বাংলাদেশের ৪৩ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ২০১ রান নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে স্বাগতিক উইন্ডিজ। উইকেটে টিকে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেই যেন ক্রিজে নেমেছিলেন দুই ওপেনার ক্রেইগ ব্র‍্যাথওয়েট ও ডেভন স্মিথ। ৪০ ওভার বাংলাদেশি বোলারদের খাটিয়ে অবশেষে প্রথম ব্রেকথ্রু হিসেবে স্মিথ যখন সাজঘরে ফিরছেন, দলীয় রান পেরিয়েছে একশ।

এর আগে স্মিথ উপহার দিয়েছেন আদর্শ এক টেস্ট ইনিংস। যদিও ইনিংসটিকে লম্বা করতে না পারার আক্ষেপ তার থাকছেই। ১২৩ বলের মোকাবেলায় সাতটি চারের মাধ্যমে ৫৮ করেন রান। অভিষিক্ত পেসার আবু জায়েদ রাহীর বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে বাংলাদেশ দলকে ভুগিয়েছেন সাধ্যমত।

তবে তার চেয়েও উজ্জ্বল আরেক ওপেনার ব্র‍্যাথওয়েটের ইনিংসটি। স্মিথকে পরাভূত করতে পারলেও তাকে যে এখনও আটকাতে পারেননি বাংলাদেশের পেসার কিংবা স্পিনারদের কেউই! ২০৪ বলে মাটি কামড়ে সংগ্রহ করেছেন ৮৮ রান, যেখানে বাউন্ডারি রয়েছে চারটি। স্মিথের চেয়েও কম স্ট্রাইক রেট নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসের ‘পেস-বান্ধব’ উইকেটকে ‘ব্যাটিং-বান্ধব’ উইকেটের তকমা এনে দিচ্ছেন তিনিই! স্মিথের ইনিংসকে তাই ‘আদর্শ’ বললে ব্র‍্যাথওয়েটের ইনিংসের জন্য প্রয়োজন আরও মূল্যবান কোনো উপমা।

দিনশেষে ব্র‍্যাথওয়েটের সাথে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন দেবেন্দ্র বিশু। ১৬ বলের মোকাবেলায় তার সংগ্রহ কেবল একটি রান। যার বিদায়ে তাকে আসতে হয়েছে ক্রিজে, সেই কিরান পাওয়েল খেলে গেছেন ওয়ানডে মেজাজে। ৬৫ বলের মোকাবেলায় সাত চারে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৮ রান। অর্ধ-শতকের আফসোস জিইয়ে রেখে তাকে ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার লিটন দাসের কেচে পরিণত করে সাজঘরে ফেরান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের চেয়ে উইন্ডিজ এগিয়ে আছে ১৫৮ রানে। সবে শেষ হল প্রথম দিনের খেলা। উইন্ডিজের ইনিংসও এখনও যেন ‘কচি’! এই টেস্ট বাঁচাতে হলে বাংলাদেশকে দেখতে হবে স্বপ্ন!

সংক্ষিপ্ত স্কোর (১ম দিন শেষে)

বাংলাদেশ: ১ম ইনিংস: ৪৩/১০; লিটন ২৫, রুবেল ৬; রোচ ৮/৫, কামিন্স ১১/৩, হোল্ডার ১০/২

উইন্ডিজ: ১ম ইনিংস: ব্র্যাথওয়েট ৮৮*, স্মিথ ৫৮, পাওয়েল ৪৮; রিয়াদ ৬/১, রাহী ৫৫/১

উইন্ডিজের লিড ১৫৮ রান।