| ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মেসি-রোনালদোর মত বিশ্বকাপ জেতেননি যেসব অভাগা বিশ্বসেরা

খেলাধুলা ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০১৮ জুন ১৩ ১৬:৩৫:১৮
মেসি-রোনালদোর মত বিশ্বকাপ জেতেননি যেসব অভাগা বিশ্বসেরা

১৯. অলিভার কান, জার্মানি

২০০২ বিশ্বকাপের কথা মনে আছে? জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ায় হওয়া সেই বিশ্বকাপের আলোচিত চরিত্র ছিলেন অলিভার কান। জার্মান গোলরক্ষক অলিভার কান মাত্র একটি গোল হজম করেছিলেন। ফাইনালে রোনাল্ডোর করা একমাত্র গোলেই চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল। ২০০৬ সালে জার্মানির হয়ে আরো একটি বিশ্বকাপ খেলেছিলেন। নিজের দেশে হওয়া সে আসরে তৃতীয় হয়েছিল জার্মানি। এখন পর্যন্ত অলিভার কান একমাত্র গোলরক্ষক যিনি জিতেছেন ফিফা ব্যালন ডি’অর।

১৮. ওয়েইন রুনি, ইংল্যান্ড

ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা ওয়েইন রুনি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে কি বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের জার্সিতে খেললেও জিততে পারেননি অরাধ্য বিশ্বকাপ ট্রফি।

১৭. রায়ান গিগস, ওয়েলস

রায়ান গিগসের গল্পটা অন্যদের চেয়ে আলাদা। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের অধীনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সোনালী সময়ের অন্যতম সেরা তারকা ছিলেন রায়ান গিগস। ইউনাইটেডের জার্সিতে স্বর্ণালী ক্যারিয়ার ওয়েলস মিডফিল্ডারের। বিশ্বকাপ জেতার জন্য যে সুযোগের প্রয়োজন সেটাই পাননি রায়ান গিগস। জাতীয় দলের জার্সিতে ৬৪টি ম্যাচ খেলা গিগসের সৌভাগ্য হয়নি কিশ্বকাপ খেলার। কেননা ১৯৫৮ সালের পর আর কখনই বাছাইপর্ব পেরিয়ে চূড়ান্তপর্বে উঠতে পারেনি।

১৬. মাইকেল লাউড্রপ, ডেনমার্ক

রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, আয়্যাক্স ও জুভেন্টাসের হয়ে জিতেছেন লিগ শিরোপা। দুর্দান্ত ক্লাব ক্যারিয়ার। ডেনমার্কের সোনালী প্রজন্মের ফুটবলার ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের পর কোচের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে দল থেকে নিজেই সরে দাঁড়ান। ১৯৯২ সালে ডেনমার্ক ইউরো কাপ জেতার পর আবার ফেরেন জাতীয় দলে। ১৯৯৫ সালে কনফেডারেশন্স কাপে ডেনমার্ককে চ্যাম্পিয়ন করান।

১৫. রবার্তো বাগিও, ইতালি

১৯৯৩ সালের ফিফা বর্ষসেরা পুরষ্কার ও ব্যালন ডি’অর জয়ী রবার্তো বাগিও ইতালির সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম। খেলেছেন ৩টি বিশ্বকাপ। ১৯৯৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করে ইতালিকে বিশ্বকাপ জয় বঞ্চিত করেন। ৫ গোল করে জেতেন সিলভার বল। সেট পিছ স্পেশালিস্ট হিসেবে খ্যাতি ছিল বাগিওর। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে নব্বয়ের দশকে ছিলেন সেরা ফুটবলার।

১৪. এরিক ক্যান্টোনা, ফ্রান্স

ফরাসি ফরোয়ার্ড এরিক ক্যান্টেনা তার সেরা সময়ে খেলতে পারেননি বিশ্বকাপ। ১৯৯৪ সালে ফ্রান্স বিশ্বকাপে খেলতে ব্যর্থ হয়। এর ঠিক একবছর পরই জাতীয় দল থেকে অবসর নেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে পাঁচ বছরের ক্যারিয়ারে জেতেন ৪টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা।

১৩. রাউল গঞ্জালেস, স্পেন

রিয়াল মাদ্রিদের দীর্ঘদিনের যোদ্ধা রাউল গঞ্জালেস ছিলেন অসাধারণ একজন স্ট্রাইকার। রাউলের অবসরের পরই স্পেনে আসে সোনালী এক প্রজন্ম। যারা রাউলের অবসরের ঠিক দুই বছর পর জেতে ইউরো কাপের শিরোপা। আর তাইতো স্পেনের ‘সোনালী’ ফুটবলার হয়েও জেতা হয়নি সোনালী সেই ট্রফি।

