খালেদা জিয়াকে হাই কোর্টের দেওয়া চার মাসের জামিন বহাল

তবে আদালত জামিনের রায় দ্রুত প্রকাশ করা হবে বলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীকে আশ্বস্ত করেছে। জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে দেওয়া হাই কোর্টের জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আপিল খারিজ করে বুধবার সকালে রায় দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এর ফলে হাই কোর্টের দেওয়া চার মাসের জামিন বহাল থাকে।
পাশাপাশি ওই দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া ও দুদকের আপিল ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হাই কোর্টে নিষ্পত্তি করতে বলেছে আপিল বিভাগ।
সকাল ৯টায় ওই রায়ে পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী আপিলের রায়ের সংক্ষিপ্ত আদেশের জন্য মৌখিক আবেদন করেন।
তিনি বলেন, “আজ আপনারা জামিন দিয়েছেন। এখন এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাওয়া পর্যন্ত তার জেলে থাকাটা বেআইনি। ফলে খালেদা জিয়ার জামিনের সংক্ষিপ্ত আদেশ চাচ্ছি জামিননামা দাখিলের জন্য।”
এই আইনজীবী যুক্তি দেন, “আপনাদের আজকের রায় পত্র-পত্রিকায়, টিভিতে প্রচারিত হয়েছে। হয়ত আপনাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হবে। আপানাদের দিতে তো অসুবিধা নেই।”
আদালতে উপস্থিত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তখন আপত্তি জানিয়ে বলেন, খালেদা জিয়া তো আরও কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার আছেন। তাছাড়া আপিল বিভাগ থেকে এ ধরনের শর্ট অর্ডার দেওয়ার নজির নেই।বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীও তখন বলেন, “কীভাবে আপনি এ আবেদন করছেন। কখনও দেখেছেন আপিলের কোনো রায়ের পর তার সংক্ষিপ্ত আদেশ দেওয়া হয়েছে? এ ধরণের শর্ট অর্ডার দেওয়ার নজির নেই।”
প্রধান বিচারপতি তখন খালেদার আইনজীবীকে বলেন, “আপনার আবেদন রিফিউজ করা হল।”
এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, হাই কোর্ট বিভাগের রুলসে ‘শর্ট অর্ডার’ দেওয়ার বিধান আছে।
বিচারপতি ইমান আলী তখন বলেন, “হাই কোর্টের বিধান কি আমাদের জন্য মানা বাধ্যতামূলক?”
মোহাম্মদ আলী বলেন, “আমি তা বলছি না। আপনারা চাইলে তো দিতে পারেন।”
এ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি আবার বলেন, “এ ধরনের আবেদন গ্রহণ করার মত কোনো বিধান আপিলের আইনে নেই। আপনার আবেদন রিফিউজ করা হল।”
এ জে মোহাম্মদ আলী তখন বলেন, “আমি তো একা এসেছি। দলবল নিয়ে আসিনি।”
প্রধান বিচারপতি বলেন, “এটা কেমন কথা! দলবল নিয়ে আসলেই কি আমরা আদেশ দিয়ে দিই? দলবল দেখে আমরা আদেশ দিই না।”
বেঞ্চের অপর বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার এ সময় উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, “আপনি খুবই আপত্তিজনক মন্তব্য করেছেন। ‘দলবল নিয়ে আসিনি, আমি নিজে এসেছি’- এটা কেমন কথা! আপনি আমাদের ফোর্স করতে পারেন না। সমস্যা হচ্ছে, আপনারা ভুলে যান যে কোর্টে আপনারা আইনজীবী, অফিসার অব দ্যা কোর্ট, কোনো দলের লোক নন “
তখন এ জে মোহাম্মদ আলী তার এ মন্তব্যর জন্য আদালতের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে আবেদনটি গ্রহণের জন্য আরজি জানান।
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী তখন এ জে মোহাম্মদ আলীকে বলেন, “প্রধান বিচারপতি যেখানে নাকচ করে দিয়েছেন, সেখানে আপনি তর্ক করছেন কেন? কেন চাপ প্রয়োগ করছেন?”
শেষে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আপনার আবেদন আমরা বিবেচনা করতে পারলাম না। বিবেচনা করার সুযোগ নেই।”
প্রধান বিচারপতির কথার পর আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন এ জে মোহাম্মদ আলী। খালেদা জিয়ার অপর আইনজীবী কায়সার কামাল এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
বিএনপির আইন সম্পাদক বিষয়ক কায়সার কামাল বলেন, সব মিলিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে মোট ৩৬টি মামলা রয়েছে।
এর মধ্যে কুমিল্লার আদালতে বিচারাধীন দুটি মামলায় তার বিরুদ্ধে হাজিরা পরোয়ানা জারি আছে (প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট)। আগামী ৭ জুন ওই আদালতে তার হাজিরার তারিখ রয়েছে।
- ৮ রানে ৬ উইকেট বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন লজ্জার রেকর্ড
- নতুন ঘোষণা দিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- চরম দু:সংবাদ : ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ
- আজ বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- হঠাৎ একি হলো পেঁয়াজের বাজারে
- হাসিনার বিরুদ্ধে ফেটে পড়ল ভারত! বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ ভারতীয় সাংবাদিক
- ফাঁদে পড়লেন ওবায়দুল কাদের, এবার পালাবেন কোথাই
- কঠিন সমীকরণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ
- I Love You নয়, বলুন এই কথাগুলো – প্রেমে পড়বে সেকেন্ডেই
- পিএসএলে ইতিহাস গড়লেন হাসান আলি, ভাঙলেন ওয়াহাব রিয়াজের রেকর্ড
- ভয়াবহ ভূমিকম্প : বিধ্বস্ত ৮০ ভাগ সরকারি ভবন
- লাহোর কালান্দার্স বনাম মুলতান সুলতানস: ম্যাচ শুরুর সময়, একাদশ ও পরিসংখ্যান
- বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের আসল কারণ ফাঁস
- মাঠে নামার আগে নাহিদ রানাকে চরম অপমান করলেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক