অভূতপূর্বভাবে নিজের সাজানো এই দলে যেন এক অদৃশ্য শক্তি ফিরে পায় লা আলবেস্তারা। প্রথম থেকেই আর্জেন্টিনাকে থামাতে হিমশিম খাচ্ছিল সুপার ঈগলরা। ম্যাচের ১২ তম মিনিটে বল পান ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসি। প্রথমে থাই দিয়ে বল রিসিভ করে অদম্য গতিতে এগিয়ে যান মেসি। নাইজেরিয়ান ডিফেন্সকে তুলোধুনো করে ১৪ তম মিনিটেই দেখান তার স্বীয়রূপ। বাঁ পায়ের জাদুকর তখন ডান পা দিয়েই মারেন দুর্দান্ত শট। আর যেটি নাইজিয়ান গোলকিপারকে ফাঁকি দিয়ে ঢুকে পড়ে জালে। ততক্ষণে শুরু হয়ে গেছে সারা বিশ্বের মেসি ভক্তদের উল্লাস। সাম্পাওলি তখন নেহাতই মোমের পুতুল। কারণ, দুই ম্যাচে যে ব্যর্থতার ভার তার কাধেঁ। তবে ম্যাচ শেষে তাকে প্রবল উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়তে দেখা যায়। তবে আরেকটি সুযোগ এসেছিলো মেসির সামনে। ফ্রি-কিকে তার শট নাইজেরিয়ান গোলকিপারের হাতে লেগে গোলবারে লেগে ফিরে আসে।

ম্যাচ শেষে তার নিন্দুকদের দাঁত ভাঙা জবাবই দিয়েছেন মেসি। তিনি বুঝিয়েছেন, মহানায়করা কখনো শেষ হয় না। এরকম মহানায়কীয় পারফর্মম্যান্সের কারণে ম্যাচ শেষে “ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের” পুরষ্কারটা তার হাতেই আসে।

জন্মদিনদের প্রেরণা নিয়ে মেসি যেভাবে নিজ দলকে দুই দুই বার বিপদ থেকে টেনে তুলেছেন, মেসি ভক্তরা এটাই চাইবেন যাতে পরবর্তি ম্যাচগুলোতেও এভাবে জয়ের ধারা বজায় রেখে তিনি যেন সোনালি ট্রফিটাও তুলতে পারেন! শুভকামনা রইলো ম্যাজিশিয়ানের জন্য।