মেসিও বুঝতে পারছেন এটা তার শেষ সুযোগ

তা হয়তো নেই, কিন্তু একটা শিরোপা জয়ের তাগিদটা মেসি টের পাচ্ছেন বহু আগে থেকেই। সেটা যদি হয় বিশ্বকাপ তাহলে তো কথাই নেই। গত বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও শিরোপাটা শেষ পর্যন্ত দূরের বিষয় হয়েই ছিল আর্জেন্টিনার। এবার রাশিয়ায় আসছে আরও একটি সুযোগ। দেশ ছাড়ার আগে মেসি বলেছেন, আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় হওয়ার জন্যও কখনো খেলে না।
ব্রাজিল বিশ্বকাপের ব্যথাটা সঙ্গে নিয়েই রাশিয়া যাচ্ছেন মেসি। ফাইনালে জার্মানির কাছে সেই হার এখনো পোড়ায় আর্জেন্টাইনদের। মেসি তা স্বীকারও করে নিয়েছেন,
‘আমরা স্বপ্ন পূরণের খুব কাছে ছিলাম। কিন্তু এটাই ফুটবল। সেরা দল সব সময় জেতে না। আমাদের এটা মেনে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। বাকি সব আর্জেন্টাইনের মতো আমরাও কেঁদেছিলাম। ব্যথাটা এখনো কেউ ভুলে যায়নি।’
বার্সার এল প্রাত বিমানবন্দরে দলসহ বাসে মেসি২৫ বছর আগে শেষবার বড় কোনো শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। ১৯৯৩ সালে কোপা আমেরিকা জেতার পর বড় শিরোপা অধরাই আর্জেন্টিনার কাছে। বিশ্বের অন্যতম সেরা দল, বিশ্বখ্যাত খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া দল, তারাই কিনা শিরোপা জিততে পারে না! গত চার বছরে বিশ্বকাপসহ তিনটি বড় ফাইনালে উঠেও ব্যর্থ হয়েছে আর্জেন্টিনা। পুরো ব্যাপারটিই এখন আলোচনা-সমালোচনার খোরাকে পরিণত। নিন্দুকদের কাছে আর্জেন্টিনার এই ব্যর্থতা রীতিমতো হাস্যরসের বস্তু।
মেসিও এ নিয়ে কম কথা শোনেননি। এর আগে দেশকে টানা দুটি কোপা আমেরিকার ফাইনালে তুলেও শিরোপা জেতাতে পারেননি বার্সার এই তারকা ফরোয়ার্ড। এ ছাড়া গত বিশ্বকাপের ফাইনাল তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে তিনটি বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালেই আর্জেন্টিনা ব্যর্থ। তবে মেসি এসব গায়ে মাখেন না। তিনি বোঝেন বাস্তবতাটা,
‘আর্জেন্টিনা ফুটবলপাগল জাতি। সংবাদমাধ্যম যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে সেটা হয়তো তাঁদের জন্য স্বাভাবিক। আর্জেন্টিনায় আসলে রানার্সআপ আপের কোনো জায়গা নেই।’
আর্জেন্টিনার এই দলটা বেশ শক্তিশালী। মেসির সঙ্গে রয়েছেন হ্যাভিয়ের মাচেরোনা, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া, সার্জিও আগুয়েরো, গঞ্জালো হিগুয়েইন, পাওলো দিবালার মতো তারকা খেলোয়াড়। তবে আগুয়েরো-ডি মারিয়া-মেসি-মাচেরানোরদের প্রজন্মের জন্য এটাই বিশ্বকাপ জয়ের শেষ সুযোগ। ব্যাপারটা মেসি নিজেও টের পাচ্ছেন ভালোভাবেই। আর তাই রাশিয়াকে শেষ সুযোগ হিসেবেই দেখছেন ৩০ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড,
‘আমার স্বপ্ন একই রকম আছে—ফাইনালে উঠে শিরোপা জেতা। যদিও এটা অনেক কঠিন। আমরা এবারও ফাইনালে উঠে গতবারের ফলটা পাল্টাতে চাই। আমরা শিরোপা জিততে চাই কারণ আমাদের প্রজন্মের জন্য এটাই হয়তো শেষ সুযোগ।’
তবে মেসি আর্জেন্টিনাকে ফেবারিট হিসেবে দেখছেন না। তাঁর ভাষ্য,
‘শিরোপা ধরে রাখতে জার্মানি সর্বোচ্চ চেষ্টাই করবে। স্পেনের দলটাও ভালো, ব্রাজিল ও পর্তুগাল বাছাইপর্বে ভালো করেছে। ফ্রান্সও বেশ ভালো দল।’
মেসির চোখে রাশিয়া বিশ্বকাপে এ দলগুলোই ফেবারিট। তার মানে, আর্জেন্টিনার ওপর ফেবারিটের তকমা চাপিয়ে মেসি অযথা কোনো চাপ নিতে চান না। আর্জেন্টিনা থেকে উড়াল দিয়ে বার্সেলোনায় পৌঁছেছেন মেসিরা। বিশ্বকাপের আগে শেষ পর্বের অনুশীলন এখানেই সেরে নেবেন তাঁরা।-প্রথম আলো
- নতুন ঘোষণা দিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান
- ৪ না মেরে ছক্কা হাঁকানোয় বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বদলে বাংলাদেশ
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- চরম দু:সংবাদ : ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ
- আজ বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- হঠাৎ একি হলো পেঁয়াজের বাজারে
- হাসিনার বিরুদ্ধে ফেটে পড়ল ভারত! বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ ভারতীয় সাংবাদিক
- ফাঁদে পড়লেন ওবায়দুল কাদের, এবার পালাবেন কোথাই
- কঠিন সমীকরণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ
- I Love You নয়, বলুন এই কথাগুলো – প্রেমে পড়বে সেকেন্ডেই
- পিএসএলে ইতিহাস গড়লেন হাসান আলি, ভাঙলেন ওয়াহাব রিয়াজের রেকর্ড
- বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের আসল কারণ ফাঁস
- ভয়াবহ ভূমিকম্প : বিধ্বস্ত ৮০ ভাগ সরকারি ভবন
- রাজস্থানে 'রক্তপাত' ভড়কে গিয়ে দ্রাবিড় যা বললেন...
- পাকিস্তানকে মাঝারি রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