মালয়েশিয়ায় বিমান থেকে নেমে দ্রুত গতিতে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করে অন্যান্য দেশের নাগরিকরা যার যার গন্তব্যে যেতে পারলেও বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের যেতে হচ্ছে ইমিগ্রেশন অফিসে। সব কিছু ঠিক থাকলেও ঘণ্টার পর পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় তাদের। শুধু এখানেই নয় সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ হাইকমিশনে গেলে সেখানেও দুর্ভোগের শিকার হতে হয় তাদের।

ভুক্তভোগীরা জানান, এখানে এতগুলো মানুষ রয়েছে। কিন্তু কোথায়ও বসার কোন ব্যবস্থা নেই। একজনের কাছে গেলে সে আরেকজনের কাছে পাঠান। আমাদের দেশের দূতাবাসে আসলেই কেউ আমাদের মানুষ মনে করে না।

তবে প্রবাসীদের অভিযোগ অস্বীকার করে সেবার মান বাড়াতে কাজ করছেন বলে দাবি করেন হাইকমিশনের এ কর্মকর্তা। মালয়েশিয়া বাংলাদেশ হাইকমিশনের লেবার কর্মকর্তা সায়েদুল ইসলাম বলেন, ‘যদি কেউ সত্যিকারের সহযোগিতা চান, আমরা তাকে সহযোগিতা করি। আমাদের সকল কর্মকর্তাদের সেই রকম নির্দেশনা দেয়া আছে। সকলকে উন্নত মানের সেবা দেয়ার জন্য।’

শিল্প, বাণিজ্য, শিক্ষা কিংবা পর্যটনসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই উন্নয়নের উদাহরণ সৃষ্টি করেছে এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া। প্রতি বছর দেশটির পর্যটন খাতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রায় ১০ ভাগ বাংলাদেশি পর্যটকদের কাছ থেকে আসে। তারপরও পদে পদে নানাভাবে অমানবিক হয়রানির শিকার বাংলাদেশিরা।