অভিনেতারা প্লেব্যাক করতেই পারেন, তাতে আমি বিন্দুমাত্র ইনসিকিওর্ড নই

সিঙ্গল’এর ভিডিওতে তো আপনি সম্পূর্ণ ভিন্ন অবতারে ধরা দিয়েছেন।
আমি তো রিলিজের আগে ভিডিওটা নিয়ে টেনশনেও ছিলাম। এই রকম লুক’এ দর্শক আগে আমাকে দেখেননি। ভিডিওতে বেশ হাই-ফ্যাশন শ্যুট করেছি আমরা। যাই হোক, দিনের শেষে আমাদের কাজ দর্শকের ভাল লেগেছে। সো আই অ্যাম হ্যাপি! গানের রেকর্ডিংটা হয়ে যাওয়ার পর, ভিডিও’র কনসেপ্ট কী হবে তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছিল। ভিডিওতে চোখধাঁধানো কোনও সিকোয়েন্স দেখানোর মতো বাজেট আমাদের ছিল না। তাই ভেবেচিন্তে ‘ফ্রি বার্ড’এর কনসেপ্টটাকেই লক করা হয়। নিজেকে আনন্দে রাখো— এটাই হল ‘তমন্না’র মর্মার্থ। তাই ভেবে দেখলাম, এর সঙ্গে ডান্সটাকে যোগ করলে কেমন হয়! এইভাবেই এগিয়েছিল ব্যাপারটা। গানের পাশাপাশি বেশ কিছু ছবিতে আপনি তো অভিনয়ও করেছেন...। আমি ভাগ্যবান— গানটা যেমন গাইতে পারি, তেমন অভিনয়টাও পারি। আবার নাচটাও করতে পারি। নাচ আর গানটা করতে পারি বলেই, হয়তো অভিনয় করার সময় আমি এতটা কনফিডেন্ট থাকি। ব্যাপারগুলো একে অপরের পরিপূরক আরকী! আপনি যে একজন ট্রেন্ড ডান্সার, সেটা কিন্তু অনেকেই জানেন না...!(হেসে) নাচের প্রতি দুর্বলতাটা একেবারে ছোটবেলা থেকেই। আমি তখন একেবারে ছোট। স্কুলে একবার ‘মর্জিনা আবদুল্লা’ ডান্স ড্রামা হয়েছিল। সেখানে পারফর্ম করেছিলাম। সেই থেকেই নাচ শুরু। প্রথমে মণিপুরী, তারপর ভরতনাট্যম শিখেছিলাম। ধীরে ধীরে হিপহপ, লাতিন আমেরিকান নাচ শিখি। সালসাও শিখেছি। এখন তো নাচটা আমার কাছে নিজেকে হাসিখুশি রাখার উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধরুন, কখনও আমার মন খারাপ হয়েছে। মন ভাল করার জন্য একটু নেচে নিই! বাবা শক্তি ঠাকুর, মা মিনতি ঠাকুর, দিদি মেহুলি ঠাকুর। আপনার তো বড় হয়ে ওঠাই সাংগীতিক পরিবেশে...।আমার তখন সবে চার বছর বয়স। স্কুলে প্রার্থনার সময় আমার গান গাওয়া দেখে বাবা-মা বুঝতে পেরেছিলেন, গানটা আমার মধ্যে রয়েছে। ছ’বছর বয়সে প্রথমবার রেকর্ড করি। ছড়ার গানের। মাইক্রোফোনের সঙ্গে সেটাই আমার প্রথম পরিচয়। আমার গানের তালিম শুরু হয়েছিল একটু দেরিতেই। তখন আমি ক্লাস এইটে পড়ি। তার আগে অবশ্য বাবা-মা-দিদি’র গান শুনে অনেক গান আমি তুলে ফেলেছিলাম। গায়িকা হিসেবে আপনার পরিচিতি রিয়্যালিটি শো’য়ের মাধ্যমে। রিয়্যালিটি শো’য়ের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে চারিদিকে যে এত বিতর্ক হয়, এই সম্পর্কে আপনার মত কী?কোন প্রতিযোগী রিয়্যালিটি শো থেকে বেরিয়ে এসে কী করবেন, সেটা তাঁদের সিদ্ধান্ত। চ্যানেল বা প্রোডাকশন হাউস একটা রিয়্যালিটি শো প্রযোজনা করতে পারে মাত্র। কিন্তু তারপর প্রতিযোগীদের কেরিয়ার কোন দিকে যাবে, সেটা চ্যানেলের হাতে নেই। আর রিয়্যালিটি শো থেকে বেরিয়েই কারও কেরিয়ার তৈরি হয়ে যাবে, এটা ভেবে নেওয়াও ঠিক নয়! প্রত্যেককেই একটা পর্যায় পর্যন্ত স্ট্রাগল করতে হয়। রিয়্যালিটি শো’এ অংশ নিলে শিল্পী হিসেবে ফেসভ্যালুটা বাড়ে। সেটাকে কাজে লাগাতে জানতে হবে।
