এইমাত্র পাওয়া ২৬৮টি কেন্দ্রের ফলাফল প্রকাশ ৬৩ হাজার ভোট বেশী পেলো কে দেখেনিন

মোট কেন্দ্র সংখ্যা: ২৮৯
প্রাপ্তফল: ৮৮আওয়ামী লীগ প্রার্থী: ৪৭,৯০৯বিএনপি প্রাথী: ৩০,৬৩০
আরো পড়ুন একটু আগের সংবাদখুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে দুইশ কেন্দ্রের অনানুষ্ঠানিক ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে প্রায় ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুর খালেক।কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ২০০টির ফলাফলে নৌকা প্রতীক পেয়েছে এক লাখ ২২ হাজার ৮৫৬ ভোট। আর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৬৬১টি ভোট।বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত খুলনা সিটি নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে গণনা।রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা হলেও তা অনেকটা পিছিয়ে আছে। তবে বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং এজেন্টদের সূত্রে পাওয়া ফলাফলই প্রচার করছে টেলিভিশন, অনলাইনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম।নির্বাচনে ফলাফল জানতে রাত আটটার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক। তবে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু আসেননি। তিনি ইতোমধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে ১০০ কেন্দ্রে পুনঃভোট দাবি করেছেন।
এই নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবধরনের আয়োজন সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বিঘ্নে ভোট উৎসব শেষ করতে প্রশাসনের প্রতি কঠোর নির্দেশ ছিল ইসির। তবুও বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে তিনটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে জালভোটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু এই নির্বাচন খুলনাবাসী মানবে না মন্তব্য করে একশ কেন্দ্রে পুনরায় ভোট দাবি করেছেন। কেন্দ্রীয়ভাবে বিএনপিও ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ এনেছে এবং ‘কারচুপি’ হওয়া কেন্দ্রগুলোতে পুনরায় ভোট দাবি করেছে।
তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক দাবি করেছেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। ভোটের শুরুতেই তিনি জানিয়েছিলেন, খুলনাবাসী যে রায় দেবেন তা তিনি মেনে নেবেন।
এদিকে নির্বাচন কমিশনও এই ভোটে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন এই ভোটকে ‘চমৎকার’ ও ‘সুন্দর’ অভিহিত করেছেন। বিএনপির অভিযোগ পেয়ে তারা যাচাই-বাছাই করেছেন বলেও জানান ইসি সচিব। যেখানে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন সেখানে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন অংশ নিলেও মূলত নৌকা, আর ধানের শীষের মধ্যে লড়াই হচ্ছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও এই ভোটকে কেন্দ্র করে সারাদেশেই আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সামনে জাতীয় নির্বাচন হওয়ায় এই নির্বাচন আলাদা গুরুত্ব বহন করছে।
নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নৌকা, বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ, ইসলামী আন্দোলনের মুজ্জাম্মিল হক হাত পাখা, সিপিবির মিজানুর রহমান বাবু কাস্তে ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে সকাল থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রে ভিড় করতে থাকে ভোটাররা। প্রতিটি লাইনে ছিল ভোটারদের দীর্ঘ সারি। পুরুষদের পাশাপাশি নারী ভোটাররাও সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন। এছাড়া নতুন ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।ভোট শুরুর পরই সকালে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক।এ সময় তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বলেন, খুলনাবাসী উন্নয়নের পক্ষে ভোট দেবে। ভোটাররা যেন তাদের ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে নেতাকর্মীদের ব্রিফিং দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
বিএনপির প্রার্থী মঞ্জু ভোট দেন ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের রহিমা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এ সময় তিনি ৩০টি কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ করেন। বলেন, সরকারদলীয় সমর্থকদের কারণে প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটাররা শঙ্কায় রয়েছে।ভোট ডাকাতি হলে ফলাফল মেনে নেবেন না বলেও জানান তিনি।খুলনা সিটিতে এবার মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ জন আর নারী ভোটার দুই লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন। নির্বাচনে ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ড, ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটকেন্দ্র ২৮৯টি। মোট ভোটকক্ষ এক হাজার ৫৬১টি। এর মধ্যে দুটি কেন্দ্রের ১০টি ভোটকক্ষে ভোট নেয়া হয় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে।
নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ জন ছাড়াও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৫ জনসহ মোট ১৯১ জন প্রার্থী লড়াই করছেন।নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খুলনায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৩ মে থেকে খুলনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন শুরু হয়। তারা থাকবে ১৬ মে পর্যন্ত। পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার-ভিডিপি, ব্যাটালিয়ন আনসারসহ নিয়মিত বাহিনীর সদস্যরা ভোটের নিরাপত্তায় কাজ করবেন।
প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ২২ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন করে নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রতি ওয়ার্ডে পুলিশের মোবাইল ফোর্স এবং প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে র্যাবের একটি করে দল টহল দিচ্ছে। মোতায়েন আছে ১৬ প্লাটুন বিজিবি।৬০ জন নির্বাহী এবং ১০ জন বিচারিক হাকিম নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হচ্ছে, যেখান থেকে সার্বক্ষণিক নির্বাচনী এলাকার সাথে যোগাযোগ এবং নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।২০১৩ সালে খুলনায় শেষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেককে ৬০ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন বিএনপির মনিরুজ্জামান মনি।
- ৮ রানে ৬ উইকেট বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন লজ্জার রেকর্ড
- নতুন ঘোষণা দিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- চরম দু:সংবাদ : ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ
- আজ বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- হঠাৎ একি হলো পেঁয়াজের বাজারে
- হাসিনার বিরুদ্ধে ফেটে পড়ল ভারত! বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ ভারতীয় সাংবাদিক
- ফাঁদে পড়লেন ওবায়দুল কাদের, এবার পালাবেন কোথাই
- কঠিন সমীকরণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ
- I Love You নয়, বলুন এই কথাগুলো – প্রেমে পড়বে সেকেন্ডেই
- পিএসএলে ইতিহাস গড়লেন হাসান আলি, ভাঙলেন ওয়াহাব রিয়াজের রেকর্ড
- ভয়াবহ ভূমিকম্প : বিধ্বস্ত ৮০ ভাগ সরকারি ভবন
- লাহোর কালান্দার্স বনাম মুলতান সুলতানস: ম্যাচ শুরুর সময়, একাদশ ও পরিসংখ্যান
- বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের আসল কারণ ফাঁস
- মাঠে নামার আগে নাহিদ রানাকে চরম অপমান করলেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক