আজকের ব্রাজিল-মেক্সিকো ,ম্যাচে ম্যাচ সেরা হলেন যে খেলোয়াড়
-1.jpg&w=315&h=195)
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর নেইমারই প্রথম গোলের খাতা খোলেন। ৫১ মিনিটে গোলমুখ ঘেঁষে বেরিয়ে যাওয়া মুখে বল ঠেলে দেন জালে। দ্বিতীয় গোলটাও প্রায় একই রকম। ৮৮ মিনিটে ফিরমিনোর ট্যাপ ইন। এবার বল বাড়িয়েছেন নেইমার। তাতেই শেষ আট নিশ্চিত ব্রাজিলের।
থিয়াগো সিলভা আগেই বলেছিলেন, আজ হবে নেইমার-ঝলক। ক্লাবের দুই সতীর্থ কাভানি-এমবাপ্পে যে লক্ষ্যমাত্রাটা বেশ উঁচুতে তুলে দিয়েছেন জোড়া গোল করে। মেক্সিকোর বিপক্ষে নেইমারও দুটি গোল পেতে পারতেন। ম্যাচে ব্রাজিলের প্রথম ভালো সুযোগটি পেয়েছেন নেইমারই। পঞ্চম মিনিটে হঠাৎ করেই বদ্ধ দুয়ার খুলে দিল মেক্সিকোর রক্ষণ। ওচোয়ার সামনে অবারিত ফাঁকা মাঠ পেয়ে গেলেন নেইমার। এমন সুযোগ বুঝে বেশ জোরে একটা শট নিয়েছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার।
জোরে নিতে গিয়েই হয়তো লক্ষ্যটা ঠিক স্থির করতে পারেননি। সেটা একদম ওচোয়া বরাবরই গেল। পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ সব সেভ করা ওচোয়া চোখ বন্ধ করেও সেই বল গ্লাভসে পুরে নিতে পারতেন। ২৫তম মিনিটের নেইমার বরং মুগ্ধ করেছেন বেশি। বাঁ প্রান্ত দিয়ে দারুণ এক মায়াবী আঁকাবাঁকা দৌড়ে মেক্সিকান রক্ষণে ত্রাস ছড়ালেন। একবার ডানে তো একবার বাঁয়ে করে ফাঁক বের করে নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে যে পাস দিলেন, সেটা ওচোয়ার গ্লাভসের ছোঁয়া নিয়ে নির্বিষ এক আক্রমণে রূপ নিল।
নেইমারের এই দুই সুযোগের আগে-পরে মেক্সিকোই খেলল মাঠে। ব্রাজিলকে চাপে রেখে একের পর এক আক্রমণ করেছে দলটি। হিরভিং লোজানো, সালসেদো কিংবা হেক্টর হেরেরারা ডি-বক্স পর্যন্ত দুর্দান্ত খেলেও মূল কাজটা করতে পারছিলেন না। কখনো বাজে শট খেলে কখনোবা সতীর্থদের সঠিক সময়ে পাস না দিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেছে মেক্সিকো।
ওচোয়ার সেরা খেলা দেখা গেছে দ্বিতীয়ার্ধে। কখনো ফিলিপে কুতিনহো, কখনো পাওলিনহো, কখনো উইলিয়ান, কখনোবা নেইমার—সবাইকেই হতাশা উপহার দিয়েছেন ওচোয়া। ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে প্রায় একাই রুখে দিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। ৪ বছর পর আরেক ব্রাজিল ম্যাচেই বিশ্বকাপের ইতিহাসে মেক্সিকোর হয়ে এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সেভের রেকর্ড গড়ে ফেললেন।
