প্লেয়ার রেটিং : বেলজিয়াম-ইংল্যান্ড, এগিয়ে কে?
ফিল জোনস ৫/১০
ইয়ানুজাই, বাতশুয়াইদের বিপক্ষে একেবারেই দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন। মূল একাদশে নেমে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগটা হারালেন। 'প্রেসিং'-এর বিপক্ষে রীতিমত হিমশিম খেয়েছেন। আর রক্ষণ থেকে বল বের করে আনতে ব্যর্থ হয়েছেন বেশ কয়েকবার।
জন স্টোনস ৬.৫/১০প্রথমার্ধে ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা পারফরমার ছিলেন। ১৪ মিনিটে বাতশুয়াইয়ের শট ব্লক করে দলকে বাঁচিয়েছেন। ক্লিয়ারেন্স, ইন্টারসেপশন, বল দখলের লড়াইয়ে বাতশুয়াইদের হারিয়ে দেওয়া- সব মিলিয়ে যেন টেরি-ফার্ডিনান্ডদের 'যোগ্য উত্তরসূরি' ট্যাগটার প্রতিও করেছেন সুবিচার। এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডের সেরা ডিফেন্ডার।
গ্যারি কেহিল ৫.৫/১০ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা পেছনে ফেলে এসেছেন। ১০ মিনিটে গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করে রক্ষণ আগলে রেখেছিলেন। সময়ের সাথেই অবশ্য মিলিয়ে গেছে তার খেলা। একসময় যে গতির জন্য প্রশংসিত ছিলেন, সেই গতির অভাবটা আজ চোখে পড়েছে প্রকটভাবে। ইয়ানুজাই, হ্যাজার্ডদের সাথে দৌড়ে পারেননি একবারও। রক্ষণেও ছিলেন নড়বড়ে। ইংলিশ দলে বল হারিয়েছেন সবচেয়ে বেশিবার। বেলজিয়ান ফরোয়ার্ডদের বোঝাপড়ার সামনেও ছিলেন অসহায়।
ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড ৬/১০বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচটা ঠিক স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না। আক্রমণভাগে ভালোই খেলেছেন, তবে রক্ষণের ডানপ্রান্ত ফাঁকা রেখে গেছেন অনেকবার। ক্রসগুলোও ছিল দারুণ, তবে ভার্ডিদের ভুলে অ্যাসিস্ট পাওয়া হয়ে উঠেনি। তার কারণেই প্রতি আক্রমণে বেলিয়ানদের সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছিল ইংল্যান্ডকে।
রুবেন লফটাস-চিক ৭.৫/১০অসাধারণ খেলেছেন পুরো ম্যাচ। শক্তিমত্তায় মাঝমাঠে ছড়ি ঘুরিয়েছেন। বল দখল, ড্রিবলিং, পাসিং- সব দিক দিয়েই ছিলেন প্রায় নিঁখুত। কেবল দূরপাল্লার শটগুলো ঠিক লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। ভার্ডি, রাশফোর্ডের সাথে বোঝাপড়াও ছিল দারুণ। ইংল্যান্ডের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন আজ।
