যে কারণে ফুটবলাররা শিশুদের হাত ধরে মাঠে প্রবেশ করে

১৯৯০ সালের ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনাল বা ১৯৯৪ সালের এফএ কাপ ফাইনালেও প্রতি খেলোয়াড়ের সাথে একজন করে ইস্কর্ট দেখা যায় না। সর্বপ্রথম ইস্কর্ট বা মাস্কট খেলোয়াড়দের সাথে মাঠে প্রবেশ করে ১৯৯৯ সালের এফএ কাপ ফাইনালে। তখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও নিউক্যাসেল প্রত্যেক টিমের সাথে একজন ইস্কর্ট মাঠে প্রবেশ করে। পরের বছর ২০০০ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বপ্রথম প্রতি খেলোয়ড়ের সাথে একটি করে শিশুকে মাঠে প্রবেশ করতে দেখা যায়। ২০০১ সালে ইউনিসেফ এর ‘শিশুদের জন্য হ্যা বলুন’ (“Say Yes for Children”) প্রচারণায় অংশীদার হবার সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা। ২০০২ সালে অনুষ্ঠিত কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপ এবং ২০০০ সালের ইউরো শেষ হবার পরপরই এমন ঘোষণা দেয় বিশ্বব্যাপি ফুটবলের এই সংগঠন।
এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ছিল, বিশ্বব্যাপী শিশুদের জীবনকে আরও উন্নত ও সুরক্ষিত করা এবং এটা দেখানো যে, ফুটবল শিশুদের জন্য ভিন্ন কিছু করেছে। ২০০২ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রতিটি ম্যাচেই ফিফা-ইউনিসেফ এর ’হ্যা বলুন’ (“Say Yes”) টি-শার্ট পরে খেলার আগে ফুটবলারদের সাথে মাঠে ঢোকে শিশুরা। . বর্তমান সময়ের ইউরোপের সব লিগেই দেখা যায় মাসকটদের উপস্থিতি। ক্লাব বা ক্লাবের খেলোয়াড়দের জন্য ফিফার সাথে ইউনিসেফ এর চুক্তি মানা অবশ্যক নয়। তাহলে তারা কেন প্লেয়ার ইস্কর্ট ব্যবহার করে? তার মানে হলো, ফিফার সচেতনতা প্রচরণার ছাড়াও আরও কিছু কারণ রয়েছে মাস্কট প্রথার এবং এর কারণেই বিশ্বব্যাপী অল্প সময়ের ব্যবধানে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ইস্কর্টরা।
এক্ষেত্রে বেশ কিছু কারণ বর্ণনা করা হয়। কেউ বলেন, বিপক্ষ দলের দর্শকদের আক্রমণ থেকে খেলোয়াড়দের বাঁচাতে ইস্কর্ট ব্যবহার করা হয়। দর্শকরা অনেক সময়ই এটা-ওটা ছুড়ে মারে খেলোয়াড়দের গায়ে। শিশুরা থাকলে দর্শকদের আক্রশ থেকে ফুটবলারদের বাঁচানো সহজ হয়। কেউ কেউ বলেন, ইস্কর্ট ব্যবহার করলে বাড়তি রোজগার হয় ক্লাবগুলোর। তবে একথা সত্য যে, ইস্কর্ট হিসাবে কোনো শিশুকে নির্বাচিত ’করিয়ে’ দিয়ে, শিশুটির পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিতেই পারে ক্লাবগুলো। সুতরাং ফুটবলারদের হাত ধরে মাঠে শিশুদের প্রবেশের বেশ কিছু কারণ রয়েছে যার মধ্যে শিশু অধিকার সুরক্ষা, শিশুসুলভ সারল্য খেলার মাঠে নিয়ে আসা, শিশুদের মনোবাসনা পূরণ করা অথবা বাড়তি রোজগার করা।
খেলার মাঠে একজন ফুটবলারের নিষ্পাপ শিশুদেরকে নিয়ে হেঁটে যাওয়া নিশ্চই অনেক সুন্দর একটা দৃশ্য। সাধারণত ফুটবলাররা ইস্কর্ট পছন্দ করেন, ভেন্যু নিকটস্থ কোন স্কুল বা ক্লাবের অথবা স্থানীয় কোন লিগের খেলায় শিরোপাজয়ী দলকে। তবে, শিশুদের বাইরেও প্লেয়ার ইস্কর্ট রয়েছে। যেমন- মা দিবস উপলক্ষ্যে ২০১৫ সালে ডাচ ক্লাব অ্যজাক্স অ্যামস্টারডাম ক্লাবের খেলোয়াড়রা মায়ের হাত ধরে মাঠে প্রবেশ করে। আবার সাও পাওলো দলের সদস্যরা ওই বছরই কুকুরদের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে মাঠে কুকুর নিয়ে প্রবেশ করে। আবার ২০১৬ সালে আরেক ডাচ ক্লাব আরকেসি ওয়ালবিজেক ভ্যালেন্টাইন দিবসে বিকিনিপরা মডেলদেরকে মাসকট হিসাবে হোত ধরে মাঠে প্রবেশ করেন।
- কমলো সয়াবিন তেলের দাম, যা তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- এক খবরেই পাল্টে গেলো পেঁয়াজের দাম
- ১০ মিনিটের শক্তিশালী বৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড যে উপজেলা
- স্বর্ণের ভরি আজ হঠাৎ কত হলো জানেন
- বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- নাটকীয়ভাবে অবিশ্বাস্য সুখবর পেলো বাংলাদেশ
- নাসুমকে চড় মারার চাঞ্চল্যকর অভিযোগের জবাবে মুখ খুললেন হাথুরু-সাথীরা
- ইন্টারনেট সেবায় বিশাল মূল্যছাড়, কমলো ইন্টারনেটের দাম
- বিদেশি ফল নয়, ঘরেই লুকিয়ে আছে সমাধান এই ৫ দেশি খাবারেই পাবেন পর্যাপ্ত ভিটামিন সি
- চরম দু:সংবাদ : ফেরত পাঠানো হল ৩১ প্রবাসী বাংলাদেশিকে
- সিলেটে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে: উত্তেজনা চলছেই
- সৌদিতে গিয়ে ৫ জনের করুণ পরিণতি
- আজ বাড়লো মালয়েশিয়ান রিংগিত রেট, দেশে টাকা পাঠানোর উত্তম সময়
- শীর্ষে দিল্লি,২ নাম্বারে ঢাকা