ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া। শুরুটা দুর্দান্ত করে ইংলিশরা। ৫ মিনিটেই গোল পেয়ে যায় তারা। কেইরান ট্রিপারের দুর্দান্ত ফ্রি-কিক গোলকিপার ড্যানিয়েল সুবাসিচকে ফাঁকি দিয়ে জড়ায় ক্রোয়েশিয়ার জালে। এতে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।

এগিয়ে গিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে ইংল্যান্ড। মুহর্মুহু আক্রমণে ক্রোয়েশিয়াকে ব্যতিব্যস্ত রাখে তারা। একাধিক গোলও পেতে পারতো। তবে ১৪ ও ৩৬ মিনিটে দুটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন হ্যারি ম্যাগুইরে ও জেসি লিঙ্গার্ড। মাঝে পাল্টা আক্রমণে সুযোগ সৃষ্টি করেছিল ক্রোয়েশিয়াও। তবে তারা স্বার্থ হাসিল করতে পারেনি। ১৯ ও ২৩ মিনিটে নাগালে পাওয়া সুযোগ হাতছাড়া করেন ইভান পেরেসিচ। আর ৪৩ মিনিটে মিস করেন সিমে ভ্রাসালকো। ফলে ১-০ গোলে পিছিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

পিছিয়ে পড়ে গোল পেতে মরিয়া হয়ে পড়েছিল ক্রোয়েশিয়া। আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছিল ক্রোয়াটরা। হানছিল একের পর এক আক্রমণ। অবশেষে তাদের প্রচেষ্টা আলোর মুখ দেখল। ৬৮ মিনিটে সিমে ভ্রাসালকোর অনন্যাসাধারণ থ্রু থেকে নিশানাভেদ করলেন ইভান পেরেসিচ। এতে লড়াইয়ে ফিরল ক্রোয়েশিয়া।

ম্যাচের স্কোরকার্ড- ১২১ মিনিটের খেলা শেষে ম্যাচের ফলাফল : ক্রোয়েশিয়া ২ ইংল্যান্ড ১ । ম্যাচের ৫ মিনিটে দূর্দান্ত এক ফ্রি কিকে গোল করেন কিয়েরান ট্রিপায়ার। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার হয়ে ১ম গোলটি করেন ইভান পারছিচ। ১০৮ মিনিটে ২য় গোলটি করে দলকে এগিয়ে দেন মানজুকিচ। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে আছে ক্রোয়েশিয়া। ৫৭% বল রয়েছে তাদের দখলে। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়া মোট ১৭টি ও ইংল্যান্ড মোট ১১টি করে শট নিয়েছে।