গ্রামীণফোনে ‘কর্মী ছাঁটাই’ প্রক্রিয়া শুরু, বিদায়ীরা শেষ অফিস করবেন ৩১ জুলাই

গ্রামীণফোনে অন্তত ৩১ জুলাই পর্যন্ত টানা পাঁচ বছর কাজ করেছেন এমন কর্মীরা এই স্কিমে আবেদন করতে পারবেন। তবে সর্বশেষ টেলিনর ডেভেলপমেন্ট প্রসেস বা টিডিপি থেকে টপ ট্যালেন্ট গ্রামীণফোন ছাড়তে পারবেন না। এছাড়া যারা ইতিমধেই রেজিস্ট্রেশন করেছেন এবং আগামী ৩১ জুলাই এর মধ্যে যাদের বয়স ৫৮ বা তদূর্ধ্ব হবে তারা এই স্কিমের আওতাভুক্ত হতে পারবেন না।
যারা এই স্কিমে আবেদন করতে চান তারা ২৯ জুন ২০১৭ থেকে ১৮ জুলাই ২০১৭ বিকেল পাঁচটার মধ্যে সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট বা ডিভিশন হেডের কাছে আবেদন জমা দিতে পারবেন। তবে কারা গ্রামীণফোন ছেড়ে চলে যাচ্ছেন তাদের চূড়ান্ত তালিকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ২০ জুলাই এবং বিদায়ী কর্মীরা সর্বশেষ অফিস করতে পারবেন ৩১ জুলাই পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মে নিয়োগপ্রাপ্ত গ্রামীণফোনের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল ফোলি গত ১৩ জুন মঙ্গলবার তাঁর প্রথম টাউন হলে নতুন ভিআরএস সম্পর্কে কর্মীদের অবগত করেন। তিনি বলেন, ‘গ্রামীণফোনে আগামী জুলাই মাসে নতুন ভিআরএস ঘোষণা করা হবে। যারা এই স্কিমের আওতায় চলে যেতে চান তারা ১ জুলাই থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।’
এবারের ভিআরএস-এর আওতায় ঠিক কী পরিমাণ কর্মী ছাঁটাই করা হবে সে ব্যাপারে তিনি কোনো ধারণা দেননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামীণফোনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা প্রিয়.কমকে জানিয়েছেন, এবার প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মীকে বিদায় দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে অপারেটরটির।
অবশ্য গ্রামীণফোন এই উদ্যোগকে ‘কর্মী ছাঁটাই’ এর পরিবর্তে ‘ঐচ্ছিক অবসর’ হিসেবে দাবি করেছে। নতুন করে কর্মী ছাঁটাই এর ইস্যুতে গত ১৭ জুন অপারেটরটি বরাবর লিখিত প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়, গ্রামীণফোনে নতুন ভিআরএস কবে ঘোষণা হচ্ছে এবং এবার কতজন কর্মীকে বিদায় করার চিন্তা করছে অপারেটরটি?
উত্তরে গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস সৈয়দ তালাত কামাল প্রিয়.কমকে বলেন, ‘গ্রামীণফোনের ভিআরএস কর্মীদের জন্য সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক বিষয়, এটি কারও উপর জোর করে চাপিয়ে দেয়া হয় না। এর আগেও গ্রামীণফোন টেলিকম শিল্পে সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক ভিআরএস প্যাকেজ দিয়েছিল, যা কর্মীদের মধ্যে খুব ভালো সাড়া পেয়েছিল।’
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ গত বছরের ৯ জুন ভিআরএস ঘোষণা করে অপারেটরটি। স্বেচ্ছা অবসর নিতে আগ্রহী কর্মীদের ১৫ জুনের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়। সেখানে সব মিলে ৩২০ জন কর্মীকে বিদায় জানানো হয়। এর ঠিক এক বছর পর নতুন সিইও এসে আবারও কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৭-০৯ সাল পর্যন্ত গ্রামীণফোনের কর্মী ছিল ৫ হাজারের মতো। ২০০৯ সালে এসে ১২ শতাধিক কর্মী ছাঁটাই করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে গ্রামীণফোন। ২০১২ সালে এসে আরো তিন শতাধিক কর্মী ছাটাই করে। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে নানা ঝামেলা শুরু হলে শেষ পর্যন্ত একটি ইউনিয়ন গড়ে ওঠে। ২০১৩ সালে গ্রামীণফোন পিপলস কাউন্সিল গড়ে ওঠে। ওই বছর ১৮৮ জনকে সম্মানের সঙ্গে বিদায় জানানো হয়।
২০১৪ সালে কোনো সমস্যা হয়নি। ২০১৫ সালের ২৩ এপ্রিল ৪ থেকে ১০টি বেসিক বেতন দিয়ে ২৮ জনকে বিদায় দেয়া হয়। ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত গ্রামীণফোনে ছিলেন ২ হাজার ৯৬৮ জন কর্মী। সেখান থেকে ৩২০ জন কর্মীকে বিদায় জানানো হয়। এর মধ্যে নানান সময়ে আরও কিছু কর্মী চলে গেছেন। এখন অপারেটরটিতে আড়াই হাজারের মতো কর্মী রয়েছে।
- আইপিএল ২০২৫: এমন চমক কেউ কল্পনাও করেনি, সূচি, দল ও নতুন নিয়মে অবাক সবাই
- বেড়ে গেলো সৌদি রিয়াল রেট,দেখেনিন আজকের রেট কত
- এক লাফে লিটারে যত কমলো সয়াবিন তেলের দাম
- শেখ হাসিনা পরিবারের কয়েক,শ কোটি টাকা ফ্রিজ! দেখে নিন কার অ্যাকাউন্টে কত টাকা ছিলো
- বাংলাদেশ ও ভারতের স্বর্ণের দাম (১১ মার্চ ২০২৫)
- বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব : চরম উত্তেজনায় শেষ হলো ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ম্যাচ
- গাজীপুরের ১০টি পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা
- কঠোর হচ্ছে সরকার, ‘অল আউট অ্যাকশনে’ যাচ্ছে ডিবি
- ফিতরার নতুন হার ঘোষণা : জনপ্রতি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন কত দিতে হবে ফিতরা
- বেড়ে গেলো সৌদি রিয়াল রেট,দেখেনিন আজকের রেট কত
- সৌদি আরবে ৩ মাসের আকামা সহ ফ্রি ভিসার সুযোগ
- ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথম যে ইতিহাসের সাক্ষী হচ্ছে বাংলাদেশ
- পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
- চরম ব্যর্থতার পর বিসিবির চাওয়াতে বাংলাদেশ দলের কোচ হচ্ছেন আশরাফুল
- সরকারি ৩ দপ্তরের শীর্ষ পদে রদবদল: নতুন নিয়োগ ও দায়িত্ব ভাগাভাগি