এরিক ডায়ার ৪.৫/১০একেবারেই সাদামাটা ছিলেন পুরোটা ম্যাচ। ডেম্বেলে, ফেলাইনিদের সাথে পেরেই উঠেননি। বল কেড়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন বারবার, আবার বল হারিয়েছেনও অনেক। বেলজিয়ামের প্রতি আক্রমণগুলোর অন্যতম উৎস ছিল তার ভুল পাস। কলম্বিয়ার বিপক্ষে নামার সুযোগটা হারালেন নিজেই।
ফ্যাবিয়ান ডেলফ ৫/১০বিশ্বকাপে প্রথমবার মূল একাদশে জায়গা পেয়ে জ্বলে উঠতে পারেননি তিনিও। মাঝমাঠে খেলবেন, রক্ষণে- এ ব্যাপারে খুব সম্ভবত সন্দিহান ছিলেন নিজেই। বেশ কয়েকবার তাকে রক্ষণেই দেখা গেছে। মাঝমাঠের তার ফাঁকা জায়গাটা দারুণভাবেই কাজে লাগিয়েছে বেলজিয়াম। ভুল পাস দিয়েছেন মোট ৯বার। সাউথগেটের আস্থার প্রতিদান দিতে পারলেন না একেবারেই।
ড্যানি রোজ ৬/১০ অনেকদিন পর ফিরলেন স্বরূপে। গতি, ড্রিবলিং দিয়ে বেলজিয়ান রক্ষণভাগে যেমন ত্রাস ছড়িয়েছেন, নিচে নেমে ইয়ানুজাইদের আটকানোর ক্ষেত্রেও ছিলেন সমান পারদর্শী। ট্যাকলিংয়েও ছিলেন দুর্দান্ত। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দেখার মত এক ট্যাকেল করে ডেম্বেলের পা থেকে বল কেড়ে নিয়েছিলেন। কলম্বিয়ার বিপক্ষে মূল একাদশে নামানোর জোর দাবি দিয়ে রাখলেন সাউথগেটের কাছে।
জেমি ভার্ডি ৫/১০আক্রমণভাগে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন। স্টার্লিং খারাপ করায় তাকে নামানোর জোর দাবি উঠেছিল। সাউথগেট দাবি রাখলেন, কিন্তু ভার্ডি সুবিচার করতে পারলেন না। তবে দ্বিতীয়ার্ধে র্যাশফোর্ডকে ভালো একটা থ্রু পাস দিয়েছিলেন। ওই একটা আক্রমণ থেকেই ইংল্যান্ডের একমাত্র অন টার্গেটের শট এসেছে।
মার্কাস রাশফোর্ড ৫/১০কর্তোয়াকে একা পেয়েও দলকে সমতায় ফেরাতে পারেননি। এছাড়া বাকি সময় বোয়াটা রীতিমত পকেটবন্দিই করে রেখেছিলেন তাকে। উইং দিয়ে আক্রমণ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ সেখানেও।
বদলিহ্যারি ম্যাগুয়ার ৭/১০স্টোনস ইনজুরিতে না পড়লে হয়ত নামতেন না। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নেমে আবারও এক অনবদ্য পারফরম্যান্স দেখালেন। ট্যাকলিং, বল দখল, ভিশন- কী ছিল না তার খেলায়! ইংল্যান্ড দলে জায়গাটা আরও পাকাপোক্ত করলেন আজ।
ড্যানি ওয়েলবেক ৫/১০দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু বল নিয়ন্ত্রণেই আনতে পারেননি। এছাড়া শেষ ১০ মিনিটে একেবারেই নিষ্প্রভ ছিলেন।
বেলজিয়াম
থিবো কর্তোয়া ৭.৫/১০'ক্যাপ্টেনস পারফরম্যান্স।' পুরো ম্যাচে নিখুঁত ছিলেন বললেও হয়ত কম বলা হবে। ডিস্ট্রিবিউশন, ক্রস নিয়ন্ত্রণে আনা, এবং রাশফোর্ডের শটটি ফিরিয়ে দেওয়া- এক কথায় অসাধারণ ছিলেন আজ। ৩ ম্যাচে ২ ক্লিনশিট নিয়ে 'গোল্ডেন গ্লাভস'-এর দৌড়েও কিছু পয়েন্ট যোগ করলেন নিজের নামে।
