এখনকার বর্তমান অবস্থা খুবই বিপর্যয়কর। বিভিন্ন সমস্যার কারণে অনেক কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে। তাই আগের মতো স্বাভাবিক অবস্থায় না ফেরা পর্যন্ত কাউকে নতুন করে না আসার অনুরোধ করছি। যারা ফ্রি ভিসায় আসছেন, তারা সামনে ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন। আসলে ফ্রি বলতে কোন ভিসা নেই, যে ভিসা আসলে কোন কাজ নেই, নিজে নিজে কাজ খুঁজে নিতে হয় সেই ভিসাকে আমরা ফ্রি ভিসা বলে থাকি।

আপনার চাকরি থাকুক আর না থাকুক আপনাকে প্রতি মাসে বিভিন্ন খরচ ভাবত প্রায় ১০০০ রিয়ালের মত করে দিতে হবে, আর সেটা আপনি বুঝতে পারবেন যখন আপনার ভিসা রিনিউ করতে যাবেন, যেটাকে আমরা এদেশে আকামা বলে থাকি। যেমন মকতব আমেল ২৫০০ এবং জাওয়াজাত ফ্রি ৬৫০ হেলথ ইন্সুরেন্স ভাবত ৩৫০ মোট ৩৫০০ রিয়াল গভর্মেন্ট ফি।

এবার আসুন কোম্পানি গ্রিন রাখার জন্য বা সিষ্টেম চালু রাখার জন্য কফিল বা কোম্পানি প্রতি পাঁচ জন লোকের জন্য একজন করে সৌদি রাখতেই হবে, যার নিম্ন বেতন ৩০০০ রিয়াল, ইন্সুরেন্স ভাবত ৬০০, প্রতি মাসে ৩৬০০ করে বছরে ৪৩২০০। এবার 4৪৩২০০ কে পাঁচ ভাগ করলাম, প্রতি এক জনের ভাগে আসল ৮৬৪০+৩৫০০=১২১৪০। সৌদির বেতন ইন্সুরেন্স ও গভর্মেন্ট ফি সহ মোট খরচ পড়ল ১২১৪০।রিয়াল। এই হল এক বছরের জন্য একজন লোকের খরচ, এটা ফ্রি ভিসাধারীরা কফিল কে দিতে হবে।

এবার আপনি চিন্তা করেন এক বছরের মধ্যে আপনি প্রায় দশ মাসই বেকার, কি করে আপনি এত টাকা জোগাড় করবেন আর কিভাবে আপনার আকামা তৈরি করবেন। তখন হয়তো আপনাকে দেশে চলে যেতে হবে, আর এখানে থাকলে আকামা ছাড়া আপনি ইলিগ্যাল হয়ে যাবেন। অবৈধ ভাবে থাকার কারণে আপনার জেল জরিমানা হবে, দেশে যেতে হলে জেল খেটে যেতে হবে।

তাছাড়া শোনা যাচ্ছে আগামী জুন থেকে নাকি প্রতিমাসে জন প্রতি আরও ৪০০ রিয়াল করে দিতে হবে, তখন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। সুতারাং যাদের সন্তানদের এখনো সৌদি আরব পাঠাতে চাচ্ছেন, আমার সবিনয় অনুরোধ আপাতত না পাঠানো হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

সবাই সৌদি আরবের জন্য দোয়া করবেন কারণ এই দেশটি ভাল থাকলে পুরো মুসলিম বিশ্ব ভাল থাকবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের এই হারামাইন শরীফাইনের দেশকে সকল বিপদ থেকে রক্ষা করুক আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন।

লেখক: সহ সভাপতি, সৌদিআরব বৃহত্তর কুমিল্লা আওয়ামী পরিবার