‘তমন্না’তে মোনালি।আপনাকেও তো একটা সময় যথেষ্ট স্ট্রাগল করতে হয়েছে?সে আর বলতে! টানা ১৩-১৪ বছর স্ট্রাগল করতে হয়েছে! আমি ভাগ্যবান যে, ওইদিনগুলো আমার জীবনে এসেছিল। বিকজ দোজ ডেজ মেড মি মোর ম্যাচিওর্ড ইন লাইফ। জীবনে এমন দিনও দেখেছি, যখন বাবা আমার পড়াশোনার খরচও চালাতে পারছিলেন না। সেই সময়টায় আমার পরিবারের প্রায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। খুব চিন্তায় থাকতাম আমরা তখন। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে, ঠিক সেই সময়েই আমার কেরিয়ারটা শুরু হয়েছিল। তাই আর্থিকভাবে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পেরেছিলাম। প্লেব্যাক, সিঙ্গলের কাজ, রিয়্যালিটি শো’য়ের বিচারকের দায়িত্ব, লাইভ পারফরম্যান্স— এত কাজ সামলে কলকাতায় আসার সময় পান?পাচ্ছি আর কোথায়? এখন তো শো’য়ের কাজ ছাড়া কলকাতায় যাওয়াই হয় না (হাসি)। আর রেওয়াজ করার সময়...?সারাদিনে ২৪টা ঘণ্টা রয়েছে বন্ধু! চাইলে কত কী-ই করা যেতে পারে। আমার তো ইচ্ছে রয়েছে, আপাতত প্রতি দু-তিনমাস অন্তর একটা করে সিঙ্গল রিলিজ করা। ইদানীং প্রায় সব অভিনেতাই তো প্লেব্যাক সিঙ্গার বনে গিয়েছেন!কোনও অভিনেতা যদি গানটাকে জাস্টিফাই করতে পারেন, তাহলে তো কারও আপত্তি থাকার কথা নয়! আমার কারও কাজ ভাল না-ই লাগতে পারে। কিন্তু তাই বলে আমি কাউকে প্লেব্যাক করা থেকে বিরত করতে পারি না। অভিনেতারা প্লেব্যাক করতেই পারেন, তাতে আমি বিন্দুমাত্র ইনসিকিওর্ড নই! তবে এটাও ঠিক, অভিনেতারা প্লেব্যাক করলে গানটা একটা বাড়তি মাইলেজ পেয়েই যায়। কয়েকমাস আগে এক রিয়্যালিটি শো’এর মঞ্চে পাপনের এক প্রতিযোগীকে চুমু খাওয়া নিয়ে প্রবল বিতর্ক হয়েছিল। আপনি পাপনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই কারণে আপনাকেও ট্রোল্ড হতে হয়েছিল!আসলে হিপোক্রেসিতে ভরা একটা দেশে আমরা বসবাস করি। কী বলব বলুন তো! পাপনের মতো একজন সাদাসিধে শিল্পীর সঙ্গে যদি এই রকম একটা ঘটনা ঘটে, কিছু বলার থাকতে পারে না। যাঁরা পাপনকে চেনেন, তাঁরা প্রত্যেকে একবাক্যে স্বীকার করবেন, যে পাপন কোনও খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজটা করেননি। আচ্ছা, আলেকজান্ডারের সঙ্গে আপনার বন্ধুত্বের সমীকরণটা ঠিক কী, একটু বুঝিয়ে বলবেন প্লিজ?(অবাক হয়ে) কেন বলুন তো? ইনস্টাগ্রামে ওঁর ছবিতে ‘মাই স্পেশ্যাল সামওয়ান’ ক্যাপশন লিখে পোস্ট করা দেখে, অনেকেই মনে করছেন তিনি নাকি আপনার বয়ফ্রেন্ড?(থামিয়ে দিয়ে) আলেকজান্ডার আমার বয়ফ্রেন্ড (হাসি)? এই রে...!
- নতুন ঘোষণা দিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান
- ৪ না মেরে ছক্কা হাঁকানোয় বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বদলে বাংলাদেশ
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- চরম দু:সংবাদ : ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ
- আজ বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- হঠাৎ একি হলো পেঁয়াজের বাজারে
- হাসিনার বিরুদ্ধে ফেটে পড়ল ভারত! বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ ভারতীয় সাংবাদিক
- ফাঁদে পড়লেন ওবায়দুল কাদের, এবার পালাবেন কোথাই
- কঠিন সমীকরণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ
- I Love You নয়, বলুন এই কথাগুলো – প্রেমে পড়বে সেকেন্ডেই
- পিএসএলে ইতিহাস গড়লেন হাসান আলি, ভাঙলেন ওয়াহাব রিয়াজের রেকর্ড
- বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের আসল কারণ ফাঁস
- ভয়াবহ ভূমিকম্প : বিধ্বস্ত ৮০ ভাগ সরকারি ভবন
- রাজস্থানে 'রক্তপাত' ভড়কে গিয়ে দ্রাবিড় যা বললেন...
- পাকিস্তানকে মাঝারি রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