পরে বসে বক্তৃতার জন্য স্পিকারও তাকে অনুমতি দেন। পাঁচ মিনিট পর তার বক্তব্যে বিভিন্ন জড়তা আসতে থাকে, তথ্য এলোমেলো হয়ে যেতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি বসে বক্তৃতা দিতে থাকেন।

দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটের দিকে কাশতে থাকেন। তখন পাশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন সিনিয়র সংসদ সদস্যরা তাকে পানি পানের পরামর্শ দেন। কিন্তু ৮৫ বছর বয়সী অর্থমন্ত্রী তখন তার বক্তৃতা চালিয়ে যেতে থাকেন। দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে আবারও তিনি কাশতে থাকলে তাকে পুনরায় পানি পানের অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।এসময় তিনি পানি পান করে বলেন, ‘মাফ করবেন’। এর কিছুক্ষণ পর অর্থমন্ত্রী ক্লান্তিবোধ করলে তিনি পাঁচ মিনিটের বিরতির অনুরোধ জানান। তার অনুরোধের প্রেক্ষিতে ১টা ৫০ মিনিট থেকে ৫ মিনিটের বিরতি দেয়া হয়।

অর্থমন্ত্রীর ক্লান্তির কারণে দেয়া বিরতির পর দ্বিতীয় পর্যায়ে বক্তব্যের পর সোয়া দুইটার দিকে আবারও বক্তব্যের মাঝে পানি পান করেন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় বাজেট বক্তৃতা শেষ হয়। বাজেট বক্তৃতার শেষে স্পিকারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে পুণরায় বক্তব্য দেন।

বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমার একটি মাফ চাওয়ার ব্যাপার আছে। আপনারা দেখেছেন, আমি বসে বসে বক্তৃতা দিয়েছি। আপনারা দেখেছেন রোজার মাসে আমি সব নিয়ম-কানুন পালন করিনি। আমি এজন্য ক্ষমা চাচ্ছি। এটা একান্তই বয়সের কারণে। আপনারা বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এটাই প্রার্থনা করছি।’