জানা গেছে, ৩০ বছর বয়সী একজন মানুষ কজওয়ের কাছের পাইপলাইনের দিকে সাঁতার কেটে যাচ্ছে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার গভীররাতে সিঙ্গাপুরের অভিবাসন ও সীমান্ত কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের কাছে খবর আসে। পরবর্তী সময়ে অভিবাসন এবং কোস্টগার্ড পুলিশের কর্মকর্তারা তল্লাশি চালিয়ে তাকে পানির পাইপলাইনের নীচে খুঁজে পায়। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়।

কিন্তু ঘটনা এখানেই শেষ হলেই বুঝি ভালো হতো। কিন্তু হয়নি। পরবর্তীতে অভিবাসন ও সীমান্ত কর্মকর্তারা উডল্যান্ড ওয়াটারফ্রন্ট এলাকায় দেখতে পান যে একটি বেড়ার গায়ে নীল জিনসের প্যান্ট ঝুলছে। তখন আরেক দফা পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ৩৪ ও ৩৭ বছর বয়সী আরো দুই জন বাংলাদেশিকে দেখতে পায়, যারা প্রথম ব্যক্তিকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করছিল। তখন তাদের কেউ গ্রেফতার করে স্থানীয় পুলিশ।

পুলিশ জানায়, প্রথম ব্যক্তির সিঙ্গাপুরে ভিসার মেয়াদ পার হওয়ার পরেও সেখানে থাকছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি অবৈধভাবে সিঙ্গাপুর থেকে পালিয়ে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এক্ষেত্রে তিনি বেছে নিয়েছিলেন এই পানি পথ।

দেশটির আইন অনুযায়ী, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সিঙ্গাপুরে থাকা কিংবা অবৈধভাবে সেদেশে ঢোকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছয়মাসের জেল কিংবা তিনটি বেত্রাঘাতের দণ্ড দেয়া যেতে পারে। অপরদিকে প্রথম ব্যক্তিকে অবৈধভাবে সিঙ্গাপুর ত্যাগে সাহায্য করার অপরাধ প্রমাণিত হলে বাকী দু’জনের ছয়মাস থেকে দুই বছরের জেল এবং ৬,০০০ সিঙ্গাপুর ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।