মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে সোমবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে একটি বৈঠকে আসেন জ্বালানি সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। ওই বৈঠকে জ্বালানি সচিব ছাড়াও কমিশন সদস্য, জ্বালানি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে জানানো হয়, আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে মহেশখালীর ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল উৎপাদনে আসবে। সুতরাং এপ্রিল থেকেই গ্যাসের দাম বাড়ানোর ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, দেশে গ্যাসের তুলনায় এলএনজির দাম বেশি। এই অবস্থায় সরকার গ্যাস সংকট মোকাবিলায় এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই গ্যাসের দাম সমন্বয় করতে হচ্ছে।

তবে চাইলে গ্যাসের বাড়ানো সম্ভব নয় উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, বিতরণ কোম্পানিগুলো প্রয়োজন মনে করলে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে পারে। পরে এ প্রস্তাব মূল্যায়ন করা হবে। এরপর গণশুনানি হবে। এরপরই সবার অভিমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, দেশে সর্বশেষ গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। ওই সময় দুই ধাপে বিইআরসি ২২ দশমিক ৭৩ শতাংশ গ্যাসের দাম বাড়ায়।