ডি মারিয়ার গোলে গ্যালারি থেকেই উল্লাস প্রকাশ করেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক দিয়েগো ম্যারাডোনা। যে জিতবে সেই কোয়ার্টারে উঠে যাবে। আর যে হারবে তার গন্তব্য হবে বাড়ি। এমন সমীকরণের ম্যাচে পারলো না আর্জেন্টিনা, পারলেন না মেসি। জাতীয় দলের হয়ে আরো একবার বড় টুর্নামেন্ট থেকে শূন্য হাতে ফিরতে হলো মেসিকে।

বিশ্বকাপের শুরু থেকেই এবারের ফ্রান্স দলকে ধরা হচ্ছিল বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার। দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে এসেই ফ্রান্স প্রমাণ করলো কেন তারা শিরোপার অন্যতম দাবিদার। মেসির আর্জেন্টিনাকে গুনে গুনে ৪ গোল দিয়েছে ফ্রান্সের তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলাররা।

সূচনালগ্ন থেকেই একের পর আক্রমণে ওঠে ফরাসিরা। তারা প্রথম সুযোগ পায় ৭ মিনিটে। বিপজ্জনক জায়গা থেকে ফ্রি কিক নেন আঁতোয়া গ্রিজম্যান। তবে তার দুর্দান্ত শটটি গোলবারে লেগে ফেরত আসে।

ম্যাচের ৮৭ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু ডি বক্সের ভেতর ডান পায়ের দুর্বল শট লরিসের তালুবন্দী হয়। অতিরিক্ত সময়ের দুই মিনিটের মাথায় মেসির বাড়ানো বল থেকে হেড থেকে আর্জেন্টিনার হয়ে তৃতীয় এবং সান্তনাসূচক গোলটি করেন আগুয়েরো। ৪-৩ গোলের হার নিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হলো আর্জেন্টিনাকে। আরো একবার বিশ্বকাপের নকআউট রাউন্ডে মেসির নিষ্প্রভতা আর্জেন্টিনাকে এনে দিতে পারলো না কাঙ্ক্ষিত জয়। শূন্য হাতেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেন মেসি।