এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ বিমানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে জনপ্রিয় রুটগুলোতে দ্রুত ফ্লাইট চালু এবং আন্তর্জাতিক রুট নির্বাচনে কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই আরো দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। বলা হচ্ছে, ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা পর্যটনসহ সব বিষয়েই চীনের বাণিজ্যিক গুয়াংজু শহরটি বহুল ব্যবহৃত।

জানা গেছে, এই শহরে পোশাকশিল্পসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা নিয়মিত যাওয়া-আসা করেন। এক হিসাব বলছে, বছরে অন্তত হাজার কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করা হয় চীন থেকে। আমদানিকৃত পোশাকের অধিকাংশই গুয়াংজু শহর থেকে আনা।

গুরুত্বপূর্ণ এই রুটে বিমান চলাচল চালু করতে দীর্ঘদিন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছিলো বাংলাদেশ বিমান। কয়েক দফা ঘোষণাও দেয়া হয়েছিল। সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ এই রুটে বিমান বাংলাদেশের উড়োজাহাজ চালুর ঘোষণা দিয়েও ব্যর্থ হয় কর্তৃপক্ষ।

তবে বছরের পর বছর ধরে এই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে চীনের দুটি এয়ারলাইন্স। আর চলতি মাস থেকে সপ্তাহে তিন দিন ফ্লাইট চালু করেছে বেসরকারি এয়ারলাইন্স ‘ইউএস-বাংলা’। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইমরান আসিফ জানান, চীনে ফ্লাইট শুরুর লম্বা প্রক্রিয়াটি গত ডিসেম্বরেই ভালোভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে ফলে এপ্রিল থেকে ফ্লাইট চালু করতে পেরেছি।

ব্যর্থতার বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এম এ মোমেন জানান, বাংলাদেশ বিমান গুয়াংজুতে ফ্লাইট চালু করবে এই ঘটনা ২০০৯ সাল থেকে শুনে আসছি। সবাই আমরা জানি রুটটিতে ভালো ট্র্যাফিকও পাওয়া যাবে। অথচ একটা প্রাইভেট এয়ারলাইন্স সেটি করতে সফল হয়েছে। বাংলাদেশ বিমানেরও সফল হওয়া উচিত।

বাংলাদেশ বিমানের একটি সূত্র বলছে, ২০১৮ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশ বিমানের বহরে যুক্ত হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ‘বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার’। এরপর হয়তো চীনের গুয়াংজু শহরে ফ্লাইট চালু করা সম্ভব হবে। বিমান বাংলাদেশের জনসংযোগ বিভাগের জিএম শাকিল মেরাজ বলেন, ‘শীতকালীন শিডিউলে চীনের ওই শহরটিতে বিমান চলাচল চালু হবে।’