১২. জলাতান ইব্রাহিমোভিচ, সুইডেন

সুইডিশ এ ফুটবলার কোথায় সফল হননি? স্পেন, ইংল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস। এসব দেশের প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জেতা একমাত্র ফুটবলার ইব্রাহিমোভিচ। শুধু পারেননি দেশের হয়ে কিছু জিততে। ফুটবলটা টেনিস নয় যে একক কৃতিত্বে সেরা হওয়া সম্ভব। এ কথাটা আরো অনেক ফুটবলারের সাথে ইব্রার জন্যও প্রযোজ্য।

১১. কার্ল-হেইঞ্জ রুমেনিগে, জার্মানি

পশ্চিম জার্মানির হয়ে দুটি বিশ্বকাপ ফাইনাল হেরেছিলেন। তা্ও আবার পরপর দুইবার ১৯৮২ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপে। ছিলেন অধিনায়ক। বিশ্বকাপ ছাড়া ক্যারিয়ারের সব অর্জন করেছেন। কিন্তু বিশ্বকাপের আক্ষেপ কি আর অন্যসব অর্জনে পূরণ হয়?

১০. মিশেল প্লাতিনি, ফ্রান্স

ফরাসি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার প্লাতিনি জিতেছেন ৩টি ব্যালন ডি’অর। ফ্রান্সের হয়ে ১৯৮৪’তে জেতেন ইউরো কাপ। মিডফিল্ডার হয়েও ৯ গোল করেন সে আসরে। ১৯৯০ বিশ্বকাপে বিশ্বকাপ জয়ের কাছাকাছি গিয়েও পারেনি ফ্রান্স। তৃতীয় হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে গয় তাদের।

৯. পাওলো মালদিনি, ইতালি

এসি মিলানের সোনালী সময়ের কান্ডারি ছিলেন মালদিনি। ইতালিয়ান ক্লাবটির হয়ে জিতেছেন পাঁচটি ইউরোপিয়ান কাপ। সাতবার সিরি ‘আ’ জিতেছেন। ১৯৯৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছেন ইতালির জার্সিতে। সে ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরেছিল ইতালি।

৮. মার্কো-ভান বাস্তেন, নেদারল্যান্ডস

১৯৮৮ সালের ইউরো কাপের ফাইনালে সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমান রাশিয়া) বিপক্ষে বাস্তেনের অবিশ্বাস্য ভলিতে করা গোলটি ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা গোল বলা হয়ে থাকে। সোভিয়েত ইউনিয়নকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জেতে নেদারল্যান্ডস। আর সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরষ্কার জেতেন বাস্তেন। এর দুই বছর পর ফেভারিট হিসেবে বিশ্বকাপে যায় নেদারল্যান্ডস। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে দ্বিতীয় রাউন্ডে বাদ পড়ে যায় ডাচরা। তিনবার ব্যালন ডি’অর ও একবার ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্যা ইয়ার নির্বাচিত হন ডাচ স্ট্রাইকার।

৭. জিকো, ব্রাজিল

ব্রাজিলের সাবেক মিডফিল্ডার জিকোর বিশেষ গুণ ‘ব্যাতিক্রমী’ পাস দেয়ায় দক্ষ ছিলেন। ব্রাজিলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার ৩টি বিশ্বকাপ খেলে একটিতেও শিরোপার স্বাদ পাননি।

৬. ইউসেবিও, পর্তুগাল

পর্তুগালের ইতিহাসের সেরা ফুটবলার বলা হয় ইউসেবিওকে। পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারে ৭৪৫ ম্যাচে ৭৩৩ গোল করেন ‘কালো চিতা’ নামে বিখ্যাত পর্তুগিজ স্ট্রাইকার। ১৯৬৬ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে সেমিফাইনালে প্রায় হারিয়ে দিচ্ছিলো পর্তুগাল। শেষ পর্যন্ত যদিও পারেনি। সে বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট জয়ী ফুটবলার ছিলেন ইউসেবিও।

৫. ফেরেঙ্ক পুসকাস, হাঙ্গেরি

ফুটবল ইতিহাসের এক আক্ষেপের নাম ফেরেঙ্ক পুসকাস। ১৯৫৪ বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য হাঙ্গেরিকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতে নেয় পশ্চিম জার্মানি। অপ্রতিরোধ্য হাঙ্গেরির প্রাণভোমরা ছিলেন বিংশ শতাব্দীর সর্বোচ্চ গোলদাতা পুসকাস। সর্বকালের সেরাদের তালিকায় স্থান করে নেয়া পুসকাসের পায়ে ছিল অসীম শক্তি। তার পায়ে বল যাওয়া মানেই গোলের নিশ্চয়তা। ফিফা ২০০৯ সাল থেকে হাঙ্গেরিয়ান কিংবদন্তীর নামে ‘সুন্দর গোলের’ পুরষ্কার দিয়ে আসছে।

