আর্জেন্টিনা হেরেছিল বাংলাদেশের কাছেও

১৯৯৭ সালে কার্লসবার্গ আইসিসি ট্রফিতে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল ও আর্জেন্টিনা জাতীয় ক্রিকেট দল। এই ম্যাচটির বিষয়ে জ্ঞাত আছেন খুব কম মানুষই। সম্প্রতি জাতীয় দৈনিক মানবজমিনের একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে আবারও আলোচনায় এসেছে সেটি।
ঐ আসরে শিরোপা জিতেই বাংলাদেশ নিশ্চিত করেছিল প্রথমবারের মত ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিজেদের অংশগ্রহণ। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশ নেমেছিল আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। দিনটি ছিল ২৪ মার্চ, ১৯৯৭।
কুয়ালালামপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলিং তোপে সেদিন মাত্র ১৩৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। বার্নান্দো ইরিগুয়েন অপরাজিত ৩০ রানের ইনিংসটি না করলে আরও বড় লজ্জায় পড়তে হতো আর্জেন্টাইনদের। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান যে ছিল ১৮!
বল হাতে সেদিন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন বর্তমান আম্পায়ার এনামুল হক মনি ও বিসিবির বর্তমান পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয়। দুজনেই পেয়েছিলেন তিনটি করে উইকেট। হাসিবুল হোসেন শান্ত শিকার করেছিলেন দুটি উইকেট। একটি উইকেট পেয়েছিলেন মোহাম্মদ রফিক।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ পেয়েছিল দাপুটে জয়। ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৪ ওভারেই সেদিন লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছিল টাইগাররা। দলের পক্ষে ৩৭ বলে ৫৩ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেছিলেন দুর্জয়। ৩৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন ব্যাটিং উদ্বোধনীতে দুর্জয়ের সঙ্গী আতাহার আলী খান।
সেই ম্যাচের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে নেতৃত্ব দেওয়া আকরাম খান জানালেন আর্জেন্টিনা দলের প্রতি তাদের মুগ্ধতার কথা। তবে সেটি ক্রিকেট দলের ফুটবল কারিশমা দেখে!
আকরাম বলেন, ‘আমার মনে আছে, সেটি ছিল আইসিসি ট্রফিতে আমাদের প্রথম ম্যাচ। আগেই শুনেছিলাম আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলা। তাই একটু অদ্ভুত লাগছিল। কারণ ওরা ফুটবলে তো বিশ্বসেরা। ক্রিকেটে কেমন হবে তা নিয়ে একটু দ্বিধা ছিল। ওরা সেই সময় মাঠে ওয়ার্মআপ করতো ফুটবল খেলে। ম্যাচের আগে নিজেদের মধ্যে ওদের ক্রিকেটাররা যে ফুটবল খেলছিল তা দেখেই আমরা মুগ্ধ।’
ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সেদিন ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছিলেন দুর্জয়। তাই এখনও ঐ ম্যাচ নিয়ে ফ্যান্টাসি কাজ করে তার। দুর্জয় বলেন, ‘এটি তো সত্যি যে আর্জেন্টিনা ফুটবলে অন্যতম সেরা দল। তাই ওরা ক্রিকেট খেলছে ভেবে তেমন কোনো ভয়ের চিন্তা আসেনি। বরং একটু অদ্ভুত লেগেছিল। আমরা জানতাম জিতবো, তাই হয়েছে। আমার কাছে এখনও ভালো লাগে, ঐ ম্যাচে আমি ম্যাচ সেরা হয়েছিলাম।’
স্মৃতির পাতায় যত্নে থাকা সেই ম্যাচে দুর্জয়ের সাথে ৭৮ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ গড়েছিলেন আতাহার আলী খান। পাঁচজন ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরলেও ৫৭ বলে ৩৯ রান করে তিনি মাঠ ছেড়েছিলেন অপরাজিত থেকে। সেই আতাহার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলেছিলেন এর আগের বছরও।
আতাহার বলেন, ‘আমি ১৯৯৬ ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলেছিলাম। এরপর ১৯৯৭ এ খেলি। আর্জেন্টিনা ক্রিকেট খেলে এটা অবশ্য আমরা খুব কম লোকই জানতাম। কিন্তু খেলতে গিয়ে ভালোই লেগেছে। ওদের প্রতি দারুণ সম্মান এসেছে যে এত বড় ফুটবল জাতি হয়েও ক্রিকেটে মনোযোগ আছে। আর আইসিসি ট্রফিতে খেলা তো এত সহজ নয়।’
- কমলো সয়াবিন তেলের দাম, যা তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- এক খবরেই পাল্টে গেলো পেঁয়াজের দাম
- ১০ মিনিটের শক্তিশালী বৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড যে উপজেলা
- স্বর্ণের ভরি আজ হঠাৎ কত হলো জানেন
- নাটকীয়ভাবে অবিশ্বাস্য সুখবর পেলো বাংলাদেশ
- নাসুমকে চড় মারার চাঞ্চল্যকর অভিযোগের জবাবে মুখ খুললেন হাথুরু-সাথীরা
- বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- ইন্টারনেট সেবায় বিশাল মূল্যছাড়, কমলো ইন্টারনেটের দাম
- বিদেশি ফল নয়, ঘরেই লুকিয়ে আছে সমাধান এই ৫ দেশি খাবারেই পাবেন পর্যাপ্ত ভিটামিন সি
- শীর্ষে দিল্লি,২ নাম্বারে ঢাকা
- সিলেটে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে: উত্তেজনা চলছেই