবাক করে ইনিংস ঘোষণা করলো মেহেদী হাসান মিরাজ

ipl নিলামের মধ্যেই ক্রিকেট বিশ্বকে অবাক করে ইনিংস ঘোষণা করলো মেহেদী হাসান মিরাজ

চতুর্থ দিনের শুরুতেই ক্রিকেটবিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষে ৯ উইকেটে ২৬৯ রান ...

ফুটবল

পয়েন্ট টেবিল প্রকাশ : ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে আরও যত পয়েন্ট দরকার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার

পয়েন্ট টেবিল প্রকাশ : ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে আরও যত পয়েন্ট দরকার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার

২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক ফুটবল সূচির প্রায় শেষ প্রান্তে এসে নিজেদের বছরের শেষ ম্যাচ খেলেছে দক্ষিণ ...

এইমাত্র পাওয়া : ব্রাজিলকে কাঁদিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

এইমাত্র পাওয়া : ব্রাজিলকে কাঁদিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

কয়েক দিন আগেই পেরুর লিমাতে পর্দা উঠেছিল দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের অনূর্ধ্ব-২০ ফুটসাল টুর্নামেন্ট। যেখানে দ্বিতীয় ...



রে