কনের ভাই বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হন। স্বজনরা দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। মুহূর্তেই বিয়ে বাড়িটি পরিণত হয় শোকের বাড়িতে। এ ঘটনায় শুক্রবার বিয়ের অনুষ্ঠানও স্থগিত হয়ে যায়।

নিহত শামসুল আলম (২৪) ওই গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে। তিনি উপজেলার বরমী ডিগ্রী কলেজের স্নাতক ব্যবস্থপনা বিষয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

নিহতের স্বজনদের তথ্যমতে, শুক্রবার ছিল শামসুল আলমের বড় বোনের বিয়ে। বৃহস্পতিবার সারাদিন বিয়ের নানা বিষয় তদারকিতে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। পরে রাত ২টার দিকে সর্বশেষ প্রস্তুতি দেখার জন্য ঘর থেকে বের হন। এ সময় বিয়ের প্যান্ডেলে স্থাপন করা বৈদ্যুতিক পাখার তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি।

সঙ্গে সঙ্গে স্বজনরা উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এখন স্বজনরা বিয়ের অনুষ্ঠান স্থগিত করে ছেলের মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।