| ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

হাম হলে করণীয়

স্বাস্থ্য ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০১৭ মে ১৭ ২১:৪৭:৫৬
হাম হলে করণীয়

এ বিষয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল আমিন মৃধা বলেন, নয় মাসের কম বয়সী শিশুর হাম সাধারণত দেখা যায় না। হাম ভাইরাস শরীরে প্রবেশের এক-দুই সপ্তাহ পর রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। আর শিশু যদি আগ থেকে ভিটামিন ‘এ’র অভাবে ভোগে, তবে হাম হলে শিশু অন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে সঠিক সময়ে প্রতিষেধক টিকা দিলে হাম হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তবে শিশুরই হোক বা বড়দের, ঠিকমতো চিকিৎসা না হলে এই রোগ ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।

লক্ষণ
হাম হলে প্রথমে জ্বর হয় ও শরীর ম্যাজম্যাজ করে বা হালকা ব্যথা লাগে। প্রথম এক-দুই দিন অনেক তীব্র জ্বরও হতে পারে। চোখ-মুখ ফুলে উঠতে পারে। চোখ লাল হয়ে যেতে পারে, চোখ দিয়ে পানি পড়তে পারে। নাক দিয়ে পানি পড়তে পারে এবং হাঁচিও হতে পারে। শরীরে র্যাশ বা ছোট ছোট লালচে গুটি/ফুসকুড়ি দেখা দেয় এবং দ্রুতই তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ সময় বিশেষ করে শিশুরা কিছুই খেতে চায় না এবং ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়ে।

করণীয়
হাম হলে অবহেলা করা যাবে না। হাম হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিশুরা ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যায়। হামে আক্রান্ত রোগীকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। আর একটু পরপর ভেজা তোয়ালে বা গামছা বা নরম কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। হাম হলে রোগীকে পুরোপুরি বিশ্রামে থাকতে হয়। এ সময় বাসা থেকে বের না হওয়াই ভালো। অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আর স্বাভাবিক খাবারদাবারের পাশাপাশি রোগীকে বেশি বেশি তরল খাবারও দিতে হবে।

শিশু ও বড়দের হাম
শিশুদের মতো বড়দেরও হাম হতে পারে। তাই এখন হামের প্রতিষেধক হিসেবে বড়দের জন্যও আছে ‘এমএমআর’ ভ্যাকসিন। এ ভ্যাকসিন দেওয়া না থাকলে হাম হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। তবে সাধারণত একবার হাম হলে দ্বিতীয়বার আর এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তবে সবাইকেই সতর্ক থাকতে হবে, কেননা হাম ছোঁয়াচে।

চিকিৎসায় অবহেলা হলে
হাম হলে প্রথমেই সতর্কতা অবলম্বন না করলে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে৷ হামের কারণে সাধারণত যে জটিলতাগুলো দেখা দেয়, সেসব হলো, মস্তিষ্কের প্রদাহ, মুখের প্রদাহ, অন্ত্রের প্রদাহ, পেটের অসুখ, নিউমোনিয়া, শ্বাসনালির প্রদাহ, চোখের কর্নিয়ার প্রদাহ, কর্নিয়ায় আলসার বা ঘা হওয়া, কানের প্রদাহ, পুষ্টিহীনতা, শরীরের ওজন মারাত্মকভাবে কমে যাওয়া ইত্যাদি৷

প্রতিরোধ
এই রোগের একটি ভালো বিষয় হলো, সাধারণত একবার হলে আর হতে দেখা যায় না। সময়মতো শিশুকে হামের ভ্যাকসিন দিতে হবে। যেহেতু হাঁচি, কাশি ও স্পর্শের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়, তাই আক্রান্ত শিশুকে স্কুলে যেতে না দেওয়াই ভালো। আক্রান্ত ব্যক্তিকে সন্তানসম্ভবা মা এবং জটিল রোগে আক্রান্ত রোগী থেকে দূরে রাখতে হবে। হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় রুমাল ব্যবহার করতে হবে।

ক্রিকেট

বিপিএলে বল প্রতি ৭৫ হাজার, দেখেনিন বরিশালের হয়ে খেলতে কত টাকা নিচ্ছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি

বিপিএলে বল প্রতি ৭৫ হাজার, দেখেনিন বরিশালের হয়ে খেলতে কত টাকা নিচ্ছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ২০২৫-এর জন্য ফরচুন বরিশাল একটি বড় চমক নিয়ে এসেছে। পাকিস্তানের তারকা ...

২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: বাদ পড়লেন লিটন ও মুশফিক সহ আরও সেরা ক্রিকেটাররা,দেখেনিন স্কোয়াড

২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: বাদ পড়লেন লিটন ও মুশফিক সহ আরও সেরা ক্রিকেটাররা,দেখেনিন স্কোয়াড

আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এ বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একাদশ গঠনের চ্যালেঞ্জ। টুর্নামেন্টটি আয়োজিত ...

ফুটবল

পাল্টে গেলো ফুটবল বিশ্বের সকল অতীত : নতুন র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করল ফিফা

পাল্টে গেলো ফুটবল বিশ্বের সকল অতীত : নতুন র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করল ফিফা

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ফুটবলে সবচেয়ে বড় সাফল্য এসেছে নারী ফুটবল দলের হাত ধরে। ২০২২ সালের ...

মক্কায় স্ত্রীসহ মেসির হজের ছবি ভাইরাল, জানা আসল ঘটনা

মক্কায় স্ত্রীসহ মেসির হজের ছবি ভাইরাল, জানা আসল ঘটনা

সম্প্রতি সামাজিকমাধ্যমে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি ও তাঁর স্ত্রীকে মক্কায় হজ করতে দেখা যাচ্ছে ...



রে