| ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কেমন হবে বিএনপির সহায়ক সরকারের রূপরেখা

জাতীয় ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০১৭ জুলাই ০৩ ১৩:৫২:৫২
কেমন হবে বিএনপির সহায়ক সরকারের রূপরেখা

গত ১৯ নভেম্বর ২০১৬ বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন কমিশন গঠন ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ১৩ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করার সময় বলেছিলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যাতে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে পারে সেই উদ্দেশ্যে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের প্রয়োজন। যথাসময়ে আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা জাতির সামনে উপস্থাপন করব।’

বিএনপির দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, দলের চেয়ারপারসন যে ১৩ দফা প্রস্তাব দিয়েছিল তা মূলত সরকারের মনোভাব বোঝার জন্য। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পর বিএনপির নেতারা মনে করছেন, বিষয়টি সরকার আমলে নেয়নি। তারপরও তারা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা দিয়ে সরকারকে আলোচনার আহ্বান জানাবেন। তবে বিএনপির নেতাদের কেউ কেউ মনে করেন, সরকার শেষ পর্যন্ত এই প্রস্তাবও আমলে নেবে না। তারপরও প্রস্তাবটি দিলে এর পক্ষে জনমত গঠন করে আন্দোলনের একটি প্রেক্ষাপট তৈরি করতে পারবে দলটি।

জানা গেছে, ইতিমধ্যে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখার খসড়া তৈরি করা হয়েছে। দলের নীতিনির্ধারকদের নির্দেশনায় বিএনপির প্রতি সহানুভূতিশীল সংবিধান বিশেষজ্ঞ, বুদ্ধিজীবী ও সরকারের সাবেক কয়েক কর্মকর্তা রূপরেখা প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত। গেল রমজানে তারা তাদের প্রণীত সহায়ক সরকারের রূপরেখা নিয়ে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। সেই বৈঠকে খালেদা জিয়া তাদেরকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। বেগম জিয়ার সেই নির্দেশনা অনুসারে সহায়ক সরকারের রূপরেখাতে পরিবর্তন-পরিবর্ধন ও করেছেন তারা।

দলের নেতাদের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে হস্তক্ষেপমুক্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।

বিএনপির একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আগামী কয়েকদিনের মধ্যে লন্ডন যাওয়ার কথা রয়েছে। তার লন্ডন সফর যদি দেড়ি হয় তাহলে আগেই নির্বাচনী রূপরেখা দেয়া হবে। আর যদি তা না হয় তাহলে লন্ডন থেকে ফিরেই দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই সহায়ক সরকারের রূপরেখা চূড়ান্ত করবেন তিনি।

এ ব্যাপারে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিডি২৪লাইভকে জানিয়েছেন, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখার খসড়া তৈরি করা হয়েছে। রমজান শেষ হয়েছে। এখন বিভিন্ন দেশে নির্বাচনকালীন সরকারের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যথাসময়ে দলের নেতারা বসে সবার মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা চূড়ান্ত করবেন। তার পরই তা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতির সামনে পেশ করবেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

সহায়ক সরকারের দাবি আমাদের নতুন নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা আমাদের পুরাতন দাবি। আর দেশে যে সহায়ক সরকারের প্রয়োজন আছে তা শেখ হাসিনা তো ১৯৯৬ সালেই উপলব্ধি করেছেন।

সরকার যদি সহায়ক সরকারের দাবি না মেনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে তাহলে বিএনপির অবস্থান কি? জানতে চাইলে দলের এই নীতিনির্ধারক বলেন, নির্বাচনের সময় আসুক তখন আমাদের দাবি না মানলে সে রুপ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যদি দাবি না মেনেই নেয় তখন যদি আবারো দেশে সংকটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তার দায়ভার এই সরকারকেই নিতে হবে বলেও হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ এ বিষয়ে বলেন, নির্বাচন কমিশন যতই শক্তিশালী হোক না কেন, দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকলে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কখনই সম্ভব নয়। যখনই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, তখন নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থাকতে পারে না, তার প্রমাণ ১৯৭৩ ও ২০১৪ সালের নির্বাচন।

দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বিডি২৪লাইভকে বলেন, খুব শীঘ্রই চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এই রুপরেখা দিবেন। তবে আমার মনে হয় এখানে নির্বাচনকালীন সময়ে বর্তমান সংসদ ভেঙ্গে দেয়ার একটা প্রস্তাবনা থাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এই সংসদ না ভেঙ্গে দিলে দেশে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। জাতি কখনো এই সরকারে অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে বিশ্বাস করে না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মত আর কোনো নির্বাচন দেশে হবে না উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজপথে আন্দোলন করেই যে সহায়ক সরকারের দাবি আদায় করতে হবে তা আমি মনে করি না। জনমতের প্রতিফলনের ফলেই এই সরকার এক পর্যায়ে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে বলেও মনে করেন তিনি।

নির্বাচনকালীন এই সরকারের রূপরেখা কেমন হবে তা নিয়ে বিএনপির ভেতরও নানা আলোচনা আছে। দলটির কোনো কোনো নেতা মনে করেন, বর্তমান সংবিধান মাথায় রেখেই এই রূপরেখা তৈরি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত নির্বাচনের আগে সর্বদলীয় সরকারের যে ধারণা দিয়েছিলেন, সেটিকে বিবেচনায় নিয়ে একটি রূপরেখা করা যেতে পারে। সরকার রাজি থাকলে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী না রেখেও এটি করা সম্ভব বলে বিএনপির নেতারা মনে করেন।

আবার অনেকে মনে করেন, নির্বাচনকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা সীমিত করা যেতে পারে। গত জাতীয় নির্বাচনের আগে জাতিসংঘের দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো যখন আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তখনো এই চিন্তাটি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হওয়ার পর থেকেই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল বিএনপি। কিন্তু তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচন বর্জন করে দলটি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

ক্রিকেট

এই মাত্র পাওয়া: চমক দিয়ে তামিমকে অধিনায়ক করে ১৪ সদস্যের দল ঘোষণা করলো বিসিবি

এই মাত্র পাওয়া: চমক দিয়ে তামিমকে অধিনায়ক করে ১৪ সদস্যের দল ঘোষণা করলো বিসিবি

ক্রিকেটে আবারও বড় মঞ্চে নামছে বাংলাদেশের যুব দল। সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হতে যাচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ ...

ভারতকেঅল্প রানে অলআউট করে উল্টো বিপদে অস্ট্রেলিয়া

ভারতকেঅল্প রানে অলআউট করে উল্টো বিপদে অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের সামনে টিকতে না পারার পর ভারতীয় বোলাররা ম্যাচে ফিরিয়েছেন দলকে। প্রথম ইনিংসে মাত্র ...

ফুটবল

পয়েন্ট টেবিল প্রকাশ : ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে আরও যত পয়েন্ট দরকার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার

পয়েন্ট টেবিল প্রকাশ : ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে আরও যত পয়েন্ট দরকার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার

২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক ফুটবল সূচির প্রায় শেষ প্রান্তে এসে নিজেদের বছরের শেষ ম্যাচ খেলেছে দক্ষিণ ...

পয়েন্ট টেবিলে অবনতি : বিশ্বকাপের টিকিট পেতে যে সমীকরণ মেলাতে হবে ব্রাজিলকে

পয়েন্ট টেবিলে অবনতি : বিশ্বকাপের টিকিট পেতে যে সমীকরণ মেলাতে হবে ব্রাজিলকে

কাতার বিশ্বকাপের পর থেকে নিজেদের চেনা ছন্দে নেই ফুটবলের পরাশক্তি ব্রাজিল। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা লাতিন আমেরিকা ...



রে