লিয়ান্ডার ডেনডঙ্কার ৫/১০প্রচন্ড নার্ভাস মনে হয়েছে পুরোটা ম্যাচ। গোল খাননি, তবে রক্ষণে বেশ নড়বড়ে ছিলেন। ভার্ডি, রাশফোর্ড বেশ কয়েকবার তাকে কাটিয়ে ডিবক্সে ঢুকে গিয়েছিলেন। মূল একাদশে নেমে সুবিচার করতে পারলেন না তিনিও।
ডারডিওক বোয়াটা ৬.৫/১০ বেলজিয়ামের সেরা ডিফেন্ডার ছিলেন আজ। ভিনসেন্ট কম্পানির অনুপস্থিতিতে পুরো রক্ষণভাগের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনিই। ভার্ডি, রাশফোর্ডদের আটকে রেখেছিলেন দারুণভাবে। রক্ষণ থেকে লম্বা পাসগুলোও ছিল মাপা এবং নিখুঁত।
থমাস ভার্মালেন ৫.৫/১০ইনজুরি থেকে এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেননি। আগের সেই গতি, ইন্টারসেপশন ক্ষমতার ধার হারিয়েছে অনেকটাই। গতিশীল ফরোয়ার্ডদের বিপক্ষে বেশ বেগ পেয়েছেন বদলি হওয়ার আগ পর্যন্ত।
ইয়ুরি তিয়েলেম্যান্স ৭/১০প্রথমার্ধের আগুনে শটটা জালে জড়ালে দলকে লিড এনে দিতে পারতেন। ম্যাচের বাকিটা সময় নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন দারুণভাবে। ড্রিবলিং ছিল দেখার মত। আর পাসিং ছিল চমৎকার।
মুসা ডেম্বেলে ৮/১০ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেই আবারও সেই পুরনো রূপ দেখিয়ে দিলেন। বেলজিয়ামের 'মিডফিল্ড মেজর' ছিলেন আজ। ইংল্যান্ডের আজকের সেরা পারফর্মার লফটাস-চিক পর্যন্ত পেরে উঠেননি তার সাথে। ডি ব্রুইনের পর বেলজিয়ামের সেরা মিডফিল্ডার এখন তিনিই। বেলজিয়ামের বেশিরভাগ আক্রমণ শুরু হয়েছে তার পাস থেকেই।
থরগান হ্যাজার্ড ৭.৫/১০ভাইয়ের জায়গায় নেমে 'হ্যাজার্ড' নামটার মান রেখেছেন ঠিকই। এডেনের মতই ড্রিবলিং দিয়ে ত্রাস ছড়িয়েছেন ইংলিশ রক্ষণভাগে। বিশেষ করে ম্যাগুয়ারকে করা 'নাটমেগ'টা ছিল অসাধারণ। তবে 'ফাইনাল থার্ড'-এ সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগেছেন বেশ।
আদনান ইয়ানুজাই ৮.৫/১০নিঃসন্দেহে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ। সেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিলেন। ডানপ্রান্তে ড্যানি রোজকে বেশ ভুগিয়েছেন। তার গতির সাথে পেরে ওঠেননি ইংল্যান্ডের কেউই। তবে রক্ষণেও সাহায্য করেছেন বেশ। ইংলিশদের এক প্রতি আক্রমণে র্যাশফোর্ডকে ট্যাকেল করে বল কেড়ে নিয়েছিলেন দুর্দান্তভাবে। দর্শনীয় এক বাঁকানো শটে করা গোলটা মনে রাখবেন অনেকদিন।
মারুয়ান ফেলাইনি ৭/১০কিছুটা ওপরে খেললেও বেলজিয়ামের জার্সিতে নিজের অন্যতম সেরা ম্যাচ খেলেছেন আজ। বল ধরে রেখে আক্রমণে সাহায্য করেছেন ইয়ানুজাইদের। আবার কর্ণার ডিফেন্ডও করেছেন দারুণভাবে। মাঠের দু'প্রান্তেই ভাল খেলেছেন। তবে কয়েকবার পাস ছাড়তে দেরি করেছেন হারিয়েছেন প্রতি আক্রমণের সুযোগ।
মিচি বাতশুয়াই ৬/১০হতাশ করলেন আবারও। লুকাকুর জায়গায় সুযোগ পেয়ে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ আবারও। না পেরেছেন আক্রমণে বোঝাপড়া গড়ে তুলতে, না পেরেছেন নিজে সুযোগ তৈরি করতে। ইয়ানুজাইয়ের গোলের পর বলে লাথি মেরেছিলেন। সেই বল বারপোস্টে প্রতিহত হয়ে সজোরে লেগেছিল তারই মুখে। পুরো ম্যাচে তার 'হাইলাইটস' এটিই।
বদলিভিনসেন্ট কম্পানি ৬/১০দ্বিতীয়ার্ধে যখন নামলেন, তখন বেলজিয়ান সমর্থকদের জোর উল্লাসে মুখরিত ছিল কালিনিনগ্রাদের বাতাস। তবে ইনজুরি থেকে ফিরে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি। বল হারিয়েছেন কয়েকবার, প্রথম টাচও ঠিক ব্যাটে-বলে হয়নি। আর লম্বা পাসগুলো লক্ষ্যভ্রষ্টই ছিল প্রায় প্রতিবার।
ড্রিস মার্টেনস গোলদাতা ইয়ানুজাইয়ের বদলে নেমেছিলেন ৮৬ মিনিটে। নেমেই একটা দারুণ শট করেছিলেন। তবে পিকফোর্ড ঠেকিয়ে দিয়েছেন সেটা।
- আইপিএল নিলামে ঝড় তুলে বিশাল পারিশ্রমিকে দল পেলেন নাহিদ রানা
- আইপিএল নিলামে দল পেল মুস্তাফিজের দুই সতীর্থ, দেখেনিন সাকিবের অবস্থান
- 2025 IPL নিলাম: অবিশ্বাস্যভাবে এইমাত্র শেষ হলো মুস্তাফিজের নিলাম, দেখেনিন সাকিবের অবস্থান
- ব্রেকিং নিউজ: ১০ কোটি রুপিতে দল পেলেন নাহিদ রানা, দেখেনিন সাকিব ও মুস্তাফিজের অবস্থান
- IPL 2025 নিলামে নতুন চমক: আকাশ ছোয়া মুল্যে দল পেলেন মুস্তাফিজের দুই সতীর্থ, দেখেনিন সাকিবের অবস্থান
- IPL 2025 নিলাম : এইমাত্র শেষ হলো সাকিবের নিলাম
- ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত চার দলের, বাদ পড়তে পারে ব্রাজিল, দেখেনিন আর্জেন্টিনার অবস্থান
- চলছে IPL নিলাম : আকাশ ছোয়া মূল্যে দল পেলেন মুস্তাফিজের সতীর্থ, দেখেনিন নাহিদ রানার অবস্থান
- চলছে IPL নিলাম, দেখেনিন সাকিব মুস্তাফিজের অবস্থান ও এখন পর্যন্ত দল পেলেন যারা
- ব্রেকিং নিউজ :শেষ হলো সাকিব, রিশাদ ও মুস্তাফিজের নিলাম, দেখেনিন লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়ের অবস্থান
- ২০২৫ IPL নিলামে চমক দেখিয়ে রেকর্ড দামে দল পেলেন সাকিব
- IPL নিলাম ২০২৫: মুস্তাফিজ বাদ ধোনির চাওয়াতেই রেকর্ড মুল্যে আইপিএলে দল পেলেন সাকিব
- ব্রেকিং নিউজ : IPL নিলাম: সাকিব মুস্তাফিজ নয় ইতিহাস গড়ে রেকর্ড বিডে যে দলে রিশাদ হোসেন
- 2025 IPL নিলাম: আকাশ ছোয়া মূল্যে দল পেলেন লিটনের সতীর্থ, দেখেনিন সাকিব মুস্তাফিজের অবস্থান
- আইপিএল নিলামে ইতিহাস গড়ে ৪কোটি রুপিতে যে দলে মুস্তাফিজ