বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য, নেত্রকোনা জেলা মহিলা দলের আহবায়ক সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ড. আরিফা জেসমিন নাহীনের নেতৃত্বে সকাল ১১ টায় জেলা শহরের মোক্তারপাড়াস্থ জেলা মহিলা দলের কার্যালয় থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ মিছিলে বাধাঁ দেয়।

পুলিশী বাঁধা উপক্ষো করে মিছিলটি সামনের দিকে এগুতে চাইলে পুলিশ ড. আরিফা জেসমিন নাহীন, জেলা মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক হাফিজা ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক রেহানা তালুকদার, যুগ্ম আহবায়ক পারভীন আক্তার, সদস্য মাহমুদা খাতুনসহ মহিলা দলের ৫ নারী নেত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী’ বিডি২৪লাইভ কে জানান জনজীবনে শান্তিশৃংখলা ভঙ্গ ও নাশকতার পরিকল্পনা অভিযোগে ৫ বিএনপি নেত্রীকে আটক করা হয়েছে।

নেত্রকোণায় নেতাকর্মীদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় পুলিশ নেত্রকোনায় পুলিশ এ্যাসল্ট, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩ শতাধিক বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামী করে পৃথক পৃথক থানায় ৫টি মামলা দায়ের করেছে। এদিকে পুলিশ জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় নেতাকর্মীদের বাসা বাড়ীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।

নেত্রকোনা গাড়ী ভাংচুর ও আগুন দেয়ার ঘটনায় জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ডাঃ আনোয়ারুল হককে প্রধান আসামী করে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০ বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অপরদিকে কেন্দুয়া উপজেলায় পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশের কাজে বাধাঁ ও পুলিশ এ্যাসল্টের অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম হিলালীকে প্রধান আসামী করে ১শ ৪৮ জনের নাম উল্লেখসহ আড়াইশ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, পারলায় গাড়ী ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের দায়ে পুলিশ বাদি হয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ আনোয়ারুল হকসহ ৪০ জনকে আসামী করে বিস্ফোরক আইনে ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি, বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য ড.মোঃ রফিকুল ইসলাম হিলালীসহ প্রায় আড়াই শত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ এ্যাসল্ট, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক দুইটি মামলা করা হয়েছে।

সুত্র,বিডি24লাইভ