২২ বছর ধরে মলত্যাগ করেননি যুবক (ভাল ভাবে করতে পারেননি)। শেষ পর্যন্ত ডাক্তাররা অস্ত্রোপচার করে ওই যুবকের দেহ থেকে গত ২২ বছরের বর্জ্য নিষ্কাশন করেছেন।

প্রতিবেদনে ওই যুবকের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে ডাক্তাররা জানিয়েছেন, বিরল এই রোগের নাম Hirschsprung। সাধারণত, সদ্যোজাতরা এই রোগের শিকার হয়। আক্রান্তর কোলনের নার্ভ সেলে ত্রু টি থাকায় এই রোগ হয়। আক্রান্ত রুগীদের ‘ক্রনিক কনস্টিপেশন’ দেখা দেয়।

আক্রান্তরা মলত্যাগ করতে পারে না। ডাক্তারি ভাষায় একে বলে ‘মেগাকোলন’। যার দরুন শরীরে প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য পদার্থ জমতে থাকে। এক্ষেত্রে অপারেশন করে একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য নিষ্কাশন করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় থাকে না। ঠিকমতো অপারেশন না হলে এক্ষেত্রে রোগী জীবনসঙ্কটও দেখা দিতে পারে। বর্জ্যের বিষাক্ত পদার্থ তাঁর রক্তের সঙ্গে মিশে যেতে পারে।

সাংহাইয়ের টেনথ পিপলস হাসপাতালের ডাক্তার ইন লু জানিয়েছেন, গত ৮ জুন ওই যুবকের অস্ত্রোপচার হয়েছে। বর্জ্য জমে আক্রান্তের মলদ্বার এতটাই ভারী হয়ে গিয়েছিল, যে নয় মাসের গর্ভবতীর মতো দেখতে লাগছিল জায়গাটি। রোগীর মলদ্বারে প্রায় ৩০ ইঞ্চি চামড়া কেটে অপারেশন চলে তিন ঘন্টারও বেশি সময় ধরে।