বার্সালোনা ছেড়ে গিয়েছেন পিএসজিতে। তবে ফর্মটাও সাথে করে নিয়ে গেছেন তিনি। দুর্দান্ত খেলেই গেছেন প্রতিটি ম্যাচে। মাঠের বাইরে বিভিন্ন বিতর্ক হলেও মাঠের খেলায় পড়েনি কোন প্রভাব। প্রতিপক্ষকে চুরমার করে দিয়ে জাদুকরি সব ড্রিবলিং আর গোলে মাতিয়েছেন ফ্রান্সকে।

ইউরোপের সেরা পাঁচটি লিগের মধ্যে প্রথম কোন খেলোয়ার হিসেবে একই সাথে গোল এবং আ্যাসিস্টের ডাবল ফিগার স্পর্শ করেছিলেন এই মৌসুমে।

শুধু লিগই নয়, চ্যাম্পিয়নস লিগেও দুর্দান্ত। গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচেই ভয়ানক ত্রাস ছড়িয়েছেন নেইমার। বায়ার্নের মত দলকে নিয়েও ছেলেখেলা করেছেন নেইমাররা। যার জেরে চাকরিটাই হারাতে হয়েছিল আনচেলোত্তিকে।

ফরাসি ক্লাবটিতে কাভানি আর এমবাপ্পেকে নিয়ে তৈরি করেছিলেন দুর্দান্ত এক ভয়ানক ত্রয়ী। প্রতিপক্ষের রক্ষন ভাগের জন্য ঘুম হারাম করা এই ত্রয়ী চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বেও করেছিলেন সবচেয়ে বেশি গোল।

কিন্তু শেষ ষোলর প্রথম লেগের ম্যাচের পর দ্বিতীয় লেগে যখন প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল পিএসজি, তখনই মার্শেই এর বিপক্ষে এই ম্যাচে ইনজুড়িতে পড়েন নেইমার। সেই সাথে সেখানেই যেন শেষ হয়ে যায় পিএসজির চ্যাম্পিয়নস লিগ দৌড়ে টিকে থাকার আশা। ইতি ঘটে যায় উনাই এমেরির পিএসজির কোচের সময়টারও।

২০১৭-১৮ মৌসুমে ইনজুড়িতে পড়ার আগে সব মিলিয়ে ৩০ টি ম্যাচে ২৮ টি গোল করেছিলেন নেইমার। করেছিলেন ১৬টি অ্যাসিস্ট। তার মধ্যে লিগে ২০ ম্যাচে ১৯ গোলের পাশাপাশি করেছিলেন ১৩টি অ্যাসিস্ট। চ্যাম্পিয়নস লিগে ৭ ম্যাচে ৬ গোলের সাথে করেছেন ৩টি অ্যাসিস্ট। কোপা দি ফ্রান্স ও ফ্রেঞ্চ কাপের বাকি তিন ম্যাচে ৩টি গোল করেছিলেন নেইমার।