| ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

যে দিনটির কথা কোনো দিনও ভুলবে না ইরান (ভিডিওসহ)

বিশ্ব ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০১৮ জুলাই ০৪ ০১:০৫:৪০
যে দিনটির কথা কোনো দিনও ভুলবে না ইরান (ভিডিওসহ)

মঙ্গলবার ওই বিমান বিধ্বংসের ঘটনার ৩০ বছরপূর্তি উপলক্ষে তেহরানে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কাসেমি এসব মন্তব্য করেন। ১৯৮৮ সালে পারস্য উপসাগরে ইরান উপকূলের সমুদ্রসীমায় ঢুকে ‘ভিনসেন্স’ নামের একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ থেকে ওই হামলা চালানো হয়েছিল।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে আন্তর্জাতিক আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘন করে চলেছে। ইরানের যাত্রীবাহী বিমান ধ্বংসের ঘটনা মার্কিন বর্বরতার জন্য কলঙ্ক। যুক্তরাষ্ট্র যে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনকারী তা প্রমাণের জন্য এটুকু তথ্যই যথেষ্ট যে, ইরানের যাত্রীবাহী বিমানে হামলা চালিয়ে ২৯০ জন মানুষকে হত্যার পরও এ জন্য একবারও দুঃখ প্রকাশ করেনি মার্কিন সরকার। উল্টো তারা যুদ্ধজাহাজের ক্যাপ্টেনকে পুরস্কৃত করেছে।

কেন ইরানি বিমানটি ধ্বংস করা হয়েছিল অনুষ্ঠানে সে বিষয়েও জানানো হয়।ঘটনার দিন পারস্য উপসাগরে ইরান উপকূলের সমুদ্রসীমায় ঢুকে ‘ভিনসেন্স’ নামের একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ থেকে ওই হামলা চালানো হয়েছিল। ওই সময় ইরানের সঙ্গে ইরাকের তুমুল যুদ্ধ চলছিল। পশ্চিমা মদদে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে পরাজিত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে উপনীত সাদ্দাম হোসেনকে রক্ষা করতে ইরানি ওই যাত্রীবাহী বিমানটি ভূপাতিত করা হয়।

ইরানের বন্দর নগরী ‘বন্দর আব্বাস’ থেকে ইরান এয়ারের ৬৫৫ নম্বর ফ্লাইটের মাধ্যমে দুবাই যাওয়ার জন্য ওই বিমানে উঠেন ২৯৮ জন নিরপরাধ মানুষ।কিন্তু বিমানটি আকাশে উড়ার কিছুক্ষণ পরই মার্কিন এস ভিনসেন্সের ক্যাপ্টেন ইরানের ওই বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর আদেশ দেন। ক্যাপ্টেনের আদেশ পেয়েই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মুহূর্তে বিমানটি আকাশেই বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি যখন ধ্বংস হয় তখন তার ভেতরে ৫৩ জন নারীর কোলে ছিল তাদের শিশুসন্তানরা।

ওই সময় বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। কিন্তু মার্কিন নেতারা এ নিয়ে কোনো দুঃখ করেনি বরং তারা ওই অপরাধের পক্ষে সাফাই গায়।মার্কিন সরকার দাবি করে, ভুলক্রমে ঘটনাটি ঘটেছে। তারা যাত্রীবাহী বিমানটিকে ভুল করে ইরানের বিমানবাহিনীর এফ-১৪ জঙ্গিবিমান ভেবেছিল।

পরবর্তীতে জানা যায়, মার্কিন যুদ্ধজাহাজের যেই সেনাকে যাত্রীবাহী ইরানি বিমান টার্গেট করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে বলা হয়েছিল সে প্রথমে ওই অমানবিক নির্দেশ শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছিল। জাহাজের সবার কাছেই এটা স্পষ্ট ছিল যে, ইরানি বিমানটি ছিল একটি যাত্রীবাহী বিমান এবং তাই সে ওই নির্দেশ মানতে প্রথমে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। কিন্তু এরপর যখন তাকে সামরিক আদালতে বিচার করার হুমকি দেয়া হয় তখন সে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নির্দেশ পালন করে।

তবে আমেরিকা ও ইরানের সাথে দিন দিন সম্পর্ক অবনতি হয়েছে কঠিন ভাবে।দু দেশের মাঝে কখোনই মিল ছিলো না।

ভিডিওটি দেখতে এখানে " target="_blank">ক্লিককরুন

ক্রিকেট

১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি

১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি

নিজস্ব প্রতিবেদক: টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ নারী দল। তবে শুরুতেই ধাক্কা খায় তারা। ...

কঠিন সমীকরণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ

কঠিন সমীকরণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: নিজেদের ম্যাচটা হেরে গিয়েও বাংলাদেশ ছিটকে যায়নি বিশ্বকাপের দৌড় থেকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ ...

ফুটবল

অবশেষে শাস্তি পেলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে

অবশেষে শাস্তি পেলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে

মারাত্মক ফাউল করেও বড় শাস্তি পাচ্ছেন না কিলিয়ান এমবাপ্পে। রিয়াল মাদ্রিদের এ ফরোয়ার্ডকে মাত্র এক ...

আর্জেন্টিনা: ৫, ব্রাজিল: ১

আর্জেন্টিনা: ৫, ব্রাজিল: ১

প্রথমবার ফুটসালের র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করলো আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা- ফিফা। নারী ও পুরুষ উভয় বিভাগে ...



রে