অনেক আর্জেন্টিনাবাসীরাই এটা বিশ্বাস করে। আর এ বিশ্বাস করার পিছনে রয়েছে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ের সময়টি। ১৯৮৬ সালের জানুয়ারি মাসে আর্জেন্টিনার উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে আন্দিজ পর্বতমালায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আড়াই হাজার মিটার উচ্চতায় ম্যাক্সিকোর কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্যই ওই গ্রামে শিবির করা হয়েছিল ম্যারাডোনাদের। যে সময় পুরো গ্রামটিতে একটিমাত্র টেলিফোন ছিল। টেলিভিশন ছিলো না বললেই চলে।

সে গ্রামেই ছিলো এক চার্চ আর সেখানেই স্থাপিত ছিলো ‘ভার্জিন অব কোপাকাবানা’ দেবী মূর্তি। গ্রামের মানুষের বিশ্বাস ছিলো, ওই মূর্তির সামনে যদি কিছু মানত করা হয়, তা হলে তা পূরণ হয়। আবার কোনো প্রতিশ্রুতি দিলে, সেটিও রক্ষা করতে হয়। না হলেই বিপদ। আর এই বিশ্বাসেই বিশ্বাস রাখেননি বিলার্দো। তবে ৩২ বছর আগের সেই ঘটনা এখনো ভোলেননি সেই গ্রামবাসী। তাদেরই দাবি কখনোই শিরোপা জিততে পারবে না আর্জেন্টিনা।

অতীতের সেই ঘটনার কথা তুলে ধরেছে ডেভিড গর্দিলো নামের এক গ্রামবাসী একটি ওয়েবসাইটে লিখেছেন, সে সময় ২৫ বছর বয়স ছিল গর্দিলোর। আর্জেন্টিনার সেই দলের সঙ্গে অনুশীলনও করেছেন তিনি। গার্দিলোওই বলার্দোকে মূর্তির কথা বলেছিলেন। তার কাছে মূর্তির ক্ষমতার কথা শুনে চার্চে যান বিলার্দো। প্রতিশ্রুতি দেন, কোনোভাবে বিশ্বকাপ জিততে পারলে তারা আবার তিলকারায় ফিরে দেবীকে ধন্যবাদ জানাবেন। কিন্তু আর্জেন্টিনা আর সেই গ্রামে ফেরেনি।

ঐ গ্রামের অন্য আরেকবাসিন্দা একই স্মৃতিচারণ করে প্রতিবেদনে লিখেছেন. ভার্জিনের মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে বিলার্দো বলেন, বিশ্বকাপে তারা যদি অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন, তা হলে এখানে ফিরে এসে, হাঁটু মুড়ে বসে ধন্যবাদ জানাবেন। কিন্তু ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ের পর আর সেই গ্রামে বিলার্দোর না ফেরাতেই আর্জেন্টিনার ওপর থেকে বিপদের ছায়া সরছে।

এবারে রাশিয়া বিশ্বকাপই হয়তো ফুটবল যুবরাজ ও আর্জেন্টাইন মহাতারকার শেষ বিশ্বকাপ। তাই ক্লাব ফুটবলের ইতিহাস করা খ্যতির মালিক আর্জেটিনার হয়ে করতে পারেনি তেমন কিছুই।তাই এবারের বিশ্বকাপ হাতে পাওয়া জন্য মরয়িা মেসিরা।