কিন্তু এসব রেকর্ড অর্থহীন হয়ে গেছে ৫১ মিনিটে। সেটা নেইমারের সুবাদেই। ডি-বক্সের বাইরে বল পেয়ে দারুণ এক ব্যাক হিল করলেন উইলিয়ানকে। উইলিয়ান যখন বল নিয়ে বক্সের বাঁ প্রান্তে ঢুকে গেলেন, নেইমার ততক্ষণে ডান প্রান্তে চলে গেছেন। উইলিয়ানের বাড়িয়ে দেওয়া বল ওচোয়ার গ্লাভসের সামনে দিয়ে চলে গেল। পা বাড়ালেও নাগাল পেলেন না গ্যাব্রিয়েল জেসুস।
ভাগ্যিস, পাননি! নেইমার যে আগেই চলে গেছেন জায়গামতো। অনুশীলনে ছক কেটে রাখা এক সাজানো আক্রমণের মতোই নেইমারের পা ছুঁয়ে বল চলে গেছে জালে। ১-০ গোলে এগিয়ে গেল ব্রাজিল।
এবারের বিশ্বকাপে তাঁর এমন গড়াগড়ি সামাজিক মাধ্যমে ট্রলের সুযোগ এনে দিয়েছে। নেইমার কিন্তু ওই নাটককে আজ আর আলোচনার কেন্দ্রে রাখার সুযোগ দেননি। ৮৮ মিনিটে প্রতি-আক্রমণে উঠল ব্রাজিল। বাঁ প্রান্তে বল নিয়ে এক ছুটে মেক্সিকান বক্সের প্রান্তে এসে বল বাড়িয়ে দিলেন নেইমার। এবারও ওচোয়া বাধা হলেন, গ্লাভসের একটু ছোঁয়া পেল বল। কিন্তু এবার সে বল ওচোয়ার সঙ্গে প্রতারণা করে ঠিকই ছোট বক্সের সামনে চলে গেল। বদলি নামা রবার্তো ফিরমিনোকে শুধু ট্যাপ ইন করতে হলো। মূল একাদশে জায়গা পাওয়ার দাবি জোরালো করে ব্রাজিলের জয় নিশ্চিত করলেন ফিরমিনো (২-০)।
নেইমারের আহত হওয়ার সেই ঘটনা কিংবা নাটকের ফলে যোগ করা সময়ের দৈর্ঘ্য বেড়ে হয়েছিল ৬ মিনিট। সেটা পুরিয়ে আরও বাড়তি এক মিনিট দিয়েছেন রেফারি রচ্চি। কিন্তু প্রথম ৯০ মিনিটে যা করতে পারেননি লোজানোরা, সেটা বাকি ৭ মিনিটেও করা হয়নি তাঁদের। আক্রমণ সাজিয়েও শেষটা তুলে নিতে না পারা। আর উল্টো ছবি ব্রাজিলের। সবচেয়ে সেরা দুই সুযোগের কোনোটাই হাতছাড়া করেনি। ওচোয়া প্রাচীর হয়ে না দাঁড়ালে সংখ্যাটা আরও বাড়ত নিশ্চিত।
তারা ঝরার এই বিশ্বকাপে ব্রাজিল কোনো অঘটন ঘটতে দিল না। যেভাবে খেলছে, তাতে ১৬ বছরের অপেক্ষা ঘোচানোর আশা আরও উজ্জ্বল হলো তাদের।
- কমলো সয়াবিন তেলের দাম, যা তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- এক খবরেই পাল্টে গেলো পেঁয়াজের দাম
- ১০ মিনিটের শক্তিশালী বৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড যে উপজেলা
- স্বর্ণের ভরি আজ হঠাৎ কত হলো জানেন
- নাটকীয়ভাবে অবিশ্বাস্য সুখবর পেলো বাংলাদেশ
- নাসুমকে চড় মারার চাঞ্চল্যকর অভিযোগের জবাবে মুখ খুললেন হাথুরু-সাথীরা
- বিদেশি ফল নয়, ঘরেই লুকিয়ে আছে সমাধান এই ৫ দেশি খাবারেই পাবেন পর্যাপ্ত ভিটামিন সি
- শীর্ষে দিল্লি,২ নাম্বারে ঢাকা