৪. আলফ্রেডো ডি স্টেফানো, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, স্পেন

ডি স্টেফানো যখন খেলতেন তখন ফিফা বর্ষসেরা কিংবা ব্যালন ডি’অর চালু হয়নি। আর তাইতো ব্যালন ডি’অর এর আবিষ্কারক ফ্রান্স ফুটবল স্টেফনোকে ‘সুপার ব্যালন ডি’অর’ পুরষ্কার একমাত্র স্টেফানোর জন্য তৈরি করে এবং তাকে সম্মানিত করে। স্টেফানো তার অতিমানবীয় পারফরমেন্সে রিয়াল মাদ্রিদকে একাই পাঁচটি ইউরোপিয়ান কাপ জেতান। আর্জেন্টিনায় জন্ম নিলেও তিনি খেলেছেন তিনটি ভিন্ন দেশের জাতীয় দলে। আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া ও স্পেন।

৩. ইয়োহান ক্রুইফ, নেদারল্যান্ডস

টোটাল ফুটবলের জনক ডাচ কিংবদন্তী ইয়োহান ক্রুইফ। ১৯৭৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে ক্রুইফের নেদারল্যান্ডস হেরে যায় পশ্চিম জার্মানির কাছে। আয়াক্স ও বার্সেলোনায় খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে সফল ছিলেন তিনি। জিতেছেন তিনটি ব্যালন ডি’অর।

২. ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, পর্তুগাল

পর্তুগিজ যুবরাজ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো কি বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়াল মাদ্রিদে দুর্দান্ত ক্যারিয়ার। ২০১৬ সালে জাতীয় দলের জার্সিতে জিতেছেন ইউরো কাপ। রাশিয়া বিশ্বকাপ রোনালদোর জন্য শেষ সুযোগ। এবার না পারলে বিশ্বকাপ না জেতার আক্ষেপ নিয়েই ক্যারিয়ার শেষ করতে হবে তাকে।

১. লিওনেল মেসি, আর্জেন্টিনা

অবধারিত ভাবেই সবার থেকে অভাগা এক ফুটবলার লিওনের মেসি। ফুটবল মেসিকে যতটা না দিয়েছে তার থেকেও বেশি ফুটবলকে দিয়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। এক বিশ্বকাপ ছাড়া সবই জিতেছেন। রাশিয়ায় মেসি এসেছেন তার ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে। সৃষ্টিকর্তা ২০১৪ বিশ্বকাপে খুব কাছে গিয়েও ফিরিয়েছেন। এবার কি তাহলে মেসির হাতেই বিশ্বকাপ ট্রফিটা উঠতে যাচ্ছে? বিশ্বকাপ ট্রফিটা মেসি জিততে না পারলে যে ট্রফিটারই আক্ষেপ থেকে যাবে একজন মহানায়কের স্পর্শ না পাওয়ার।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

ক্রিকেট

আজ নিলামে সাকিবকে দলে ভেড়াবে কিনা জানিয়ে দিল কলকাতার কোচ

আজ নিলামে সাকিবকে দলে ভেড়াবে কিনা জানিয়ে দিল কলকাতার কোচ

চলছে ২০২৫ আইপিএলের মেগা নিলাম। প্রথম দিনের নিলামে তোলা হয়নি বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারকে। প্রথম দিনের ...

IPL 2025 নিলামে নতুন চমক: আকাশ ছোয়া মুল্যে দল পেলেন মুস্তাফিজের দুই সতীর্থ, দেখেনিন সাকিবের অবস্থান

IPL 2025 নিলামে নতুন চমক: আকাশ ছোয়া মুল্যে দল পেলেন মুস্তাফিজের দুই সতীর্থ, দেখেনিন সাকিবের অবস্থান

আইপিএল ২০২৫-এর দ্বিতীয় দিনের নিলাম আজ শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে প্রায় ৪৭০ কোটি রুপি ব্যয়ে ...

ফুটবল

পয়েন্ট টেবিল প্রকাশ : ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে আরও যত পয়েন্ট দরকার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার

পয়েন্ট টেবিল প্রকাশ : ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে আরও যত পয়েন্ট দরকার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার

২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক ফুটবল সূচির প্রায় শেষ প্রান্তে এসে নিজেদের বছরের শেষ ম্যাচ খেলেছে দক্ষিণ ...

এইমাত্র পাওয়া : ব্রাজিলকে কাঁদিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

এইমাত্র পাওয়া : ব্রাজিলকে কাঁদিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

কয়েক দিন আগেই পেরুর লিমাতে পর্দা উঠেছিল দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের অনূর্ধ্ব-২০ ফুটসাল টুর্নামেন্ট। যেখানে দ্বিতীয় ...



রে