১. খারাপ পারফর্মেন্স উইলিয়ান: উইলিয়ান ব্রাজিলের আক্রমন ভাগের সেরা একজন খেলোয়ার। তবে গতকালের দিনটি তার ছিলো না। অহেতুক ড্রিবলিং করতে গিয়ে হারাচ্ছিলেন বল। আক্রমনের সময় পারছিলেন না বলের যোগান দিতে। ক্রস মাষ্টার হিসেবে পরিচিত উইলিয়ান ঠিক ভাবে ক্রসও করতে পারছিলেন না। যার কারনে দ্বিতীয়ার্ধে তাকে আর মাঠেই দেখা যায়নি।

২. মাঝারি মানের পারফর্মেন্স নেইমার: কোষ্টারিকান তারকারা কোন সন্দেহ ছাড়াই নজরে রেখেছিল নেইমারকে। তাই সেরা খেলাটা বেড় করতে বেগ পেতে হচ্ছিল নেইমারকে। কোস্টারিকার ডি বক্সে নেইমার তেমন ভাবে ভয় ছড়াতে পারেনি এই ম্যাচে। ম্যাচে তাকে শারীরীক ভাবেও বেশ নাজেহাল মনে হচ্ছিলো। অনেকটাই আনফিট দেখাচ্ছিলো তাকে। কিছু সময় মাঠে তাকে দু্র্দান্ত দেখালেও কিছু সময় মনে হচ্ছিলো অন্যরকম।

৩. সেরা খেলোয়ার নাভাস: ব্রাজিল এই্ ম্যাচটি জিততে পারত ৪-০ বা ৫-০ ব্যবধানেও। কিন্তু এক নাভাসের কাছেই বার বার পরাস্ত হতে হয়েছে ব্রাজিলের তারকাদের। ম্যাচে অন্তত ৩টি বল সেভ করেছে যা গোল হওয়ার মত ছিল।

৪. খারাপ পারফর্মেন্স পাউলিনহো: বক্স টু বক্স মিডফিল্ডার এবং টিটের দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন সদস্য পাউলিনহো। কিন্তু গতকালের ম্যাচে অনেকটাই নিস্প্রভ ছিলেন তিনি। কোস্টারিকা যখন কাউন্ডার অ্যাটাকে উঠার চেষ্টা করছিলো তখন এই মিডফিল্ডার তার গ্যাপ পূরনে ব্যর্থ হচ্ছিলো। ক্যাসমিরোর কল্যানে গতকালের ম্যাচে অনেকটাই বেঁচে গেছে ব্রাজিল। যদি ক্যাসে না থাকত তাহলে পাউলিনহোর ভুলের মাশুল হয়তো দিতে হত।

৫. সেরা পারফর্মেন্স কৌতিনহো: ব্রাজিলের প্রথম গোলের সূচনা হয়েছে তার পা থেকেই। ব্রাজিলের সেরা খেলোয়ারও ছিলেন তিনিই। ডগলাস কস্তা মাঠে আসার পর ব্রাজিলের আক্রমন ভাগ আরো ভারসাম্যপূর্ন হয় এবং তখন কৌতিনহো খেলার জন্য আরো জায়গা পায় যা কোস্টারিকার তারকাদের বেশি সমস্যায় ফেলে।

আক্রমন ভাগ থেকে শুরু করে মিডফিল্ড এবং অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে কৌতিনহোর নড়াচড়া এবং সেই সাথে সুযোগ তৈরি করার কারনে বার বার ফাকা হয়ে যাচ্ছিলো কোস্টারিকার ডিফেন্স। সে দেখিয়েছে ঠান্ডা মাথায় কিভাবে গোল আদায় করে নিতে হয়।