সে এক করুন ইতিহাস। ১৯৬০ সালের শুরুর দিকে ভাইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে ভারতে ফিরে আসেন রাজা সিং। এরপর দুই ভাই মিলে শুরু করেন মোটর গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ব্যবসা। তারা ভালোভাবে ব্যবসা শুরু করলেও এর কিছুদিন পর তার ভাই মারা যান। তারপর তাদের সাজানো গোছানো ব্যবসা পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে দেউলিয়া হয়ে যান রাজা সিং।

এই করুন পরিণতি ছাড়াও তার জীবনে রয়েছে আরেক নির্মম বেদনা। তিনি মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তার সন্তানদের বিদেশে পড়ালেখা করতে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু, তার সন্তানরা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই অসহায় বাবার খোঁজখবর নেয়া বন্ধ করে দেয়। ফলে আজ ভারতের দিল্লির রাস্তায় ঠোকর খেয়ে বসবাস করতে হচ্ছে তাকে।

তাই বলা যায়, রাজকীয় জীবন ছেড়ে এসে, সব হারিয়ে রাজা সিংয়ের ঠাঁই হয়েছে দিল্লির রাস্তায়। এভাবেই চলছে যাযাবর রাজা সিংয়ের জীবন। আজ রেল স্টেশনে তো কাল বস্তিতে এভাবে করেই দিন যাচ্ছে তার।

রাজা সিং কখনো ভিক্ষা করে আবার কখনো কাজ করে যা পান তাই দিয়েই গত দীর্ঘ ৪০ বছর ব্যর্থ জীবনের বোঝা টেনে চলেছেন তিনি।

রাজা সিং এখন বয়সের ভারে ‘কুজো’। তিনি ঠিক মতো চলাফেরা করতে পারেন না। দিল্লিতে বসবাসকারী অবিনাশ সিং নামে এক ব্যক্তি চলতি মাসের ২১ এপ্রিল তার এই অসহায় অবস্থার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড দেন। এরপর কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি শেয়ার হয় ভিডিওটি।

উল্লেখ্য, ভিডিওটি দেখার পর ফেসবুকে প্রচুর লোক তাকে সাহায্য করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বর্তমানে একটি বৃদ্ধাশ্রমে রয়েছেন ৭৬ বছর বয়সী এই হতভাগা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।