সরাসরি কাউকে দোষারোপ না করলেও সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বেদ ভূষণ দুবাই পুলিশের ময়নাতদন্তের কিছু রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনে জানালেন, যে তিনি এই রিপোর্ট-এ সন্তুষ্ট নন৷ তার মতে, জলে ডুবিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে নায়িকাকে। এই প্রসঙ্গে তার মন্তব্য হল, বাথটবের পানিতে জোর করে ফেলে যে কোনও ব্যক্তিতে খুন করা সম্ভব৷ আর এই ধরণের খুনে কোনও প্রমাণ থাকে না৷ফলে খুব সহজেই একে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বলে প্রমাণ করা যায়। শ্রীদেবীর ক্ষেত্রেও নাকি ঠিক তাই হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।

তিনি আরও অভিযোগ, শ্রীদেবীর মৃত্যুর তদন্তের জন্য দুবাইয়ের জুমেইরাহ এমিরেটস টাওয়ার্সে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হোটেলের ওই ঘরে তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।তাই তিনি পাশের ঘর থেকে সম্পূর্ণ ঘটনাটি বোঝার চেষ্টা করেছেন। তিনি দুবাই পুলিশের কাছে, শ্রীদেবীর শরীরের স্যাম্পেল এবং অভিনেত্রীর ফুসফুসে কতটা পানি জমেছে তার তথ্যও জানতে চান| কিন্তু তারা তা দিতে রাজি হননি৷ ফলে বেদ ভূষণের মনে খুনের ধারণা আরো জোরালো হয়েছে|

পাশাপাশি প্রাক্তন এসিপি-র সন্দেহ দাউদ ইব্রাহিমকে নিয়েও| কারণ, যে হোটেলে শ্রীদেবীর মৃত্যু হয়, সেই জুমেইরাহ এমিরেটস টাওয়াটির মালিক দাউদ ইব্রাহিম৷ ফলত ভূষণ মনে করছেন, শ্রীদেবীর মৃত্যুর পিছনে দাউদের হাত থাকলেও থাকতে পারে৷ তবে কোন পরিপ্রেক্ষিতে ডন খুন করবেন শ্রীকে? তার কোনও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা মেলেনি৷

এছাড়াও প্রকাশ্যে এসেছে আরেক এক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ পরিচালক সুনীল সিংহের আইনজীবী বিকাশ সিংহের দাবি, শ্রীদেবীর নামে ওমানে ২৪০ কোটি টাকার ইনসিওরেন্স পলিসি কেনা হয়৷ নিয়ম অনুযায়ী, পলিসির টাকাটা তখনই পরিবার পাবে যদি শ্রীদেবী দুবাইতে মারা যান৷ ঘটনাক্রমে সেটাই হয়েছে| তাই বেদ ভূষণ সহ পরিচালক সুনীল সিংহের দাবি, শ্রীদেবীর মৃত্যু বাথটাবে ডুবে হয়নি৷ তাকে খুন করা হয়েছে৷তিনি আরও উল্লেখ করেন,শ্রীদেবীর উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। আর বাথটবটি ৫ ফুটের। তাহলে কীভাবে তার বাথটাবে ডুবে মৃত্যু হতে পারে?তাহলে কি বনি কপূরও এর সঙ্গে জড়িত