ওই দেহব্যবসায়ী জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন অসাধারণ ইংরেজীতে কথা বলে পুলিশকর্মীদেরও হতবাক করে দেন। সে তার গোটা জীবন কথা জানায়। যুবতী বলেন, ‘আমি রাস্তার মেয়ে নই। শরীর বিক্রি করা আমার ব্যবসা’। যুবতী জানায়, তাকে দুই কোটি টাকা জোগাড় করতে হবে। এরপর সে নিজের বিউটি পার্লার খুলবে। হাই প্রোফাইল এই কলগার্ল দিল্লি, মুম্বাই, ভূপাল-এ বুকিংয়ে যেতেন। সে জানায়, দিল্লির এক দালাল গৌরবই তার সমস্ত খদ্দের জোগাড় করে দেয়।

গৌরবই তাকে লখনউয়ের দালাল রাজার কাছে পাঠিয়েছিল। সে জানায়, সে প্রথমবার লখনউয়ে এসেছে। সেখানের দালালই তাকে প্রতারিত করেছে।পুলিশকর্মীদের প্রশ্নে ওই দেহব্যবসায়ী এমন উত্তর দেয় যা শুনে পুলিশও অবাক হয়ে যান৷ তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, সে মাসে কতদিন কাজ করে।

যুবতী জানায়, মাত্র দিশ দিন। এই প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সন্তুষ্ট হয়নি। অন্য এক পুলিশ কর্মী তাকে জিজ্ঞাসা করেন সে কেন গোটা মাস কাজ করে না। তাতে যুবতী জানায়, এটা তার ব্যবসা তাই মাসে মাত্র দশ দিন কাজ করে আর বাকি দিন সে শরীর পরিচর্যা করে। সে জানায় শরীরচর্চার জন্য তার নির্দিষ্ট ট্রেনার রয়েছে। এছাড়াও সে ডায়টেশিয়ানের সাহায্যও নেয়। এমনকি প্রতি ছয়মাস অন্তর বে মেডিকেল চেকআপও করায়। সে জানায় মাসে দশদিন কাজ করেই সে প্রায় দুই লক্ষ টাকা রোজগার করে। পুলিশকর্মীরা যখন তাকে জিজ্ঞাসা করে সে এত টাকা দিয়ে কি করবে, এই প্রশ্নের উত্তরে সে জানায়, এটা কিছুই নয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর পর সে আর কাজ করবে না। এর প্রধান কারণ হল বিউটি পার্লারের আড়ালে সে নিয়েই সেক্স র‌্যাকেটের সঞ্চালিকা হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই দেহব্যবসায়ী লখনউয়ে ১০ জন প্রভাবশালীর পাশাপাশি তিন পুলিশকর্মীর সঙ্গেও সময় কাটান। এই গ্রাহকদের কাছ থেকে যে টাকা সে পেয়েছিল তা সেক্স র‌্যাকেটের সঞ্চালিকা নিজের কাছে রেখে দেয়। টাকা না পেয়ে দেহ ব্যবসায়ী হাঙ্গামা করলে পুলিশ বাধ্য হয়ে সঞ্চালিকাকে গ্রেপ্তার করে ও সেক্স র‌্যাকেটের পর্দাফাঁস করে। সঞ্চালিকার ঘর থেকে যে দুই লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছিল তা পুলিশকর্মীরাই উধাও করে দেয়।

গোমতীনগরে হাইপ্রোফাইল সেক্স র‌্যাকেটের কথা প্রকাশ্যে আসলে উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের নাম প্রকাশ্যে আসতে পারে। এছাড়াও বেশকিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নামেও জড়াতে পারে৷ র‌্যাকেটের সঞ্চালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, নাসিক থেকে ওই দেহব্যবসায়ীকে ১০ জন প্রভাবশালীর জন্য লখনউ নিয়ে আসা হয়েছিল৷ লখনউয়ের তিন পুলিশ কর্মীও তিন দিন ধরে ওই দেহব্যবসারী সঙ্গে সময় কাটায়। এই কারণেই তদন্তকারী অফিসার এই মামলা ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

অন্যদিকে, পুলিশ দেহব্যবসায়ীকে জেলে পাঠানোর তোরজোড় শুরু করেছে। র‌্যাকেটের সঞ্চালিকা সেই সমস্ত পুলিশ কর্মীর না জানিয়েছে দিয়েছে যারা ওই দেহব্যবসায়ীর সঙ্গে সময় কাটিয়েছিল। সে জানায় গত শনিবার ওই দেহব্যবসায়ী লখনউ আসে। এরপর স্থানীয় দালাল তাকে গ্রেহকদের কাছে নিয়ে যায়৷ তিন দিন ধরে লখনউয়ের ১০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও তিন পুলিশ কর্মীর সঙ্গে সময় কাটায় সে।পুলিশ সূত্রের জানা গেছে, চিহ্নিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলে লখনউয়ের সেক্স র‌্যাকেটের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন তথ্যের পর্দাফাঁস হতে পারে।সুত্র;কা.কন্ঠ