চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জেলায় মার্চ মাসে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৮০০ জন। আর এপ্রিল মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত এ সংখ্যা ৩৬৭জন। সবমিলিয়ে এ সময়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ১ হাজারের বেশি রোগী।

ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির রেজিস্টারে দেখা যায়, গত ১০ দিনে প্রায় গড়ে প্রতিদিনই ৩০-৪০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন সদর হাসপাতালে।

মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ড রোগীতে পরিপূর্ণ। অনেক রোগীর ঠাঁই হয়েছে মেঝেতে, বারান্দায়ও রাখা হয়েছে অনেক রোগীকে।

ডায়রিয়ার ওয়ার্ডে প্রবেশপথের বারান্দার মেঝেতে জায়গা পেয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার পোল্লাডাঙ্গা এলাকার নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সোমবার বিকাল থেকে এখানে ভর্তি আছি। চিকিৎসা চলছে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) নাদিম সরকার বলেন, ‘হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের স্যালাইন ও ঔষধ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে।’

একইসঙ্গে জেলার বাসিন্দাদের পানি ফুটিয়ে পান করা, খবার গ্রহণে একটু সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন আবাসিক এ চিকিৎসক।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাক্তার সাইফুল ফেরদৌস মুহাম্মদ খাইরুল আতাতুর্ক বলেন, ‘ঢাকা থেকে রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৫ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল এসেছেন। তারা গত দুই দিন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভাসহ বিভিন্ন এলাকার পানির নমুনা সংগ্রহ করেছেন।

সেই সাথে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তারা আরো দুই থেকে তিন দিন কাজ করবেন। এরপর ঢাকায় গিয়ে সংগৃহীত নমুনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আমাদের কাছে রিপোর্ট দিবেন।’

সিভিল সার্জন আরো বলেন, ‘গত তিন বছর থেকে প্রায় একই সময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটা বড় সংখ্যক মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এ কারণেই আমরা বিষয়টির কারণ অনুসন্ধানের জন্য ঢাকায় জানিয়েছিলাম।’