১৯৩০ থেকে ২০১৪: বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলকারী ১১ জন

হিসাব বলছে, আর মাত্র ১৩দিন পরই শুরু হবে বিশ্বকাপ ফুটবল। সে লক্ষ্যে ফুটবল পিয়াসীদের জানার আগ্রহ ও ইচ্ছা ব্যাপক। তাই আজ গো নিউজ পাঠকদের জন্য রয়েছে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল করা এমন ১১ জন প্লেয়ারের তথ্য।
মিরোস্লাভ ক্লোসা: জার্মানি
বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা জার্মানি স্ট্রাইকার মিরোস্লাভ ক্লোসা। ২০০২ থেকে ২০১৪ বিশ্বকাপ অর্থাৎ টানা চারটি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে মোটে ১৬টি গোল করেছেন তিনি। এই চার বিশ্বকাপে ২৪টি ম্যাচে অংশ নিয়েছেন ক্লোসা। ২০০২ বিশ্বকাপে তিনি ৫টি গোল করেন যার সবগুলোই ছিল হেডের মাধ্যমে। এরপর ২০০৬ বিশ্বকাপে তিনি আবারো ৫টি গোল করে ‘গোল্ডেন বুট’ জিতেন।
বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলকারী ক্লোসা।২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে তিনি ৪ গোল করেন এবং ২০১৪ বিশ্বকাপে ২টি গোল করে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে নিজের নাম লেখান।
রোনালদো: ব্রাজিলব্রাজিল দলের এই প্রাণভোমরা মোটে ১৫টি গোল করে বিশ্বসেরা গোলকারীদের তালিকায় দ্বিতীয়স্থানে রয়েছেন। ১৯৯৪ থেকে টানা চারটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন তিনি। তবে ক্লোসার চেয়ে পাঁচ ম্যাচ কম খেলেছেন রোনালদো।
১৯৯৪ বিশ্বকাপে রোনালদোকে ব্রাজিলের স্কোয়াডে রাখা হলেও মাঠে নামানো হয়নি। তবে পরের বছর নেমেই ভেলকি দেখান। জানিয়ে দেন বিশ্বকে জয় করতেই তার আগমন। ৪ বছর পর ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ৪টি গোল করেন রোনালদো। এর পরের বছরও একই রকম গোল করেন রোনালদো। তবে আসল চমকটা দেখান ২০০২ বিশ্বকাপে। সেবার ৮ গোল করে ‘গোল্ডেন বুট’ জয়ের পাশাপাশি ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ জয় করেন।
২০০৬ বিশ্বকাপে তিনি ৩টি গোল করে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে রেকর্ড গড়েন। কিন্তু পরবর্তীতে জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসা সেই রেকর্ড ভেঙে দেন।
গার্ড মুলার: পশ্চিম জার্মানি
১৯৭০ ও ১৯৭৪ বিশ্বকাপ সুযোগ মিলে পশ্চিম জার্মানির এই কিংবদন্তীর। মাত্র ১৩টি ম্যাচে অংশ নিয়ে সেবার ১৪ গোল করেন মুলার।
মজার ব্যাপার হলো, নিজের প্রথম বিশ্বকাপ মিশনে নেমে গোটা ফুটবল বিশ্বে হই ছই ফেলে দেন মুলার। সেই বিশ্বকাপে ১০টি গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেন তিনি। এর পরের বিশ্বকাপে বাদ বাকি তিনটা গোল করেন।
জাস্ট ফন্টেইন: ফ্রান্স
মাত্র একটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলেন জাস্ট ফন্টেইন। আর তাতেই বাজিমাত। ১৯৫৮ এর সেই বিশ্বকাপটিতে ৬ ম্যাচে অংশ নিয়ে ১৩ গোল করেছেন জাস্ট। আর দলের হয়ে মাত্র ২১ ম্যাচ খেলে ৩০টি গোল করেছেন।
পেলে: ব্রাজিলব্রাজিল দলের এই কিংবদন্তী চারটি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। যাতে ১৪ ম্যাচ খেলে করেছেন ১২ গোল। ব্রাজিলের হয়ে ৩ বারের বিশ্বকাপজয়ী হয়েও বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারেননি পেলে। অথচ তাকে বলা হতো সর্বকালের সেরা ফুটবলার।
ব্রাজিল ফুটবলে পেলে একটি নাম, একটি ইতিহাস।স্যান্দর ককসিস: হাঙ্গেরি
একটি বিশ্বকাপ। পাঁচটি ম্যাচ। আর তাতেই বাজিমাত। জ্বী হ্যাঁ, বলছি হাঙ্গেরির তারকা ককসিসের কথা। ফেরেঙ্ক পুসকাসের কষ্টময় সেই ১৯৫৪ বিশ্বকাপে পাঁচটি ম্যাচ খেলে ১১ গোল করেছেন তিনি। মজার ব্যাপার হলো, বিশ্বকাপে অভিষিক্ত ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করেন ককসিস। আর দ্বিতীয় ম্যাচে করেন চার চারটি গোল। এরপর কোয়ার্টার-সেমিতে করেন জোড়া গোল। তবে ফাইনালে তার পায়ের জাদু দেখতে পায়নি বিশ্ব।
মজার ব্যাপার হলো, ১৯৫০ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত টানা চার বছর কোন ম্যাচ হারেনি পুসকাস-ককসিস বাহিনী। কিন্তু বিশ্বকাপের ফাইনালে এসে মন ভাঙ্গে তাদের। এ দুঃখ মনে ধারণ করে ৫৪ বিশ্বকাপের পর অবসরে যান পুসকাস।
ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যান: জার্মানি
মোটে তিনবার বিশ্বকাপ খেলোর সুযোগ পেয়েছেন জার্মানির কিংবদন্তী ক্লিন্সম্যান। যাতে ককসিসের সমান গোল করেছেন তিনি। ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যান একই সাথে পশ্চিম জার্মানি এবং একীভূত জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছেন।
হেলমুট রন: পশ্চিম জার্মানি
১৯৫৪ ও ১৯৫৮ বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার সুযোগ মিলে তার। মজার ব্যাপার হলো, এই মুরই পশ্চিম জার্মানির প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক। ১৯৫৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে শক্তিশালী হাঙ্গেরিকে একাই ধসিয়ে দেন তিনি। তখনকার সময়ে হাঙ্গেরি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে টানা চার বছর তাদের কেউই তাদের হারাতে পারেনি। এমনকি ফাইনাল ম্যাচটিতে হাঙ্গেরি ৮ মিনিটের মধ্যে ২ গোলে এগিয়ে যায়। এরপর হেলমুট রন একটি গোল সহায়তা করেন এবং নিজে একটি গোল করে পশ্চিম জার্মানিকে ম্যাচে সমতায় ফেরান। ম্যাচ শেষ হওয়ার ৬ মিনিট পূর্বে হেলমুট রন দ্বিতীয় গোল করে পশ্চিম জার্মানিকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জেতান।
হেলমুট রন দুটি বিশ্বকাপে ১০ ম্যাচ খেলে সমপরিমাণ গোল করেন।
গ্যারি লিংকার: ইংল্যান্ড
দেশের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ মিলে ইংলিশ ফুটবলার লিংকারের। যার মধ্যে ১৯৮৬ বিশ্বকাপে মোট ৬টি গোল করে ‘গোল্ডেন বুট’ জেতেন এবং ৬টি গোলের মধ্যে তিনি পোল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন। ৪ বছর পর ১৯৯০ বিশ্বকাপে তার ৪ গোলের উপর ভরসা করে ইংল্যান্ড সেমিফাইনাল খেলে।
থমাস মুলার: জার্মানি
শীর্ষদের কাতাতে মুলার।সর্বশেষ ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানিকে বিশ্বকাপ জেতাতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল মুলারের। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপটিতে পর্তুগালের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ১ গোল এবং ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করার দিনে তার গোলের মাধ্যমেই ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়।
এর আগে ২০১০ বিশ্বকাপে ‘বেস্ট ইয়াং প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড’ সহ সর্বোচ্চ ৫টি গোল করায় ‘গোল্ডেন বুট’ জিতেন মুলার।
গ্যাব্রিয়েল বাত্তিস্তা: আর্জেন্টিনা
বিশ্বকাপে ১২ ম্যাচে মোটে ১০ গোল করেছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তী বাত্তিস্তা।
- নতুন ঘোষণা দিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান
- ৪ না মেরে ছক্কা হাঁকানোয় বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বদলে বাংলাদেশ
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- চরম দু:সংবাদ : ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ
- আজ বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- হঠাৎ একি হলো পেঁয়াজের বাজারে
- হাসিনার বিরুদ্ধে ফেটে পড়ল ভারত! বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ ভারতীয় সাংবাদিক
- ফাঁদে পড়লেন ওবায়দুল কাদের, এবার পালাবেন কোথাই
- কঠিন সমীকরণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ
- I Love You নয়, বলুন এই কথাগুলো – প্রেমে পড়বে সেকেন্ডেই
- পিএসএলে ইতিহাস গড়লেন হাসান আলি, ভাঙলেন ওয়াহাব রিয়াজের রেকর্ড
- বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের আসল কারণ ফাঁস
- ভয়াবহ ভূমিকম্প : বিধ্বস্ত ৮০ ভাগ সরকারি ভবন
- রাজস্থানে 'রক্তপাত' ভড়কে গিয়ে দ্রাবিড় যা বললেন...
- পাকিস্তানকে মাঝারি রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