ওসোরিও বলছেন, বেলজিয়াম একটু হিসেব করলে খেললে ব্রাজিলকে হারিয়ে দিতে পারে। তার ছকে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথমার্ধে ব্রাজিল আটকে গিয়েছিল। অবশ্য হাফ টাইমের পর ঝড় তুলে নেইমাররা ম্যাচ ২-০ জিতে যান।

মেক্সিকোর কোচ বলছেন, আমরা যে ভুলগুলো করেছি, আর রেফারি ওদের যে সুবিধা দিয়েছে। সেটা না হলে বেলজিয়াম জিতে যেতে পারে। এই তিনটি বিষয়ের জন্য ব্রাজিল হেরে যেতে পারে

এক. ব্রাজিলের আক্রমণে বৈচিত্র্য কম: গোটা ফুটবল দুনিয়া যাই বলুক। মেক্সিকোর কোচ ওসোরিও বলছেন, ব্রাজিলের আক্রমণে কোনো বৈচিত্র নেই। একটা প্যাটার্ন আটকে দিতে পারলে ব্রাজিলকে হারানো যাবে।

দুই. নেইমারকে আটকানো কঠিন নয়: নেইমার গোল করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে। তবু মেক্সিকোর কোচ বলছেন নেইমারকে কঠিন নয়।

তিন. আচমকা কাউন্টার অ্যাটাক করলে ব্রাজিল বেদম হয়ে যায়: ব্রাজিল এবারের বিশ্বকাপে মাত্র একটা গোল খেয়েছে। তবু ওসোরিও বলছেন, ব্রাজিলের ডিফেন্স দুর্ভেদ্য নয়। আচমকা কাউন্টার অ্যাটাক করলে ব্রাজিল গোল খেয়ে যেতে পারে। যদিও প্রি-কোয়ার্টারে তার দল সেটা পারেনি।

প্রসঙ্গত, শেষ ষোলোর মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রেফারিং নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি মেক্সিকো কোচ হুয়ান কার্লোস ওসোরিও। সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ব্রাজিলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করেছেন রেফারি, এমনটাই দাবি করেছেন তিনি।

ম্যাচের পর টেলিমুন্ডো’র সাথে কথা বলার সময় নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেক্সিকো কোচ ওসোরিও। অভিযোগের তীর সরাসরিই তুলেছেন রেফারি জিয়ানলুকা রচির দিকে, ‘আমার মতে রেফারি পুরোপুরিভাবে ব্রাজিলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছেন। দেখে মনে হয়েছে ওদের ফরোয়ার্ডরা অপেক্ষা করেই ছিল কখন আমাদের খেলোয়াড়দের সংস্পর্শে আসবে, আর কখন ফাউল হবে। রেফারি ওদেরকে বারবারই সুরক্ষা দিয়েছে। আমার মনে হয় রেফারি একটু বেশিই জড়িয়ে গিয়েছিলেন ম্যাচের সাথে।’

শুধু রেফারি নয়, ওসোরিওর ক্ষোভের মুখে পড়েছেন ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমারও, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে একজন খেলোয়াড়ের জন্য ম্যাচে প্রচুর সময় নষ্ট হয়েছে। এটা লজ্জাজনক। ফুটবলের জন্যই লজ্জার এটা। রেফারির বারবার খেলা থামানোর কারণে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা খেলার ছন্দ হারিয়ে ফেলেছি। বারবার এভাবে খেলা আটকানো দেখতে দেখতে ক্লান্ত আমরা।’

নেইমারের ‘অভিনয়’ নিয়েও খুব ক্ষুব্ধ ওসোরিও, ‘ম্যাচের এক পর্যায়ে তো চার মিনিট খেলা বন্ধ রাখা হলো! খেলা দেখেছে এমন সব শিশু ও বিশ্ব ফুটবলের জন্যই এটা খুব বাজে দৃষ্টান্ত। ফুটবল শক্তিশালী খেলা, পুরুষ মানুষের খেলা। এই খেলায় এত অভিনয়ের কোন জায়গা নেই।’

উল্লেখ্য, এ নিয়ে টানা সপ্তমবারের মতো বিশ্বকাপের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিলো মেক্সিকো।